ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঠের পুতুলের রহস্য

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

বিচিত্র কুমার: শহরের এক কোণায়, পুরনো ধাঁচের একটি মিস্ত্রির দোকান ছিল, নাম ‘পুতুলের রাজ্য’। দোকানের মালিক ছিল বৃদ্ধ মৃণাল, যার বয়স প্রায় সত্তরের কাছাকাছি। পেশায় পুতুল কারিগর হলেও সে পুতুল তৈরি করত না; বরং পুরোনো, ভাঙা পুতুলগুলো মেরামত করতো। মৃণাল কারখানার ভিতরে একা একাই কাজ করত, তার আশেপাশে কেউ থাকত না। দোকানের ভেতরে বহু পুরোনো কাঠের পুতুলের সারি, ঝেলানো আলমারির ওপরে ধুলো জমে থাকা পুতুলগুলো যেন এক এক করে তাদের গল্প বলতে চাইছিল।
বছরের পর বছর মৃণাল সেই পুরনো দোকানটিতে নির্লিপ্তভাবে কাজ করেছে। তবে সম্প্রতি, এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হারিয়ে যাওয়া ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কথাবার্তা ছড়িয়েছিল। প্রতিটি বাচ্চাই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ, এবং কোন সন্ধান মেলেনি। অনেকের ধারণা, এই ঘটনাগুলোর সাথে মৃণালের দোকানের কোনো যোগসাজশ আছে। কারণ, নিখোঁজ হওয়ার আগে অনেক শিশুদের দেখা গিয়েছিল মৃণালের দোকানের আশেপাশে ঘুরতে।
একদিন পুলিশ মৃণালের দোকানে তদন্তের জন্য আসে। তারা জানতে চায়, কেন এতগুলো বাচ্চা তার দোকানের কাছ থেকে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। মৃণাল তার একান্ত নির্লিপ্ততা বজায় রেখে বলল, ‘আমি তো কিছুই জানি না। দোকানে কাজ করি আর ঘুমাই। আর পুতুলের সাথে বাচ্চাদের কি সম্পর্ক? তারা এখানে আসে, খেলে, তারপর চলে যায়।’ পুলিশ তেমন কিছু সন্দেহ করতে না পেরে চলে গেল, কিন্তু তাদের ভেতরে অস্বস্তি থেকেই গেল।
একদিন ছোট্ট বাচ্চা মিলি, দোকানের আশেপাশে খেলতে খেলতে এক পুরোনো কাঠের পুতুল দেখতে পেল। পুতুলটির চোখ ছিল অদ্ভুত, যেন জীবন্ত। মিলি পুতুলটির দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ সে দেখল পুতুলটির চোখ যেন নড়ছে। ভয় পেয়ে সে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বাড়ি ফিরে সে তার মাকে সবকিছু বলল, কিন্তু মা তার কথায় গুরুত্ব দিলেন না।
পরদিন মিলি আবার মৃণালের দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। কৌতূহল তাকে টানছিল। সে সাহস করে দোকানে ঢুকে পড়ল। মৃণাল তখনো তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। দোকানের এক কোণে একগাদা কাঠের পুতুলের মাঝে, সে দেখল সেই অদ্ভুত পুতুলটি; ঠিক আগের মতোই ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এবার মিলির চোখে পুতুলের রহস্য আরও ঘনীভূত হল। পুতুলটি কি সত্যিই জীবন্ত, নাকি তার কল্পনা?
হঠাৎ, মৃণাল মিলির দিকে তাকিয়ে বলল, ‘তোমার কি এই পুতুলটা পছন্দ? এটা কিন্তু অনেক পুরোনো। কিন্তু… এতে একটা রহস্য লুকানো আছে।’ মৃণালের গলায় এক ধরনের শীতলতা ছিল, যা মিলিকে কিছতা ভয় ধরাল। কিন্তু তার কৌতূহল মেটেনি। সে জানতে চাইল, ‘রহস্য মানে কি?’
