নীলফামারী সংবাদদাতা: নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে এ বছর উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় একজনই পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার ( ১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ওই পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, খায়রুল ইসলাম নামের একজন শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠান থেকে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ফেল করেন। তিনি এ বছর আবারো প্রতিষ্ঠানটি থেকে ফরম ফিলাপ করে ওই এক বিষয়ে সৈয়দপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।
সূত্রটি আরো জানায়, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে শিক্ষকরা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে সাতজন শিক্ষক এবং দুইজন কর্মচারী রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুই একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী নিয়ে কোনোরকমে চলছে এ প্রতিষ্ঠান। কলেজের শিক্ষকরাও নিয়মিত আসেন না। ক্লাস ঠিকমতো হয় না প্রতিদিন আগেই ছুটি হয় প্রতিষ্ঠানটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চান না কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হোক। তাই তিনি শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে অনাগ্রহী। আমরা তাকে একাধিকবার বললেও তিনি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে চান না। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির জমি নিয়েও রয়েছে জটিলতা। ১০ বছর আগে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হলেও আমরা কোনো বেতন-ভাতা পাই না।
অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থী খাইরুল ইসলাম বলেন, আমি ১৪০০ টাকা দিয়ে কলেজে ভর্তি হই। এরপর ক্লাস করার জন্য অধ্যক্ষ স্যারকে কল দিলে তিনি বলেন যে তুমি বাসায় এবং প্রাইভেট পড়।
তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিম।
সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রামানিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি থেকে একজন মাত্র শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ফেল করার বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসি/আপ্র/১৭/১০/২০২৫