রংপুর সংবাদদাতা: রংপুরের বাজারে দুদিনের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমে এসেছে কাঁচামরিচের দাম। সেইসঙ্গে দাম কমেছে পোলট্রি মুরগির ডিমের। তবে দাম বেড়েছে অধিকাংশ সবজির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, মাংস, চাল, ডাল ও তেল।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুদিন আগে বৃষ্টির অজুহাতে কাঁচামরিচ ৩০০-৩২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও সোমবার তা অর্ধেকে নেমে ১৬০-১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৬ টাকা। পাইকারি বাজারে ৩০ পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩১৫ টাকা, যা হালিতে ৪২ টাকা।
এছাড়া খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭২ টাকা।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে টমেটো ও গাজর ১৪০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০-৭০ টাকা, ঝিংগা ৭০-৮০ টাকা, মুলার দাম কমে আগের মতো ৪০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) দাম বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, কাঁচকলা ৩০-৩৫ টাকা হালি, দুদকুষি ৪০-৫০ টাকা, চিকন বেগুন ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৯০-১০০ টাকা ঢ্যাঁড়স ৭-৮০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, বরবটির দাম বেড়ে ৮০-১০০ টাকা, শিম ১৬০-১৮০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৩০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, কচুর বই আগের মতো ২৫-৩০ টাকা, লেবুর হালি ১০ টাকা থেকে বেড়ে ২০-২৫ টাকা, ধনেপাতা ২৫০-৩০০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে, দেশি আদা ১৪০-১৬০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৮০-২০০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৫-২০ টাকা, শিল আলু ৪০-৪৫ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির কারণে মরিচসহ বিভিন্ন সবজির আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমলেও অধিকাংশ সবজি ও পেঁয়াজের দাম এখনও কমেনি।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড জাতের মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) ১৫০-১৬০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনি ১১০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটার দাম বেড়ে ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসি/আপ্র/০৭/১০/২০২৫