মৃণাল একটু হেসে বলল, ‘এই পুতুলটা শুধু দেখতে সাধারণ নয়, এর মধ্যে অনেক কিছু লুকিয়ে আছে। তুমি যদি সত্যি জানতে চাও, তবে খুব কাছ থেকে দেখ।’
মিলি পুতুলটিকে হাতে নিতেই এক অদ্ভুত অনুভূতি হল। পুতুলটির শরীর যেন নরম হয়ে আসছিল। তার মনে হলো, পুতুলটির ভিতর থেকে কোনো শব্দ আসছে— যেন ছোট ছোট বাচ্চাদের কান্নার আওয়াজ। মিলি ভয়ে পুতুলটি মাটিতে ফেলে দিয়ে দৌঁড়ে চলে গেল। এরপর মিলি আর কখনো মৃণালের দোকানের আশেপাশে গেল না। কিন্তু শহরের গল্প ছড়িয়ে পড়ল যে মৃণালের পুতুলগুলো নাকি অভিশপ্ত। নিখোঁজ বাচ্চাদের আত্মা সেগুলোর মধ্যে আটকা পড়েছে। কিন্তু কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছিল না, কারণ মৃণালের দোকানে আর কেউ সাহস করে ঢুকত না।
গল্পটি শেষ হয়নি। একদিন শহরে নতুন এক মেয়ের আগমন ঘটে, নাম রিয়া। রিয়া ছিলেন একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক, যার আগ্রহ রহস্যজনক ঘটনা উন্মোচন করা। নিখোঁজ বাচ্চাদের ঘটনা শুনে, সে এই রহস্যের গভীরে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। রিয়া মৃণালের দোকানে যায় এবং তার সাথে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করে। মৃণাল সহজেই বিশ্বাস করে না, কিন্তু রিয়া তার প্রভাবিত করার ক্ষমতায় মৃণালের মন ভোলাতে সক্ষম হয়।
কিছুদিন পর রিয়া মৃণালের দোকানে কাজ করার অনুমতি পেয়ে যায়। ধীরে ধীরে সে মৃণালের কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। একদিন গভীর রাতে রিয়া লুকিয়ে দোকানের পেছনের গোপন ঘরে ঢুকে পড়ে। সেখানেই সে এক ভয়াবহ সত্যের সম্মুখীন হয়।
ঘরের ভেতর, একটি বড় কাঠের বাক্স। বাক্সটি খুলতেই রিয়ার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। বাক্সের ভেতর, বহু নিখোঁজ বাচ্চার ছবি এবং কিছু ছোট ছোট কাঠের পুতুল। প্রতিটি পুতুলের চেহারাই ছিল নিখোঁজ বাচ্চাদের মতো। রিয়া বুঝতে পারে, মৃণাল কোনো সাধারণ পুতুল তৈরি করে না— সে নিখোঁজ বাচ্চাদের আত্মাকে পুতুলে বন্দি করে রেখেছে।
হঠাৎ, মৃণাল সেখানে হাজির হয়। তার চোখে এক অশুভ দৃষ্টিতে ঝিলিক দেয়। ‘তুমি সব জেনে গেছো’Ñ মৃণাল ঠাণ্ডা স্বরে বলে। ‘কিন্তু এখন কিছু করার নেই। তুমি এখানে ঢুকেছো, মানে তুমি আর বাইরে যেতে পারবে না।’
রিয়া কোনো উপায় খুঁজতে থাকে। কিন্তু ঠিক তখন, ঘরের কোনায় রাখা একটি পুতুলের হাত নড়তে শুরু করে। পুতুলগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে। সেই পুতুলগুলো, যারা ছিল বন্দি আত্মা, মৃণালের দিকে আক্রমণ করে। মৃণাল নিজেই তার তৈরি পুতুলগুলোর দ্বারা ধ্বংস হয়ে যায়।
শেষে রিয়া সেই রহস্য উদ্ঘাটন করে এবং শহরকে জানায়। মৃণালের দোকান বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু সেই কাঠের পুতুলগুলো কোথায় গেল, তা কেউ জানতে পারেনি। কি ঘটেছিল সেই পুতুলগুলোর? তারা কি ফিরে পেল তাদের হারানো জীবন, নাকি তারা এখনো কোথাও ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের রহস্যময় অতীতের সাথে…?

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কাঠের পুতুলের রহস্য

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

বিচিত্র কুমার: শহরের এক কোণায়, পুরনো ধাঁচের একটি মিস্ত্রির দোকান ছিল, নাম ‘পুতুলের রাজ্য’। দোকানের মালিক ছিল বৃদ্ধ মৃণাল, যার বয়স প্রায় সত্তরের কাছাকাছি। পেশায় পুতুল কারিগর হলেও সে পুতুল তৈরি করত না; বরং পুরোনো, ভাঙা পুতুলগুলো মেরামত করতো। মৃণাল কারখানার ভিতরে একা একাই কাজ করত, তার আশেপাশে কেউ থাকত না। দোকানের ভেতরে বহু পুরোনো কাঠের পুতুলের সারি, ঝেলানো আলমারির ওপরে ধুলো জমে থাকা পুতুলগুলো যেন এক এক করে তাদের গল্প বলতে চাইছিল।
বছরের পর বছর মৃণাল সেই পুরনো দোকানটিতে নির্লিপ্তভাবে কাজ করেছে। তবে সম্প্রতি, এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হারিয়ে যাওয়া ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কথাবার্তা ছড়িয়েছিল। প্রতিটি বাচ্চাই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ, এবং কোন সন্ধান মেলেনি। অনেকের ধারণা, এই ঘটনাগুলোর সাথে মৃণালের দোকানের কোনো যোগসাজশ আছে। কারণ, নিখোঁজ হওয়ার আগে অনেক শিশুদের দেখা গিয়েছিল মৃণালের দোকানের আশেপাশে ঘুরতে।
একদিন পুলিশ মৃণালের দোকানে তদন্তের জন্য আসে। তারা জানতে চায়, কেন এতগুলো বাচ্চা তার দোকানের কাছ থেকে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। মৃণাল তার একান্ত নির্লিপ্ততা বজায় রেখে বলল, ‘আমি তো কিছুই জানি না। দোকানে কাজ করি আর ঘুমাই। আর পুতুলের সাথে বাচ্চাদের কি সম্পর্ক? তারা এখানে আসে, খেলে, তারপর চলে যায়।’ পুলিশ তেমন কিছু সন্দেহ করতে না পেরে চলে গেল, কিন্তু তাদের ভেতরে অস্বস্তি থেকেই গেল।
একদিন ছোট্ট বাচ্চা মিলি, দোকানের আশেপাশে খেলতে খেলতে এক পুরোনো কাঠের পুতুল দেখতে পেল। পুতুলটির চোখ ছিল অদ্ভুত, যেন জীবন্ত। মিলি পুতুলটির দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ সে দেখল পুতুলটির চোখ যেন নড়ছে। ভয় পেয়ে সে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বাড়ি ফিরে সে তার মাকে সবকিছু বলল, কিন্তু মা তার কথায় গুরুত্ব দিলেন না।
পরদিন মিলি আবার মৃণালের দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। কৌতূহল তাকে টানছিল। সে সাহস করে দোকানে ঢুকে পড়ল। মৃণাল তখনো তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। দোকানের এক কোণে একগাদা কাঠের পুতুলের মাঝে, সে দেখল সেই অদ্ভুত পুতুলটি; ঠিক আগের মতোই ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এবার মিলির চোখে পুতুলের রহস্য আরও ঘনীভূত হল। পুতুলটি কি সত্যিই জীবন্ত, নাকি তার কল্পনা?
হঠাৎ, মৃণাল মিলির দিকে তাকিয়ে বলল, ‘তোমার কি এই পুতুলটা পছন্দ? এটা কিন্তু অনেক পুরোনো। কিন্তু… এতে একটা রহস্য লুকানো আছে।’ মৃণালের গলায় এক ধরনের শীতলতা ছিল, যা মিলিকে কিছতা ভয় ধরাল। কিন্তু তার কৌতূহল মেটেনি। সে জানতে চাইল, ‘রহস্য মানে কি?’
