ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

করোনা রোগীর চোখের পানিতেও সংক্রমণের ঝুঁকি

  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : করোনা আতঙ্কে নাজেহাল বিশ্ববাসী। অজানা এই প্রাণ বিধ্বংসী ভাইরাসে আক্রান্তের চেয়েও সংক্রমিতের সংখ্যা অনেক বেশি। করোনা রুখতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরেও অজান্তেই শরীরের বাসা বাঁধছে এই মারণ ভাইরাস। যত দিন যাচ্ছে করোনার নিত্যনতুন উপসর্গ প্রকাশ্যে আসছে। যা নিয়েই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। গবেষকদের দাবি, করোনাভাইরাস এবার হানা দিতে পারে চোখেও।
গবেষকরা কোনও কারণ ছাড়াই চোখে মুখে হাত দেওয়া, হাত না ধুয়ে চোখে দেওয়া-দীর্ঘদিন ধরেই এগুলো করতে বারণ করেছিলেন। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, চোখের পানি থেকেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস। যদি কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর চোখের পানি কোনও সুস্থ ব্যক্তির শরীরে লেগে যায়, সেখান থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। চোখ থেকেই করোনা সংক্রমণের অন্যতম পথ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গবেষণায় প্রকাশ, বারবার চোখ রগরানো, হাত না ধুয়ে চোখে মুখে হাত দেওয়া, হাঁচি কিংবা কাশি দিয়েই হাত না ধুয়ে চোখে মুখে হাত দিলে সেখান থেকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে জীবাণু। তাই বারবার হাত ধোওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

চোখ থেকে সংক্রমণ আটকানোর আরেকটি রাস্তা হলো চশমা পরা। চশমা পরলে চোখে হাত দেওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে। যার ফলে সংক্রমণও কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জ্বর, গলাব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্টই এই মারণ ভাইরাসের উপসর্গ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, করোনার উপসর্গ বদলে গেছে। এর আগেও জানা গিয়েছিল, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে চোখ লালচে হয়ে যাওয়া এই ঘটনা হামেশাই ঘটছে। তবে এই উপসর্গই এখন করোনার নতুন লক্ষণ। তবে শুধুমাত্র চোখ লালচে হওয়া মানেই করোনা হয়েছে তেমনটা ভাবার কিছু নেই।

গবেষকদের মতে, জ্বর, গলাব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট হলেও তবেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত অনেকের মধ্যেই এই পিঙ্ক আই দেখা গেছে। তবে সকলেরই যে হয়েছে তা নয়। করোনা রোগীর চোখে যদি সংক্রমণ হয়, তাহলে চোখের পানির মধ্যে জীবাণু থাকতে পারে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, কয়েকজনের চোখের পানিই এই জীবাণু পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ১০০ জনের পিঙ্ক আই হলে তা ১৮ জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক উৎস অবশ্যই শ্বাসপ্রশ্বাসের ড্রপলেট। কিন্তু, অন্যান্য রুট থেকেও সংক্রমণের ঝুঁকিও রয়েছে। যার মধ্যে মুখ বা কনজাংটিভাল নির্গমনকে বাদ দেওয়া যাবে না। আপনার চোখে হয়ত কোনও সমস্যাই হলো না। কিন্তু আপনি জানলেনও না যে, চোখের দ্বারাই আপনার শরীরে করোনা ভাইরাস ঢুকে পড়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

করোনা রোগীর চোখের পানিতেও সংক্রমণের ঝুঁকি

আপডেট সময় : ১১:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : করোনা আতঙ্কে নাজেহাল বিশ্ববাসী। অজানা এই প্রাণ বিধ্বংসী ভাইরাসে আক্রান্তের চেয়েও সংক্রমিতের সংখ্যা অনেক বেশি। করোনা রুখতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরেও অজান্তেই শরীরের বাসা বাঁধছে এই মারণ ভাইরাস। যত দিন যাচ্ছে করোনার নিত্যনতুন উপসর্গ প্রকাশ্যে আসছে। যা নিয়েই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। গবেষকদের দাবি, করোনাভাইরাস এবার হানা দিতে পারে চোখেও।
গবেষকরা কোনও কারণ ছাড়াই চোখে মুখে হাত দেওয়া, হাত না ধুয়ে চোখে দেওয়া-দীর্ঘদিন ধরেই এগুলো করতে বারণ করেছিলেন। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, চোখের পানি থেকেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস। যদি কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর চোখের পানি কোনও সুস্থ ব্যক্তির শরীরে লেগে যায়, সেখান থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। চোখ থেকেই করোনা সংক্রমণের অন্যতম পথ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গবেষণায় প্রকাশ, বারবার চোখ রগরানো, হাত না ধুয়ে চোখে মুখে হাত দেওয়া, হাঁচি কিংবা কাশি দিয়েই হাত না ধুয়ে চোখে মুখে হাত দিলে সেখান থেকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে জীবাণু। তাই বারবার হাত ধোওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

চোখ থেকে সংক্রমণ আটকানোর আরেকটি রাস্তা হলো চশমা পরা। চশমা পরলে চোখে হাত দেওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে। যার ফলে সংক্রমণও কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জ্বর, গলাব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্টই এই মারণ ভাইরাসের উপসর্গ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, করোনার উপসর্গ বদলে গেছে। এর আগেও জানা গিয়েছিল, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে চোখ লালচে হয়ে যাওয়া এই ঘটনা হামেশাই ঘটছে। তবে এই উপসর্গই এখন করোনার নতুন লক্ষণ। তবে শুধুমাত্র চোখ লালচে হওয়া মানেই করোনা হয়েছে তেমনটা ভাবার কিছু নেই।

গবেষকদের মতে, জ্বর, গলাব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট হলেও তবেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত অনেকের মধ্যেই এই পিঙ্ক আই দেখা গেছে। তবে সকলেরই যে হয়েছে তা নয়। করোনা রোগীর চোখে যদি সংক্রমণ হয়, তাহলে চোখের পানির মধ্যে জীবাণু থাকতে পারে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, কয়েকজনের চোখের পানিই এই জীবাণু পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ১০০ জনের পিঙ্ক আই হলে তা ১৮ জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক উৎস অবশ্যই শ্বাসপ্রশ্বাসের ড্রপলেট। কিন্তু, অন্যান্য রুট থেকেও সংক্রমণের ঝুঁকিও রয়েছে। যার মধ্যে মুখ বা কনজাংটিভাল নির্গমনকে বাদ দেওয়া যাবে না। আপনার চোখে হয়ত কোনও সমস্যাই হলো না। কিন্তু আপনি জানলেনও না যে, চোখের দ্বারাই আপনার শরীরে করোনা ভাইরাস ঢুকে পড়েছে।