ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

কাজ কেড়ে নেবে এআই, ভয়ে উপন্যাস লেখকরা

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৭:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

ছবি ইন্টারনেট

প্রযুক্তি ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সাহিত্য রচনায় দাপিয়ে বেড়াবে, আর এতে উপন্যাস লেখকদের পেশায় প্রভাব পড়বে, এমন ভয় তৈরি হয়েছে।
নতুন এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রায় অর্ধেক ঔপন্যাসিক ধারণা করছেন, এআই তাদের কাজ ‘পুরোপুরিভাবে বদলে’ দিতে পারে। এ প্রতিবেদন তৈরিতে তিনশ ৩২ জন লেখকের ওপর জরিপ চালিয়েছেন ‘কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি’র ‘মাইন্ডেরু সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ বা এমসিটিডি’র ড. ক্লেমেন্টিন কোলেট। তিনি বলেছেন, ঔপন্যাসিকরা এমন উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন যে, কথাসাহিত্যের ওপর প্রশিক্ষিত জেনারেটিভ এআই লেখার মূল্য ব্যাপকহারে কমিয়ে দেবে ও তাদের কাজের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা করতে পারে।
প্রতিবেদন বলছে, সম্পূর্ণ উপন্যাস এআই লিখতে পারবে এমন ধারণার প্রতি ‘অত্যান্ত নেতিবাচক’ মনোভাব দেখিয়েছেন জরিপের ৯৭ শতাংশ ঔপন্যাসিকই। প্রায় ৪০ শতাংশ লেখক বলেছেন, উপন্যাস লেখা ছাড়াও অন্যান্য যেসব কাজ থেকে অর্থ পেতেন তারা– এমন আয়ের ওপর এরইমধ্যে প্রভাব ফেলেছে এআই।
‘ইনস্টিটিউট ফর দ্য ফিউচার অফ ওয়ার্ক’-এর সঙ্গে মিলে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন কোলেট। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে জটিল ও দীর্ঘ লেখা পড়ার জন্য মানুষের মনে ক্ষুধা থাকবে কি না তা নিয়েও অনেক ঔপন্যাসিকের মধ্যে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, অনেক লেখক বলেছেন, প্রকাশিত এমন কিছু বই তারা খুঁজে পেয়েছেন, যেখানে এসব বই তাদের লেখা বলে মিথ্যা দাবি করেছে। এ ছাড়া, জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৬০ শতাংশ লেখক বলেছেন, এআইয়ের লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল বা এলএলএম প্রশিক্ষণের জন্য অনুমতি বা কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই ব্যবহৃত হয়েছে তাদের কাজ।

ড. কোলেট বলেছেন, সৃষ্টিশীল মানুষদের আরো সুরক্ষা দিতে কপিরাইট আইনকে নিয়মিত পর্যালোচনা করতে ও প্রয়োজনে সংস্কারেরও দরকার হতে পারে। লেখকদের কাজ ব্যবহারের আগে অনুমতি নেওয়া ও তাদের যথার্থ পারিশ্রমিক দেওয়ায় ন্যায়সঙ্গত হবে।
এ জরিপে প্রতি পাঁচজন উত্তরদাতার মধ্যে চারজন একমত হয়েছেন যে, সমাজের জন্য কিছু সুফল বয়ে আনতে পারে এআই। তবে নিজেদের কাজের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার এবং সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সমর্থনের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

‘মাইন্ডেরু সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক জিনা নেফ বলেছেন এআই দৌড়ে টিকে থাকার জন্য আমাদের শিল্প-সাহিত্য, লেখক ও সৃজনশীল বিভিন্ন কাজের ক্ষতি বা এগুলোকে তুচ্ছ মনে করা ঠিক নয়। এগুলো আমাদের দেশের মূল্যবান সম্পদ, যেগুলো রক্ষা করা উচিত।
সানা/আপ্র/২২/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

কাজ কেড়ে নেবে এআই, ভয়ে উপন্যাস লেখকরা

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

প্রযুক্তি ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সাহিত্য রচনায় দাপিয়ে বেড়াবে, আর এতে উপন্যাস লেখকদের পেশায় প্রভাব পড়বে, এমন ভয় তৈরি হয়েছে।
নতুন এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রায় অর্ধেক ঔপন্যাসিক ধারণা করছেন, এআই তাদের কাজ ‘পুরোপুরিভাবে বদলে’ দিতে পারে। এ প্রতিবেদন তৈরিতে তিনশ ৩২ জন লেখকের ওপর জরিপ চালিয়েছেন ‘কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি’র ‘মাইন্ডেরু সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ বা এমসিটিডি’র ড. ক্লেমেন্টিন কোলেট। তিনি বলেছেন, ঔপন্যাসিকরা এমন উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন যে, কথাসাহিত্যের ওপর প্রশিক্ষিত জেনারেটিভ এআই লেখার মূল্য ব্যাপকহারে কমিয়ে দেবে ও তাদের কাজের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা করতে পারে।
প্রতিবেদন বলছে, সম্পূর্ণ উপন্যাস এআই লিখতে পারবে এমন ধারণার প্রতি ‘অত্যান্ত নেতিবাচক’ মনোভাব দেখিয়েছেন জরিপের ৯৭ শতাংশ ঔপন্যাসিকই। প্রায় ৪০ শতাংশ লেখক বলেছেন, উপন্যাস লেখা ছাড়াও অন্যান্য যেসব কাজ থেকে অর্থ পেতেন তারা– এমন আয়ের ওপর এরইমধ্যে প্রভাব ফেলেছে এআই।
‘ইনস্টিটিউট ফর দ্য ফিউচার অফ ওয়ার্ক’-এর সঙ্গে মিলে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন কোলেট। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে জটিল ও দীর্ঘ লেখা পড়ার জন্য মানুষের মনে ক্ষুধা থাকবে কি না তা নিয়েও অনেক ঔপন্যাসিকের মধ্যে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, অনেক লেখক বলেছেন, প্রকাশিত এমন কিছু বই তারা খুঁজে পেয়েছেন, যেখানে এসব বই তাদের লেখা বলে মিথ্যা দাবি করেছে। এ ছাড়া, জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৬০ শতাংশ লেখক বলেছেন, এআইয়ের লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল বা এলএলএম প্রশিক্ষণের জন্য অনুমতি বা কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই ব্যবহৃত হয়েছে তাদের কাজ।

ড. কোলেট বলেছেন, সৃষ্টিশীল মানুষদের আরো সুরক্ষা দিতে কপিরাইট আইনকে নিয়মিত পর্যালোচনা করতে ও প্রয়োজনে সংস্কারেরও দরকার হতে পারে। লেখকদের কাজ ব্যবহারের আগে অনুমতি নেওয়া ও তাদের যথার্থ পারিশ্রমিক দেওয়ায় ন্যায়সঙ্গত হবে।
এ জরিপে প্রতি পাঁচজন উত্তরদাতার মধ্যে চারজন একমত হয়েছেন যে, সমাজের জন্য কিছু সুফল বয়ে আনতে পারে এআই। তবে নিজেদের কাজের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার এবং সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সমর্থনের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

‘মাইন্ডেরু সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক জিনা নেফ বলেছেন এআই দৌড়ে টিকে থাকার জন্য আমাদের শিল্প-সাহিত্য, লেখক ও সৃজনশীল বিভিন্ন কাজের ক্ষতি বা এগুলোকে তুচ্ছ মনে করা ঠিক নয়। এগুলো আমাদের দেশের মূল্যবান সম্পদ, যেগুলো রক্ষা করা উচিত।
সানা/আপ্র/২২/১১/২০২৫