মৃণাল একটু হেসে বলল, ‘এই পুতুলটা শুধু দেখতে সাধারণ নয়, এর মধ্যে অনেক কিছু লুকিয়ে আছে। তুমি যদি সত্যি জানতে চাও, তবে খুব কাছ থেকে দেখ।’
মিলি পুতুলটিকে হাতে নিতেই এক অদ্ভুত অনুভূতি হল। পুতুলটির শরীর যেন নরম হয়ে আসছিল। তার মনে হলো, পুতুলটির ভিতর থেকে কোনো শব্দ আসছে— যেন ছোট ছোট বাচ্চাদের কান্নার আওয়াজ। মিলি ভয়ে পুতুলটি মাটিতে ফেলে দিয়ে দৌঁড়ে চলে গেল। এরপর মিলি আর কখনো মৃণালের দোকানের আশেপাশে গেল না। কিন্তু শহরের গল্প ছড়িয়ে পড়ল যে মৃণালের পুতুলগুলো নাকি অভিশপ্ত। নিখোঁজ বাচ্চাদের আত্মা সেগুলোর মধ্যে আটকা পড়েছে। কিন্তু কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছিল না, কারণ মৃণালের দোকানে আর কেউ সাহস করে ঢুকত না।
গল্পটি শেষ হয়নি। একদিন শহরে নতুন এক মেয়ের আগমন ঘটে, নাম রিয়া। রিয়া ছিলেন একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক, যার আগ্রহ রহস্যজনক ঘটনা উন্মোচন করা। নিখোঁজ বাচ্চাদের ঘটনা শুনে, সে এই রহস্যের গভীরে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। রিয়া মৃণালের দোকানে যায় এবং তার সাথে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করে। মৃণাল সহজেই বিশ্বাস করে না, কিন্তু রিয়া তার প্রভাবিত করার ক্ষমতায় মৃণালের মন ভোলাতে সক্ষম হয়।
কিছুদিন পর রিয়া মৃণালের দোকানে কাজ করার অনুমতি পেয়ে যায়। ধীরে ধীরে সে মৃণালের কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। একদিন গভীর রাতে রিয়া লুকিয়ে দোকানের পেছনের গোপন ঘরে ঢুকে পড়ে। সেখানেই সে এক ভয়াবহ সত্যের সম্মুখীন হয়।
ঘরের ভেতর, একটি বড় কাঠের বাক্স। বাক্সটি খুলতেই রিয়ার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। বাক্সের ভেতর, বহু নিখোঁজ বাচ্চার ছবি এবং কিছু ছোট ছোট কাঠের পুতুল। প্রতিটি পুতুলের চেহারাই ছিল নিখোঁজ বাচ্চাদের মতো। রিয়া বুঝতে পারে, মৃণাল কোনো সাধারণ পুতুল তৈরি করে না— সে নিখোঁজ বাচ্চাদের আত্মাকে পুতুলে বন্দি করে রেখেছে।
হঠাৎ, মৃণাল সেখানে হাজির হয়। তার চোখে এক অশুভ দৃষ্টিতে ঝিলিক দেয়। ‘তুমি সব জেনে গেছো’Ñ মৃণাল ঠাণ্ডা স্বরে বলে। ‘কিন্তু এখন কিছু করার নেই। তুমি এখানে ঢুকেছো, মানে তুমি আর বাইরে যেতে পারবে না।’
রিয়া কোনো উপায় খুঁজতে থাকে। কিন্তু ঠিক তখন, ঘরের কোনায় রাখা একটি পুতুলের হাত নড়তে শুরু করে। পুতুলগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে। সেই পুতুলগুলো, যারা ছিল বন্দি আত্মা, মৃণালের দিকে আক্রমণ করে। মৃণাল নিজেই তার তৈরি পুতুলগুলোর দ্বারা ধ্বংস হয়ে যায়।
শেষে রিয়া সেই রহস্য উদ্ঘাটন করে এবং শহরকে জানায়। মৃণালের দোকান বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু সেই কাঠের পুতুলগুলো কোথায় গেল, তা কেউ জানতে পারেনি। কি ঘটেছিল সেই পুতুলগুলোর? তারা কি ফিরে পেল তাদের হারানো জীবন, নাকি তারা এখনো কোথাও ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের রহস্যময় অতীতের সাথে…?

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