ঢাকা ১২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কর্মী ভিসা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তে মহাসংকটে ভারত

  • আপডেট সময় : ০১:০০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভিসা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তে মহাসংকটে ভারত। গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ কর্মী ভিসার (এইচ-১বি ভিসা) জন্য নতুন আবেদনকারীদের এক লাখ ডলার (প্রায় ৮৮ লাখ রুপি) ফি দিতে হবে। বর্তমানে এই ফি ১ হাজার ৫০০ ডলার।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে মহাসংকটে পড়েছে ভারত। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষ কর্মী ভিসার প্রায় ৭০ শতাংশই পান ভারতীয় নাগরিকরা। ফলে এ সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে ভারতীয়দের ওপর। ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে ‘মানবিক বিপর্যয়’ তৈরি হতে পারে বলে এরই মধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।

শনিবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত পরিবারগুলোর জন্য গুরুতর মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তারা আশা করে, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের সমস্যার সমাধানে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষ কর্মীদের বিনিময় দুই দেশের অর্থনীতি ও সম্পর্ককে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করেছে। তাই নীতিনির্ধারকদের এ ধরনের পদক্ষেপ পারস্পরিক স্বার্থ বিবেচনা করেই গ্রহণ করা উচিত।

ভারত-যুক্তরাষ্ট্র টানাপড়েন
চড়া শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে গত মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। এর মধ্যে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারতের শীর্ষ আইটি খাতের সংগঠন ন্যাসকম বলেছে, এ ধরনের বড় পরিবর্তন ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মারাত্মক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

হোয়াইট হাউজের দাবি, এইচ-১বি ভিসা প্রকৃত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে না, বরং কিছু ক্ষেত্রে এর অপব্যবহার হচ্ছে মার্কিন শ্রমবাজারে মজুরি কমানো ও আইটি চাকরি আউটসোর্সের জন্য। তবে প্রেসিডেন্টের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজনে ব্যতিক্রমী ছাড় দেওয়া হতে পারে।

প্রতিষ্ঠানগুলোর সতর্কতা
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪ লাখ এইচ-১বি ভিসা অনুমোদন করা হয়েছিল, যার মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ছিল নবায়ন। চলতি বছরের প্রথমার্ধে সবচেয়ে বেশি এই ভিসা অনুমোদন পেয়েছে অ্যামাজন— ১০ হাজার ৪৪টি। এরপর রয়েছে ভারতের টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস), তারা পেয়েছে ৫ হাজার ৫০৫টি ভিসা।

ট্রাম্পের ঘোষণার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও জেপি মর্গান তাদের এইচ-১বি ভিসাধারী কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। যারা দেশটির বাইরে আছেন, তাদের দ্রুত ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এ নির্দেশ বর্তমান ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে নতুন ফি আরোপ করবে না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

সূত্র: বিবিসি

এসি/আপ্র/২১/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পৃথিবীর অষ্টম সর্বোচ্চ চূড়া ‘মানাসলু’ জয় তমালের

কর্মী ভিসা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তে মহাসংকটে ভারত

আপডেট সময় : ০১:০০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভিসা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তে মহাসংকটে ভারত। গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ কর্মী ভিসার (এইচ-১বি ভিসা) জন্য নতুন আবেদনকারীদের এক লাখ ডলার (প্রায় ৮৮ লাখ রুপি) ফি দিতে হবে। বর্তমানে এই ফি ১ হাজার ৫০০ ডলার।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে মহাসংকটে পড়েছে ভারত। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষ কর্মী ভিসার প্রায় ৭০ শতাংশই পান ভারতীয় নাগরিকরা। ফলে এ সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে ভারতীয়দের ওপর। ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে ‘মানবিক বিপর্যয়’ তৈরি হতে পারে বলে এরই মধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।

শনিবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত পরিবারগুলোর জন্য গুরুতর মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তারা আশা করে, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের সমস্যার সমাধানে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষ কর্মীদের বিনিময় দুই দেশের অর্থনীতি ও সম্পর্ককে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করেছে। তাই নীতিনির্ধারকদের এ ধরনের পদক্ষেপ পারস্পরিক স্বার্থ বিবেচনা করেই গ্রহণ করা উচিত।

ভারত-যুক্তরাষ্ট্র টানাপড়েন
চড়া শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে গত মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। এর মধ্যে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারতের শীর্ষ আইটি খাতের সংগঠন ন্যাসকম বলেছে, এ ধরনের বড় পরিবর্তন ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মারাত্মক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

হোয়াইট হাউজের দাবি, এইচ-১বি ভিসা প্রকৃত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে না, বরং কিছু ক্ষেত্রে এর অপব্যবহার হচ্ছে মার্কিন শ্রমবাজারে মজুরি কমানো ও আইটি চাকরি আউটসোর্সের জন্য। তবে প্রেসিডেন্টের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজনে ব্যতিক্রমী ছাড় দেওয়া হতে পারে।

প্রতিষ্ঠানগুলোর সতর্কতা
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪ লাখ এইচ-১বি ভিসা অনুমোদন করা হয়েছিল, যার মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ছিল নবায়ন। চলতি বছরের প্রথমার্ধে সবচেয়ে বেশি এই ভিসা অনুমোদন পেয়েছে অ্যামাজন— ১০ হাজার ৪৪টি। এরপর রয়েছে ভারতের টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস), তারা পেয়েছে ৫ হাজার ৫০৫টি ভিসা।

ট্রাম্পের ঘোষণার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও জেপি মর্গান তাদের এইচ-১বি ভিসাধারী কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। যারা দেশটির বাইরে আছেন, তাদের দ্রুত ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এ নির্দেশ বর্তমান ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে নতুন ফি আরোপ করবে না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

সূত্র: বিবিসি

এসি/আপ্র/২১/০৯/২০২৫