ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
জাতীয় কবির সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা

নজরুল গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা

  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: উন্নত ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা কাজী নজরুল ইসলাম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ কথা বলেন।

১২ ভাদ্র, কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের এই দিনে কবির মহাকাব্যিক জীবনের অবসান ঘটে। দীর্ঘদিন নির্বাক থাকার পর ৭৭ বছর বয়সে ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কবির প্রয়াণদিবসে সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তার সমাধিস্থলে ফুল হাতে ভিড় করেন ভক্ত-অনুরাগী, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা।
এ সময় নজরুলের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে রিজভী বলেন, উন্নত ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র কাজী নজরুল ইসলামের চেতনা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ জাতীয় আন্দোলন সংগ্রামের অনুপ্রেরণাও ছিলেন কবি। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, স্বৈরাচার সরকারের পতন হলেও দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রমজানের আগেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ১৫ বছরের বঞ্চিত মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে, যা বলে গেছেন কবি। খালেদা জিয়া তারেক রহমান তার চেতনাকে ধারণ করে সংগ্রাম চালিয়ে এসেছেন।
কবির চেতনার নানা দিক তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, উন্নত ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা কাজী নজরুল ইসলাম। জাতি যখন দিশেহারা হন তখন তার লেখা হয়ে ওঠে আদর্শ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান সবসময়ই কবির লেখা ছিল প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম মানবতার কবি, প্রেমের কবি ও দ্রোহের কবি, তিন রূপেই তিনি ধরা দিয়েছেন। স্বাধীনতার সংগ্রাম, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, নব্বইয়ের গণআন্দোলন কিংবা সাম্প্রতিক দুনিয়া কাঁপানো গণঅভ্যুত্থান, প্রতিটি জাতীয় অর্জন ও সংগ্রামে তার গান ও কবিতা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে, রাজপথে এনেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা তার গান গাইতে গাইতে, কবিতা আবৃত্তি করতে করতে রাজপথে নেমে এসেছি। তার অনুপ্রেরণাতেই স্বৈরশাসনের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পেরেছি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাসাসের আহ্বায়ক চিত্র নায়ক হেলাল খান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদ আউয়াল, যুগ্ম-সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।

এসি/আপ্র/২৭/৮/২০২৫
সানা/আপ্র/২৭/৮/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পেশা বদলাচ্ছেন শিক্ষকরা

জাতীয় কবির সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা

নজরুল গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা

আপডেট সময় : ১১:৪৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: উন্নত ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা কাজী নজরুল ইসলাম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ কথা বলেন।

১২ ভাদ্র, কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের এই দিনে কবির মহাকাব্যিক জীবনের অবসান ঘটে। দীর্ঘদিন নির্বাক থাকার পর ৭৭ বছর বয়সে ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কবির প্রয়াণদিবসে সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তার সমাধিস্থলে ফুল হাতে ভিড় করেন ভক্ত-অনুরাগী, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা।
এ সময় নজরুলের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে রিজভী বলেন, উন্নত ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র কাজী নজরুল ইসলামের চেতনা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ জাতীয় আন্দোলন সংগ্রামের অনুপ্রেরণাও ছিলেন কবি। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, স্বৈরাচার সরকারের পতন হলেও দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রমজানের আগেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ১৫ বছরের বঞ্চিত মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে, যা বলে গেছেন কবি। খালেদা জিয়া তারেক রহমান তার চেতনাকে ধারণ করে সংগ্রাম চালিয়ে এসেছেন।
কবির চেতনার নানা দিক তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, উন্নত ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা কাজী নজরুল ইসলাম। জাতি যখন দিশেহারা হন তখন তার লেখা হয়ে ওঠে আদর্শ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান সবসময়ই কবির লেখা ছিল প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম মানবতার কবি, প্রেমের কবি ও দ্রোহের কবি, তিন রূপেই তিনি ধরা দিয়েছেন। স্বাধীনতার সংগ্রাম, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, নব্বইয়ের গণআন্দোলন কিংবা সাম্প্রতিক দুনিয়া কাঁপানো গণঅভ্যুত্থান, প্রতিটি জাতীয় অর্জন ও সংগ্রামে তার গান ও কবিতা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে, রাজপথে এনেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা তার গান গাইতে গাইতে, কবিতা আবৃত্তি করতে করতে রাজপথে নেমে এসেছি। তার অনুপ্রেরণাতেই স্বৈরশাসনের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পেরেছি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাসাসের আহ্বায়ক চিত্র নায়ক হেলাল খান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদ আউয়াল, যুগ্ম-সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।

এসি/আপ্র/২৭/৮/২০২৫
সানা/আপ্র/২৭/৮/২০২৫