ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

করোনা মোকাবিলায় শেখ হাসিনার কৌশল বিশ্বে প্রশংসিত

  • আপডেট সময় : ০১:৫০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহাদুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কৌশল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বিশ্বনেতাদের কাছে তা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনাকালে ইউরোপের দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা দুর্বল হয়ে যায়। আর সে সময় বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলীভাবে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেন।
গতকাল রোববার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে প্রত্যেক দেশের সরকার প্রধান নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে লকডাউনে যে কৌশল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। তাজুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অনেকটা থমকে দাঁড়ায়। আমাদের প্রতিটা সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা উদ্যোগ নেন। গার্মেন্টস, ব্যাংক, কলকারখানাসহ বিভিন্ন সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সরকার ২৮টির বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এতে করে করোনাকালে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা খুব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, তৈরি পোশাক ও চামড়াশিল্পের দুস্থ শ্রমিক, রপ্তানিমুখী শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কৃষিজীবী চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং গৃহহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীসহ সকল মানুষের কথা চিন্তা করে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের অধীনে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৯ ডলার। পাকিস্তান সরকার ২৫ বছরে সেটা ১২৫ ডলারে উন্নীত করেছিল। এরপর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মাথাপিছু আয় ৮৯ থেকে ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটা আজ দুই হাজার ২৭৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে হলে সাধারণ মানুষসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার স্বপ্নপূরণে শেখ হাসিনা এখন কাজ করে যাচ্ছেন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত, এশিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, বাংলাদেশ ব্যাংক এসএমই এবং স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগের সহ মহাব্যবস্থাপক লিজা ফাহমিদা প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

করোনা মোকাবিলায় শেখ হাসিনার কৌশল বিশ্বে প্রশংসিত

আপডেট সময় : ০১:৫০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহাদুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কৌশল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বিশ্বনেতাদের কাছে তা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনাকালে ইউরোপের দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা দুর্বল হয়ে যায়। আর সে সময় বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলীভাবে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেন।
গতকাল রোববার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে প্রত্যেক দেশের সরকার প্রধান নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে লকডাউনে যে কৌশল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। তাজুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অনেকটা থমকে দাঁড়ায়। আমাদের প্রতিটা সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা উদ্যোগ নেন। গার্মেন্টস, ব্যাংক, কলকারখানাসহ বিভিন্ন সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সরকার ২৮টির বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এতে করে করোনাকালে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা খুব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, তৈরি পোশাক ও চামড়াশিল্পের দুস্থ শ্রমিক, রপ্তানিমুখী শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কৃষিজীবী চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং গৃহহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীসহ সকল মানুষের কথা চিন্তা করে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের অধীনে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৯ ডলার। পাকিস্তান সরকার ২৫ বছরে সেটা ১২৫ ডলারে উন্নীত করেছিল। এরপর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মাথাপিছু আয় ৮৯ থেকে ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটা আজ দুই হাজার ২৭৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে হলে সাধারণ মানুষসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার স্বপ্নপূরণে শেখ হাসিনা এখন কাজ করে যাচ্ছেন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত, এশিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, বাংলাদেশ ব্যাংক এসএমই এবং স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগের সহ মহাব্যবস্থাপক লিজা ফাহমিদা প্রমুখ।