ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

কলা-রুটির দাম বৃদ্বিতে বিপাকে নি¤œবিত্ত

  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাধারণ মানুষের নিত্য খাবারের তালিকায় কলা-রুটি একসময় সুলভে মিললেও বিগত সময়ে বেড়ে গেছে এর খুচরা দাম। এতে বিপাকে পড়েছে নি¤œবিত্তের মানুষ। সকালের নাশতা বা দুপুরের আগে এই খাবার অনেকের নিয়মিত। ১০ টাকায় কলা-রুটি পাওয়া যেতো। এখন লাগছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। হালকা খাবার হিসেবে কলা-রুটি বেশ উপাদেয়। প্রায় সব বয়সী মানুষই কলা-রুটি খেয়ে থাকেন। তবে নি¤œবিত্তদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্নরকম। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে অনেক ক্ষুদ্রআয়ের মানুষের এক বেলার প্রধান খাবার কলা আর রুটি। বছর দুয়েক আগে পাঁচ থেকে সাত টাকায় রুটি বা কেক পাওয়া গেলেও এখন ১০ টাকার নিচে কোনো রুটি বা কেক নেই। কলার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। আগে পাঁচ টাকা দিয়ে একটি পাকা কলা পাওয়া গেলেও পরে তার দাম সাত টাকা এবং সবশেষ ১০ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে কোনো মতো পেট ভরে খেতে হলেও ২০ থেকে ৩০ টাকা চলে যাচ্ছে। এমনকি বেড়েছে রুটির আনুষঙ্গিক পানীয় চায়ের দামও। রাজধানীর সবখানেই এখন এক কাপ দুধ চায়ের দাম সাত থেকে ১০ টাকা। পাঁচ টাকার চা যেন এখন অতীত। মগবাজারের এক চায়ের স্টলে সিএনজিচালক ফরিদ উদ্দিন বলেন, আগে এক কাপ চা, রুটি আর কলা ২০ টাকার মধ্যেই ভালোভাবে খাওয়া যেতো। অথচ এখন ৩০-৪০ টাকা লাগতেছে। এক বেলার খাবারেই যদি এতো টাকা যায় তাহলে বাকি বেলায় খাবো কী! একই স্টলে ছিলেন রিকশাচালক আব্দুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, আগে কলা-রুটি আর চা একসঙ্গে খাইতে পারলেও এখন আর সম্ভব হইতাছে না। হয় চা দিয়ে রুটি খাওয়া লাগে, না হয় কলা দিয়ে। ফার্মগেটের এক চায়ের দোকানে চা আর রুটি খাচ্ছিলেন দিনমজুর কোরবান আলী। তিনি বলেন, হোটেলে পরোটা-ভাজির দাম বেড়ে গেছে। তাই চাইলেও ওখানে নাশতা করা যায় না। তাই চা রুটি দিয়েই নাশতা করছি। তবে এতেও পেট ভরে না। দাম বাড়লেও রুটির আকার বাড়েনি, বরং কমে গেছে। কেন কলা-রুটির দাম বেড়েছে এমন প্রশ্নে পৃথকভাবে কথা হয় কারওয়ানবাজারের কলা ব্যবসায়ী রেজাউল করিম এবং নিউ বেকারির ম্যানেজার সোলাইমান হোসেনের সঙ্গে। রেজাউল করিম বলেন, মূলত কলা উৎপাদনের খরচ বেড়ে গেছে। সারের দাম বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে মজুরি খরচও। এছাড়া তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচও বেড়ে গেছে। কলার বেশিরভাগ চালান আসে দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ থেকে। কলার দাম কেমন এমন প্রশ্নে করিম বলেন, দিনাজপুরের সাগর কলার দাম প্রতি হালি ২০ টাকা, চুয়াডাঙ্গার সবরি কলার দাম হালি ২৭ টাকা এবং ময়মনসিংহের চম্পা কলার দাম এক হালি ৫০ টাকা। এসব কলা ব্যবসায়ীদের থেকে নিয়ে খুচরা দোকানে বিক্রি করতে গেলে দাম আরও বাড়ে। অন্যদিকে নিউ বেকারির ম্যানেজার সোলাইমান হোসেন বলেন, বেকারি পণ্য তৈরির মূল উপাদান আটা, ময়দা, তেলের দাম বেড়েছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি বেকারির খাবারের পদের দাম বাড়াতে হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচন ভণ্ডুল করার অপচেষ্টাকে রুখে দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

