ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

কর্মীরা চান হরতাল, ফখরুল বললেন আগে রাস্তা দখল

  • আপডেট সময় : ০১:২৭:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির কর্মীরা হরতালের দাবি তুলে স্লোগান দিয়েছেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগে রাস্তা দখল করো।’
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল। ফখরুলের বক্তব্যের শেষ দিকে উপস্থিত কর্মীরা ‘হরতাল’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। বিএনপির মহাসচিব তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগে রাজপথ দখল করো।’ ফখরুলের বক্তব্য শেষ হয়ে গেলেও কর্মীরা ‘হরতাল’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ঘোষণা করছি, আগামী পরশু দিন থেকে প্রতিটি অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ করবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে পরবর্তী কর্মসূচি দেব।’
কর্মীদের রাস্তায় নামতে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাস্তায় না নামলে কিছুই হবে না। রাস্তা দখল করতে হবে। সবাই তৈরি হয়ে যান। এই সরকারকে টেনেহিঁচড়ে নামাব।’
সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের উদ্দেশে সরকারকে আর কোনো সময় দেওয়া যাবে না বলেও জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘গর্জে উঠতে হবে। রাস্তাঘাট দখল করতে হবে। ক্ষমতাসীনদের নামিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে হারিকেন হাতে বিএনপির নেতাদের বিক্ষোভের ঘটনায় গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির নেতাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিতে বলেন। এর জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হারিকেন ধরিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে আপনাদের। হারিকেন ধরার টাইম পাবেন না। পেছনের দরজা দিয়ে যাওয়ারও সময় পাবেন না।’ শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে ফখরুল বলেন, ‘জনগণ পালাতে দেয় না। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে বর্তমান সরকার শ্মশানে পরিণত করেছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ভোলায় নিহত রহিমের মায়ের বুক চাপড়ানোর দৃশ্য নতুন নয়। ফিলিস্তিনের মায়েরা যেভাবে বুক থাপড়ে কাঁদে, এটা সেই দৃশ্য। ১৪ বছর ধরে বিএনপি সেই দৃশ্য দেখে আসছে।’ তাঁদের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে থাকতে থাকতে হয়রান হয়ে গেছেন বলেও জানান ফখরুল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘রহিমের রক্তের মধ্য দিয়ে সরকারের বিদায়ের সূচনা শুরু হয়েছে। পুলিশ একটি দলকে খুশি করতে জনগণের ওপর গুলি ছুড়ছে।’
সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ে মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি, যা অন্তত ৩০ শতাংশ হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম প্রমুখ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কর্মীরা চান হরতাল, ফখরুল বললেন আগে রাস্তা দখল

আপডেট সময় : ০১:২৭:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির কর্মীরা হরতালের দাবি তুলে স্লোগান দিয়েছেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগে রাস্তা দখল করো।’
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল। ফখরুলের বক্তব্যের শেষ দিকে উপস্থিত কর্মীরা ‘হরতাল’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। বিএনপির মহাসচিব তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগে রাজপথ দখল করো।’ ফখরুলের বক্তব্য শেষ হয়ে গেলেও কর্মীরা ‘হরতাল’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ঘোষণা করছি, আগামী পরশু দিন থেকে প্রতিটি অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ করবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে পরবর্তী কর্মসূচি দেব।’
কর্মীদের রাস্তায় নামতে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাস্তায় না নামলে কিছুই হবে না। রাস্তা দখল করতে হবে। সবাই তৈরি হয়ে যান। এই সরকারকে টেনেহিঁচড়ে নামাব।’
সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের উদ্দেশে সরকারকে আর কোনো সময় দেওয়া যাবে না বলেও জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘গর্জে উঠতে হবে। রাস্তাঘাট দখল করতে হবে। ক্ষমতাসীনদের নামিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে হারিকেন হাতে বিএনপির নেতাদের বিক্ষোভের ঘটনায় গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির নেতাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিতে বলেন। এর জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হারিকেন ধরিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে আপনাদের। হারিকেন ধরার টাইম পাবেন না। পেছনের দরজা দিয়ে যাওয়ারও সময় পাবেন না।’ শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে ফখরুল বলেন, ‘জনগণ পালাতে দেয় না। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে বর্তমান সরকার শ্মশানে পরিণত করেছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ভোলায় নিহত রহিমের মায়ের বুক চাপড়ানোর দৃশ্য নতুন নয়। ফিলিস্তিনের মায়েরা যেভাবে বুক থাপড়ে কাঁদে, এটা সেই দৃশ্য। ১৪ বছর ধরে বিএনপি সেই দৃশ্য দেখে আসছে।’ তাঁদের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে থাকতে থাকতে হয়রান হয়ে গেছেন বলেও জানান ফখরুল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘রহিমের রক্তের মধ্য দিয়ে সরকারের বিদায়ের সূচনা শুরু হয়েছে। পুলিশ একটি দলকে খুশি করতে জনগণের ওপর গুলি ছুড়ছে।’
সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ে মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি, যা অন্তত ৩০ শতাংশ হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম প্রমুখ।