সিলেট সংবাদদাতা : বকেয়া মজুরি প্রদান ও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল চা কোম্পানির সবকটি বাগানের চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে শ্রমিকেরা ফের চা বাগানে কাজ যোগ দিচ্ছেন বলে গতকাল সোমবার দুপুরে ন্যাশনাল টি কোম্পানি-এনটিসির মহাব্যবস্থাপক এমদাদুল হক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “রোববার শ্রীমঙ্গলে আমাদের মিটিংয়ে সমস্যার সমাধান হয়েছে। বুধবার শ্রমিকদের দুই সপ্তাহের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। বাকি বেতন পর্যারক্রমে দেওয়া হবে। তাই আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শ্রমিকরা ফের কাজে ফিরছেন।’’ এদিকে চা সংগ্রহের মৌসুমে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করায় প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন এমদাদুল। তিনি বলেন, “প্রত্যেকটি চা বাগান চলে একটা কাজের পর আরেকটা কাজের ওপর, এটাই সিস্টেম। শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রাখায় আমরা পিছিয়ে পড়েছি; এটার প্রভাব পড়বে সামনে।“তবে মাঠের শ্রমিকরা কাজে যেতে ইচ্ছুক হয়েছে। বেতন শুধু শ্রমিকদের বন্ধ ছিল না, বাগানের স্টাফ ও কারখানা কাজের লোকদেরও বন্ধ ছিল।’’বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু গোয়ালা বলেন, “বেতন পরিশোধের আশ্বাসে বৃহস্পতিবার থেকে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের এনটিসি বাগানের শ্রমিকেরা কাজ শুরু করবেন।“সিলেটের লাক্কাতুরা, কেওয়াছড়া ও দলদলি এই তিনটি বাগানসহ এনটিসির অধীন বাকি বাগান মিলে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক রয়েছেন। আর এই শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। তিন মাস ধরে বেতন বকেয়া থাকায় কষ্টে দিন কাটিয়েছেন তারা।’’ সিলেটের দলদলি চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি মিন্টু দাস বলেন, “বেতন বন্ধ থাকায় চা শ্রমিকরা খেয়ে, না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। বুধবার বেতন দেওয়া হলে বৃহস্পতিবার থেকে শ্রমিকেরা কাজে ফিরবে।’’
জনপ্রিয় সংবাদ