কলা-রুটির দাম বৃদ্বিতে বিপাকে নি¤œবিত্ত

আপডেট সময় : ০২:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাধারণ মানুষের নিত্য খাবারের তালিকায় কলা-রুটি একসময় সুলভে মিললেও বিগত সময়ে বেড়ে গেছে এর খুচরা দাম। এতে বিপাকে পড়েছে নি¤œবিত্তের মানুষ। সকালের নাশতা বা দুপুরের আগে এই খাবার অনেকের নিয়মিত। ১০ টাকায় কলা-রুটি পাওয়া যেতো। এখন লাগছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। হালকা খাবার হিসেবে কলা-রুটি বেশ উপাদেয়। প্রায় সব বয়সী মানুষই কলা-রুটি খেয়ে থাকেন। তবে নি¤œবিত্তদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্নরকম। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে অনেক ক্ষুদ্রআয়ের মানুষের এক বেলার প্রধান খাবার কলা আর রুটি। বছর দুয়েক আগে পাঁচ থেকে সাত টাকায় রুটি বা কেক পাওয়া গেলেও এখন ১০ টাকার নিচে কোনো রুটি বা কেক নেই। কলার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। আগে পাঁচ টাকা দিয়ে একটি পাকা কলা পাওয়া গেলেও পরে তার দাম সাত টাকা এবং সবশেষ ১০ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে কোনো মতো পেট ভরে খেতে হলেও ২০ থেকে ৩০ টাকা চলে যাচ্ছে। এমনকি বেড়েছে রুটির আনুষঙ্গিক পানীয় চায়ের দামও। রাজধানীর সবখানেই এখন এক কাপ দুধ চায়ের দাম সাত থেকে ১০ টাকা। পাঁচ টাকার চা যেন এখন অতীত। মগবাজারের এক চায়ের স্টলে সিএনজিচালক ফরিদ উদ্দিন বলেন, আগে এক কাপ চা, রুটি আর কলা ২০ টাকার মধ্যেই ভালোভাবে খাওয়া যেতো। অথচ এখন ৩০-৪০ টাকা লাগতেছে। এক বেলার খাবারেই যদি এতো টাকা যায় তাহলে বাকি বেলায় খাবো কী! একই স্টলে ছিলেন রিকশাচালক আব্দুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, আগে কলা-রুটি আর চা একসঙ্গে খাইতে পারলেও এখন আর সম্ভব হইতাছে না। হয় চা দিয়ে রুটি খাওয়া লাগে, না হয় কলা দিয়ে। ফার্মগেটের এক চায়ের দোকানে চা আর রুটি খাচ্ছিলেন দিনমজুর কোরবান আলী। তিনি বলেন, হোটেলে পরোটা-ভাজির দাম বেড়ে গেছে। তাই চাইলেও ওখানে নাশতা করা যায় না। তাই চা রুটি দিয়েই নাশতা করছি। তবে এতেও পেট ভরে না। দাম বাড়লেও রুটির আকার বাড়েনি, বরং কমে গেছে। কেন কলা-রুটির দাম বেড়েছে এমন প্রশ্নে পৃথকভাবে কথা হয় কারওয়ানবাজারের কলা ব্যবসায়ী রেজাউল করিম এবং নিউ বেকারির ম্যানেজার সোলাইমান হোসেনের সঙ্গে। রেজাউল করিম বলেন, মূলত কলা উৎপাদনের খরচ বেড়ে গেছে। সারের দাম বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে মজুরি খরচও। এছাড়া তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচও বেড়ে গেছে। কলার বেশিরভাগ চালান আসে দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ থেকে। কলার দাম কেমন এমন প্রশ্নে করিম বলেন, দিনাজপুরের সাগর কলার দাম প্রতি হালি ২০ টাকা, চুয়াডাঙ্গার সবরি কলার দাম হালি ২৭ টাকা এবং ময়মনসিংহের চম্পা কলার দাম এক হালি ৫০ টাকা। এসব কলা ব্যবসায়ীদের থেকে নিয়ে খুচরা দোকানে বিক্রি করতে গেলে দাম আরও বাড়ে। অন্যদিকে নিউ বেকারির ম্যানেজার সোলাইমান হোসেন বলেন, বেকারি পণ্য তৈরির মূল উপাদান আটা, ময়দা, তেলের দাম বেড়েছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি বেকারির খাবারের পদের দাম বাড়াতে হয়েছে।