ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

সাইদুর রহমান আপন : বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁইনাই, এবং বৈষম্য নিপাত যাক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুক্তি পাক। এই স্লোগান ধারণ করে শেরপুরে পহেলা জুলাই থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতিতেে গছে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কর্মবিরতির তৃতীয় দিন গতকাল বুধবার সকাল থেকে গ্রাহক সেবার পাশাপাশি তারা কর্মবিরতিও পালন করছে বিভিন্ন দাবী ও স্লোগান এর মাধ্যমে। উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও এর অধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সর্ব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করার দাবিতে কর্মবিরতিতে নেমেছেন সারা দেশের পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎসেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রাহকরা। যদিও আন্দোলনকারীরা বলছেন, বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি বিদ্যুৎসেবা চালু রেখেই কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। নিজেদের ন্যায্য দাবি নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিআরইবিকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হলেও সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা বিআরইবি কোনো সমাধান না করে উল্টো দমন, নিপীড়ন, শোষণের অংশ হিসেবে সাময়িক বরখাস্তসহ নানাবিধ হয়রানি করা হচ্ছে।
তারা জানান, পরবর্তীকালে বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী, দাবি-দাওয়া উল্লেখ করে সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৭ হাজার ৫৪২ কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষর সংবলিত চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেওয়া হয়। কিš ‘কোনো আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনকি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সমিতির যেসব কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড, সংযুক্ত ও স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে, তাদের সবাইকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। তাই আবারও বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিপীড়ন ও শোষণ থেকে বাঁচতে পুনরায় কর্মবিরতিতে যেতে হলো।
কর্মবিরতিকালে বক্তব্য রাখেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মোঃ লুৎফর রহমান, লাইনম্যান গ্রেড (১) মোঃ শাহিনুর, ওয়ার্নিং ইন্সপেক্টর মোঃ আবুল কালাম আজাদ, এজিএম অর্থ মোঃ অলি উদ্দিন আহমেদ সহ বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

আপডেট সময় : ১২:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

সাইদুর রহমান আপন : বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁইনাই, এবং বৈষম্য নিপাত যাক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুক্তি পাক। এই স্লোগান ধারণ করে শেরপুরে পহেলা জুলাই থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতিতেে গছে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কর্মবিরতির তৃতীয় দিন গতকাল বুধবার সকাল থেকে গ্রাহক সেবার পাশাপাশি তারা কর্মবিরতিও পালন করছে বিভিন্ন দাবী ও স্লোগান এর মাধ্যমে। উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও এর অধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সর্ব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করার দাবিতে কর্মবিরতিতে নেমেছেন সারা দেশের পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎসেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রাহকরা। যদিও আন্দোলনকারীরা বলছেন, বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি বিদ্যুৎসেবা চালু রেখেই কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। নিজেদের ন্যায্য দাবি নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিআরইবিকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হলেও সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা বিআরইবি কোনো সমাধান না করে উল্টো দমন, নিপীড়ন, শোষণের অংশ হিসেবে সাময়িক বরখাস্তসহ নানাবিধ হয়রানি করা হচ্ছে।
তারা জানান, পরবর্তীকালে বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী, দাবি-দাওয়া উল্লেখ করে সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৭ হাজার ৫৪২ কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষর সংবলিত চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেওয়া হয়। কিš ‘কোনো আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনকি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সমিতির যেসব কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড, সংযুক্ত ও স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে, তাদের সবাইকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। তাই আবারও বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিপীড়ন ও শোষণ থেকে বাঁচতে পুনরায় কর্মবিরতিতে যেতে হলো।
কর্মবিরতিকালে বক্তব্য রাখেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মোঃ লুৎফর রহমান, লাইনম্যান গ্রেড (১) মোঃ শাহিনুর, ওয়ার্নিং ইন্সপেক্টর মোঃ আবুল কালাম আজাদ, এজিএম অর্থ মোঃ অলি উদ্দিন আহমেদ সহ বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।