ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

কাজ নেই রিকশায় ঘুরছি, মামা বাড়ি যাই…

  • আপডেট সময় : ০৩:০৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন : মোহাম্মদ মহসিন। চাকরিজীবী। লকডাউনের কারণে অফিস বন্ধ। কোনো কাজ নেই। তাই রিকশা করে মোহাম্মদপুর থেকে শান্তিনগর মামা বাড়ি যাচ্ছেন। শাহবাগে র‌্যাবের চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদে যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।
একটি ব্ল্যাংক চেক নিয়ে দুইজন যাচ্ছেন ব্যাংকে। বললেন, যাচ্ছি অগ্রণী ব্যাংকে অথচ হাতে ধরা চেক হচ্ছে ব্যাংক এশিয়ার। এমন দুজনের একজন আবু সুফিয়ান। তাকেও ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ইনি আবার উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনেই তার জরিমানার বিষয়ে তর্ক শুরু করেন।
গতকাল রোববার শাহবাগে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি ও বিনা কারণে বাসা থেকে বের না হওয়ার জন্য র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্ব পালন করছিল। এসময় ওই এলাকায় এমন কয়েকটি ঘটনা চোখে পড়েছে। আদালত পরিচালনা করেন, র্যাব ৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। পলাশ কুমার বসু বলেন, জীবনের প্রয়োজনে সকলকে সরকারের বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। বিনা কারণে বাসার বাইরে বের হওয়া যাবে না। মানুষজনকে বাইরে বেরুনোর ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা এবং করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতেই আমাদের এই ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে, মানুষকে বোঝানো। যাতে বিশেষ প্রয়োজন বা যথাযথ কাগজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের না হন। জরিমানা নয়, মানুষকে সচেতন করতে চাই আমরা। রাস্তায় চলাচলকারীদের মধ্যে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করছি। তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ কাপ্তান বাজার থেকে মাছ নিয়ে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে বিক্রি করে এখন পুরানো ঢাকায় ফিরে যাচ্ছেন। ফলে আমরা তাদেরকে জরিমানার আওতায় নিয়ে এসেছি। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীদের কাছে আমরা সন্তোষজনক উত্তর না পেলে তাদেরকে জরিমানার আওয়াতায় নিয়ে আসছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবেলায় সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের আজ তৃতীয় দিন। এবারের বিধিনিষেধ চলবে ৫ আগস্ট রাত ১২ টা পর্যন্ত। এই সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব ধরনের অফিস এবং কলকারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কাজ নেই রিকশায় ঘুরছি, মামা বাড়ি যাই…

আপডেট সময় : ০৩:০৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১

মহানগর প্রতিবেদন : মোহাম্মদ মহসিন। চাকরিজীবী। লকডাউনের কারণে অফিস বন্ধ। কোনো কাজ নেই। তাই রিকশা করে মোহাম্মদপুর থেকে শান্তিনগর মামা বাড়ি যাচ্ছেন। শাহবাগে র‌্যাবের চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদে যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।
একটি ব্ল্যাংক চেক নিয়ে দুইজন যাচ্ছেন ব্যাংকে। বললেন, যাচ্ছি অগ্রণী ব্যাংকে অথচ হাতে ধরা চেক হচ্ছে ব্যাংক এশিয়ার। এমন দুজনের একজন আবু সুফিয়ান। তাকেও ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ইনি আবার উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনেই তার জরিমানার বিষয়ে তর্ক শুরু করেন।
গতকাল রোববার শাহবাগে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি ও বিনা কারণে বাসা থেকে বের না হওয়ার জন্য র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্ব পালন করছিল। এসময় ওই এলাকায় এমন কয়েকটি ঘটনা চোখে পড়েছে। আদালত পরিচালনা করেন, র্যাব ৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। পলাশ কুমার বসু বলেন, জীবনের প্রয়োজনে সকলকে সরকারের বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। বিনা কারণে বাসার বাইরে বের হওয়া যাবে না। মানুষজনকে বাইরে বেরুনোর ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা এবং করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতেই আমাদের এই ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে, মানুষকে বোঝানো। যাতে বিশেষ প্রয়োজন বা যথাযথ কাগজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের না হন। জরিমানা নয়, মানুষকে সচেতন করতে চাই আমরা। রাস্তায় চলাচলকারীদের মধ্যে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করছি। তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ কাপ্তান বাজার থেকে মাছ নিয়ে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে বিক্রি করে এখন পুরানো ঢাকায় ফিরে যাচ্ছেন। ফলে আমরা তাদেরকে জরিমানার আওতায় নিয়ে এসেছি। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীদের কাছে আমরা সন্তোষজনক উত্তর না পেলে তাদেরকে জরিমানার আওয়াতায় নিয়ে আসছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবেলায় সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের আজ তৃতীয় দিন। এবারের বিধিনিষেধ চলবে ৫ আগস্ট রাত ১২ টা পর্যন্ত। এই সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব ধরনের অফিস এবং কলকারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে।