ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা আছে: জি এম কাদের

  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারের সামনে প্রশাসন বা সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অসহায় হয়ে পড়ে। তাই কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা আছে।
গতকাল শনিবার এক যোগদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জি এম কাদের। শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোকিত মানুষ ফাউন্ডেশন’–এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমিন সুলতানার নেতৃত্বে একদল নারী উদ্যোক্তা জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
দলে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ইতিমধ্যে সরকারপ্রধান ঘোষণা করেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ইভিএমে। সবগুলো আসনে ইভিএম-এ ভোট গ্রহণ না করলেও, যে সব আসনে সরকারদলীয় প্রার্থীরা প্রকাশ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না সেখানে হয়তো ইভিএম-এ ভোট গ্রহণ চলবে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি প্রহসনের নির্বাচন চায় না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলকে আলোচনার জন্য ডাকা হলে, আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংলাপে অংশ নেব।

জি এম কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা চালু করেছে। ঔপনিবেশিক আমলে মানুষকে শোষন করতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হতো। প্রশাসকদের জবাবদিহি থাকত শুধু সরকারের কাছে। কারণ, সাধারণ মানুষের কাছে প্রশাসকদের কোনো জবাবদিহিতা থাকে না। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই। সব ক্ষেত্রে প্রসাশক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, রাজনীতিবিদদের কোনো কর্তৃত্ব নেই। তাই দেশের জনগণের কাছে কারও জবাবদিহিতা নেই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জি এম কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যাবে, তা নির্বাচনের পূর্বে পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে, বর্তমানে ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই রাজনীতির মাঠে এগিয়ে চলছে জাতীয় পার্টি। এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। গেল তিন বছরে মানুষের ব্যায় বেড়েছে ৪০ শতাংশ, কিন্তু আয় বাড়েনি। আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
যোগদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান, শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা আছে: জি এম কাদের

আপডেট সময় : ০১:৩৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারের সামনে প্রশাসন বা সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অসহায় হয়ে পড়ে। তাই কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা আছে।
গতকাল শনিবার এক যোগদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জি এম কাদের। শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোকিত মানুষ ফাউন্ডেশন’–এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমিন সুলতানার নেতৃত্বে একদল নারী উদ্যোক্তা জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
দলে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ইতিমধ্যে সরকারপ্রধান ঘোষণা করেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ইভিএমে। সবগুলো আসনে ইভিএম-এ ভোট গ্রহণ না করলেও, যে সব আসনে সরকারদলীয় প্রার্থীরা প্রকাশ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না সেখানে হয়তো ইভিএম-এ ভোট গ্রহণ চলবে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি প্রহসনের নির্বাচন চায় না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলকে আলোচনার জন্য ডাকা হলে, আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংলাপে অংশ নেব।

জি এম কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা চালু করেছে। ঔপনিবেশিক আমলে মানুষকে শোষন করতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হতো। প্রশাসকদের জবাবদিহি থাকত শুধু সরকারের কাছে। কারণ, সাধারণ মানুষের কাছে প্রশাসকদের কোনো জবাবদিহিতা থাকে না। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই। সব ক্ষেত্রে প্রসাশক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, রাজনীতিবিদদের কোনো কর্তৃত্ব নেই। তাই দেশের জনগণের কাছে কারও জবাবদিহিতা নেই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জি এম কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যাবে, তা নির্বাচনের পূর্বে পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে, বর্তমানে ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই রাজনীতির মাঠে এগিয়ে চলছে জাতীয় পার্টি। এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। গেল তিন বছরে মানুষের ব্যায় বেড়েছে ৪০ শতাংশ, কিন্তু আয় বাড়েনি। আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
যোগদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান, শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।