ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫

কর্পোরেট কর হার কমালেও সুফল মিলছে না

  • আপডেট সময় : ০৩:১০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক বাজেট আলোচনায় ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়। ফিকি সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, কর্পোরেট কর হার কমিয়ে ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করার পরও বিভিন্ন শর্তের কারণে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই উৎসে কর কর্তনের বিপরীতে ন্যূনতম কর হার যৌক্তিক করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এর আগে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিও (এমসিসিআই) এ কথা জানিয়েছিল। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সকালের প্রাক-বাজেট আলোচনায় বলেন, বিগত অর্থবছরে কিছু শর্ত সাপেক্ষে প্রায় সব ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর হার ২.৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। বর্তমান বাস্তবতায় হ্রাসকৃত কোম্পানি কর হার সুবিধা কেউই ভোগ করতে পারছে না। অর্থ আইন, ২০২২ অনুযায়ী, নগদ লেনদেনের শর্তাবলীর কারণে হ্রাসকৃত কর হার সুবিধা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। ফিকি সভাপতি বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, একটি প্রতিষ্ঠান বছরে ৩৬ লাখ টাকার বেশি নগদ লেনদেন করলে ২.৫ শতাংশ অতিরিক্ত কর দিতে হয়। এই হার শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেয় ফিকি। সংগঠনটি জানায়, এক ধাক্কায় ক্যাশলেস সমাজ গড়তে চাইলে তা সম্ভব হবে না। এজন্য ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া বর্তমানে ইফেকটিভ ট্যাক্স রেটের হার ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে ব্যবসা সহজ করতে তা যৌক্তিক করা সম্ভব। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে এনবিআর কিছু পণ্যের এইচএস কোড পরিবর্তন করেছে যা ওয়ার্ল্ড কাস্টম অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) এইচএস কোড গাইড লাইনের পরিপন্থি উল্লেখ করে তাতে আমদানিকারকের খরচ অনেক বাড়ছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে তা বাতিল করার আহ্বান তার। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, আমাদের নতুন ভ্যাট আইনটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল অপারেশন, ডিজিটাল ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল সিস্টেম ভিত্তিক। এই আইনের সঠিক ব্যবহার করতে গেলে ওই জায়গায় যেতে হবে। কিন্তু আমরা তো আইনটা করেছি মাত্র, তাই নানা ধরনের অসুবিধা দেখা দেয়। এটা আস্তে আস্তে কারেকশন হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল ইনভয়েস হলে আর কিছু লাগে না। ডিজিটাল ইনভয়েস না হয় বাদ দিলাম, ইনভেয়েসের চর্চা কি আমাদের আছে? কেনাকাটা করতে গেলে আমরা ইনভয়েস নেই না। দোকানদার যদি দেয়, তাও ফেলে দিই। এই চর্চাটা সমাজে আনতে হবে। প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে শুল্ক বিভাগের সদস্য মো. মাসুদ সাদেক, ভ্যাট নীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা ও আয়কর নীতির সদস্য সামস উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনাকে কোনোদিনই বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেবো না: মির্জা ফখরুল

কর্পোরেট কর হার কমালেও সুফল মিলছে না

আপডেট সময় : ০৩:১০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক বাজেট আলোচনায় ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়। ফিকি সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, কর্পোরেট কর হার কমিয়ে ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করার পরও বিভিন্ন শর্তের কারণে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই উৎসে কর কর্তনের বিপরীতে ন্যূনতম কর হার যৌক্তিক করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এর আগে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিও (এমসিসিআই) এ কথা জানিয়েছিল। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সকালের প্রাক-বাজেট আলোচনায় বলেন, বিগত অর্থবছরে কিছু শর্ত সাপেক্ষে প্রায় সব ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর হার ২.৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। বর্তমান বাস্তবতায় হ্রাসকৃত কোম্পানি কর হার সুবিধা কেউই ভোগ করতে পারছে না। অর্থ আইন, ২০২২ অনুযায়ী, নগদ লেনদেনের শর্তাবলীর কারণে হ্রাসকৃত কর হার সুবিধা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। ফিকি সভাপতি বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, একটি প্রতিষ্ঠান বছরে ৩৬ লাখ টাকার বেশি নগদ লেনদেন করলে ২.৫ শতাংশ অতিরিক্ত কর দিতে হয়। এই হার শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেয় ফিকি। সংগঠনটি জানায়, এক ধাক্কায় ক্যাশলেস সমাজ গড়তে চাইলে তা সম্ভব হবে না। এজন্য ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া বর্তমানে ইফেকটিভ ট্যাক্স রেটের হার ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে ব্যবসা সহজ করতে তা যৌক্তিক করা সম্ভব। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে এনবিআর কিছু পণ্যের এইচএস কোড পরিবর্তন করেছে যা ওয়ার্ল্ড কাস্টম অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) এইচএস কোড গাইড লাইনের পরিপন্থি উল্লেখ করে তাতে আমদানিকারকের খরচ অনেক বাড়ছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে তা বাতিল করার আহ্বান তার। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, আমাদের নতুন ভ্যাট আইনটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল অপারেশন, ডিজিটাল ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল সিস্টেম ভিত্তিক। এই আইনের সঠিক ব্যবহার করতে গেলে ওই জায়গায় যেতে হবে। কিন্তু আমরা তো আইনটা করেছি মাত্র, তাই নানা ধরনের অসুবিধা দেখা দেয়। এটা আস্তে আস্তে কারেকশন হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল ইনভয়েস হলে আর কিছু লাগে না। ডিজিটাল ইনভয়েস না হয় বাদ দিলাম, ইনভেয়েসের চর্চা কি আমাদের আছে? কেনাকাটা করতে গেলে আমরা ইনভয়েস নেই না। দোকানদার যদি দেয়, তাও ফেলে দিই। এই চর্চাটা সমাজে আনতে হবে। প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে শুল্ক বিভাগের সদস্য মো. মাসুদ সাদেক, ভ্যাট নীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা ও আয়কর নীতির সদস্য সামস উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।