ঢাকা ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

করোনা সংক্রমণ ফের বাড়ছে, সতর্ক থাকতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:২৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুন ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী একথা জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কোভিড কিছুটা বেড়েছে। কয়েক মাস আমরা দেখেছি দৈনিক ৩১ থেকে ৩৫ জন সংক্রমিত হতো। গতকাল (রোববার) ১০৯ জন সংক্রমিত হয়েছে, সেই তুলনায় বেশ বেড়েছে। আমাদের সতর্ক হতে হবে, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না। মাস্কপরা ভুলে গেলে চলবে না, আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘কোভিড এখনো নির্মূল হয়নি, আছে। আমরা একটা স্বাভাবিক অবস্থায় আছি, আমরা যদি অস্বাভাবিক অবস্থায় না যাই, সে বিষয়ে সবার প্রচেষ্টা দরকার।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে মন্ত্রীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আক্রান্ত হচ্ছেন, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সবাইকে অনুরোধ করছি মাস্ক পরবেন, হাত স্যানিটাইজ করবেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন, টিকা না নিয়ে থাকলে টিকা নেবেন।’
দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগী আরও বাড়ল : একশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর দেশে দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৬৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে মোট ১২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে ১১৪ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এর বাইরে চট্টগ্রামে ৫ জন, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া ও কুমিল্লায় ২ জন করে এবং গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদীতে ১ জন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
দেশে ১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা রোববার আবার একশ ছাড়িয়ে যায়। সারা দেশে ১০৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২৫ মার্চ একশর বেশি, ১০২ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রমণের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নামে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে তা একশার নিচে নেমে আসে। ২০২০ সালের মার্চে দেশে মহামারী শুরুর পর একটানা এত দীর্ঘ সময় সংক্রমণ আর কখনও নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। এক্ষেত্রে টিকার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে টানা ১১ দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে। গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা আগের দিন ২ দশমিক ০৬ শতাংশ ছিল। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ২৪৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১৩১ জন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৭১ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ৩৩৭ জন সেরে উঠলেন।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ৯ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

করোনা সংক্রমণ ফের বাড়ছে, সতর্ক থাকতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:২৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী একথা জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কোভিড কিছুটা বেড়েছে। কয়েক মাস আমরা দেখেছি দৈনিক ৩১ থেকে ৩৫ জন সংক্রমিত হতো। গতকাল (রোববার) ১০৯ জন সংক্রমিত হয়েছে, সেই তুলনায় বেশ বেড়েছে। আমাদের সতর্ক হতে হবে, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না। মাস্কপরা ভুলে গেলে চলবে না, আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘কোভিড এখনো নির্মূল হয়নি, আছে। আমরা একটা স্বাভাবিক অবস্থায় আছি, আমরা যদি অস্বাভাবিক অবস্থায় না যাই, সে বিষয়ে সবার প্রচেষ্টা দরকার।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে মন্ত্রীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আক্রান্ত হচ্ছেন, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সবাইকে অনুরোধ করছি মাস্ক পরবেন, হাত স্যানিটাইজ করবেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন, টিকা না নিয়ে থাকলে টিকা নেবেন।’
দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগী আরও বাড়ল : একশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর দেশে দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৬৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে মোট ১২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে ১১৪ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এর বাইরে চট্টগ্রামে ৫ জন, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া ও কুমিল্লায় ২ জন করে এবং গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদীতে ১ জন করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
দেশে ১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা রোববার আবার একশ ছাড়িয়ে যায়। সারা দেশে ১০৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২৫ মার্চ একশর বেশি, ১০২ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রমণের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নামে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে তা একশার নিচে নেমে আসে। ২০২০ সালের মার্চে দেশে মহামারী শুরুর পর একটানা এত দীর্ঘ সময় সংক্রমণ আর কখনও নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। এক্ষেত্রে টিকার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে টানা ১১ দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে। গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা আগের দিন ২ দশমিক ০৬ শতাংশ ছিল। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ২৪৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১৩১ জন রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৭১ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ৩৩৭ জন সেরে উঠলেন।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ৯ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ।