ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

কাটাখালীর মেয়রের অপরাধ শাস্তিযোগ্য: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:৫১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বসানোর ‘বিরোধিতা করে’ রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্বাস আলী প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এই মেয়রের বক্তব্য খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে আহ্বান জানিছেন তিনি।
গতকাল বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি নিজের মত প্রকাশ করেন। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক অডিও টেপের সূত্র ধরে আব্বাস আলীকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ। তাদের অভিযোগ, আব্বাস আলীকে রাজশাহী সিটি গেইটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বসানোর ‘বিরোধিতা করে’ কথা বলতে শোনা গেছে ওই অডিও টেপে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আব্বাস আলী দাবি করেছেন, ওই অডিও ‘এডিট করা’। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এই বিষয়টি দলীয় ও প্রশাসনিক দিক থেকে দেখা। “দল যথাসময়ে দলীয় নীতি আদর্শ পরিপন্থিদের জন্য অবশ্যই নিয়ম অনুসারে শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যবস্থা নেবে। দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শতভাগ শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়েছে। দল যেখানে ম্যুরাল তৈরি করছে, ‘ম্যুরাল ইসলাম বিরোধী’ সে কথা বলে তিনি (মেয়র) দলীয় শৃঙ্খলা নিঃসন্দেহে ভঙ্গ করেছে।”
সরকারি কর্মচারীদের মতো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিও আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “একজন মেয়র এই আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। জনপ্রতিনিধিরা যখন দায়িত্ব নেন তারা শপথ গ্রহণ করেই নেন। সংবিধান সংরক্ষণ করার দায়িত্ব তাদের আছে। রাষ্ট্রীয় নীতি, সরকারি আদেশ-নিষেধ মেনে চলার বাধ্যবাধকতা আছে।
“আমি মনে করি জনপ্রতিনিধি হিসেবে সরকারি আচরণ ভঙ্গ করেছে। সেই হিসেবে তার বিরুদ্ধে সরকারি ব্যবস্থা হবে। আমি সুনির্দিষ্টভাবে তা জানি না।” মেয়রের বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি তিনি এটা অন্যায় করেছেন। যদি বলে থাকেন তাহলে আমাদের প্রচলিত আইনে নিঃসন্দেহে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে যে আইনের আওতায়ৃ সে ব্যাপারে স্থানীয় সরকারকে অনুরোধ করবো যে, এটি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।” বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর এখন কাটাখালীর পৌর মেয়রকে নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে রাজশাহীতে। আব্বাসের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাও হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কাটাখালীর মেয়রের অপরাধ শাস্তিযোগ্য: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৫১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বসানোর ‘বিরোধিতা করে’ রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্বাস আলী প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এই মেয়রের বক্তব্য খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে আহ্বান জানিছেন তিনি।
গতকাল বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি নিজের মত প্রকাশ করেন। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক অডিও টেপের সূত্র ধরে আব্বাস আলীকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ। তাদের অভিযোগ, আব্বাস আলীকে রাজশাহী সিটি গেইটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বসানোর ‘বিরোধিতা করে’ কথা বলতে শোনা গেছে ওই অডিও টেপে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আব্বাস আলী দাবি করেছেন, ওই অডিও ‘এডিট করা’। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এই বিষয়টি দলীয় ও প্রশাসনিক দিক থেকে দেখা। “দল যথাসময়ে দলীয় নীতি আদর্শ পরিপন্থিদের জন্য অবশ্যই নিয়ম অনুসারে শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যবস্থা নেবে। দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শতভাগ শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়েছে। দল যেখানে ম্যুরাল তৈরি করছে, ‘ম্যুরাল ইসলাম বিরোধী’ সে কথা বলে তিনি (মেয়র) দলীয় শৃঙ্খলা নিঃসন্দেহে ভঙ্গ করেছে।”
সরকারি কর্মচারীদের মতো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিও আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “একজন মেয়র এই আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। জনপ্রতিনিধিরা যখন দায়িত্ব নেন তারা শপথ গ্রহণ করেই নেন। সংবিধান সংরক্ষণ করার দায়িত্ব তাদের আছে। রাষ্ট্রীয় নীতি, সরকারি আদেশ-নিষেধ মেনে চলার বাধ্যবাধকতা আছে।
“আমি মনে করি জনপ্রতিনিধি হিসেবে সরকারি আচরণ ভঙ্গ করেছে। সেই হিসেবে তার বিরুদ্ধে সরকারি ব্যবস্থা হবে। আমি সুনির্দিষ্টভাবে তা জানি না।” মেয়রের বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি তিনি এটা অন্যায় করেছেন। যদি বলে থাকেন তাহলে আমাদের প্রচলিত আইনে নিঃসন্দেহে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে যে আইনের আওতায়ৃ সে ব্যাপারে স্থানীয় সরকারকে অনুরোধ করবো যে, এটি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।” বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর এখন কাটাখালীর পৌর মেয়রকে নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে রাজশাহীতে। আব্বাসের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাও হয়েছে।