ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

করোনা বিশ্বজুড়ে কেড়ে নিয়েছে অর্ধকোটি মানুষের প্রাণ

  • আপডেট সময় : ১১:২২:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান করোনা মহমারিতে এপর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০ লাখ। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক হিসেবে এই তথ্য জানা গেছে।
মহামারিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশসমূহে। করোনায় মোট মৃত্যুর ২১ শতাংশই ঘটেছে দক্ষিণ আমেরিকায়। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে উত্তর আমেরিকা ও পূর্ব ইউরোপ। উভয় অঞ্চলে করোনায় মৃত্যুর শতকরা হার ১৪ শতাংশের বেশি লক্ষ্য করা গেছে। তবে নির্দিষ্ট দেশ হিসেবে মহমারিতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকো ও ভারত।
রয়টার্সের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মহমারি শুরুর পর করোনা মোট বৈশ্বিক মৃত্যু আড়াই কোটিতে পৌঁছাতে সময় লেগেছে এক বছরেরও বেশি। কিন্তু পরের আড়াই কোটি মৃত্যু ঘটেছে চলতি বছরের প্রথম আট মাসের মধ্যে।
এর মধ্যে গত সপ্তাহে প্রতিদিন করোনায় বিশ্বে গড়ে মারা গেছেন ৮ হাজার মানুষ, অর্থাৎ প্রতি মিনিটে মৃত্যু হয়েছে ৫ জন মানুষের। তবে কয়েক সপ্তাহ আগে এই সংখ্যা আরও বেশি ছিল। পাশাপাশি, বিশ্বজুড়ে দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে করোনা টিকা বণ্টনে অসাম্যের বিষয়টি। বিশ্বের উন্নত অনেক দেশ যেখানে তাদের নাগরিকদের করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে, সেখানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি এখন পর্যন্ত করোনা টিকার একটি ডোজও নিতে পারেননি। তবে এক্ষেত্রে আশার কথা হলো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তাদের টিকা বিতরণ প্রকল্প কোভ্যাক্স ইনিশিয়েটিভসে কিছু পরিবর্তন এনেছে। গত সপ্তাহে ডব্লিউএইচওর সহকারী মহাপরিচালক ও টিকা বিতরণ বিভাগের প্রধান ম্যারিয়েঞ্জেলা সিমাও গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে এসম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর সহকারী মহাপরিচালক বলেন, ‘অক্টোবর থেকে আমরা করোনা টিকা বণ্টনে কিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি। এখন থেকে আমরা শুধু সেইসব দেশেই টিকা পাঠাব যারা এ পর্যন্ত সবচেয়ে কম টিকার ডোজ পেয়েছে বা একেবারেই পায়নি।’ কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৪০ টি দেশে জনসংখ্যার অনুপাতে টিকা পাঠানো হয়েছে।
মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বের যেসব দেশে করোনায় মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে শীর্ষ তিন দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে টিকাদান কর্মসূচি জোর কদমে এগিয়ে চলছে। দু’টি দেশের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ এবং ভারতে ৪৭ শতাংশ করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন। তবে এই দু’দেশের তুলনায় বেশ পিছিয়ে আছে রাশিয়া, যে দেশটি বিশ্বে প্রথম করোনা টিকা উদ্ভাবন করেছিল।
গতকাল শনিবারের প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মাত্র ৩৩ শতাংশ করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

করোনা বিশ্বজুড়ে কেড়ে নিয়েছে অর্ধকোটি মানুষের প্রাণ

আপডেট সময় : ১১:২২:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান করোনা মহমারিতে এপর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০ লাখ। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক হিসেবে এই তথ্য জানা গেছে।
মহামারিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশসমূহে। করোনায় মোট মৃত্যুর ২১ শতাংশই ঘটেছে দক্ষিণ আমেরিকায়। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে উত্তর আমেরিকা ও পূর্ব ইউরোপ। উভয় অঞ্চলে করোনায় মৃত্যুর শতকরা হার ১৪ শতাংশের বেশি লক্ষ্য করা গেছে। তবে নির্দিষ্ট দেশ হিসেবে মহমারিতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকো ও ভারত।
রয়টার্সের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মহমারি শুরুর পর করোনা মোট বৈশ্বিক মৃত্যু আড়াই কোটিতে পৌঁছাতে সময় লেগেছে এক বছরেরও বেশি। কিন্তু পরের আড়াই কোটি মৃত্যু ঘটেছে চলতি বছরের প্রথম আট মাসের মধ্যে।
এর মধ্যে গত সপ্তাহে প্রতিদিন করোনায় বিশ্বে গড়ে মারা গেছেন ৮ হাজার মানুষ, অর্থাৎ প্রতি মিনিটে মৃত্যু হয়েছে ৫ জন মানুষের। তবে কয়েক সপ্তাহ আগে এই সংখ্যা আরও বেশি ছিল। পাশাপাশি, বিশ্বজুড়ে দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে করোনা টিকা বণ্টনে অসাম্যের বিষয়টি। বিশ্বের উন্নত অনেক দেশ যেখানে তাদের নাগরিকদের করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে, সেখানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি এখন পর্যন্ত করোনা টিকার একটি ডোজও নিতে পারেননি। তবে এক্ষেত্রে আশার কথা হলো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তাদের টিকা বিতরণ প্রকল্প কোভ্যাক্স ইনিশিয়েটিভসে কিছু পরিবর্তন এনেছে। গত সপ্তাহে ডব্লিউএইচওর সহকারী মহাপরিচালক ও টিকা বিতরণ বিভাগের প্রধান ম্যারিয়েঞ্জেলা সিমাও গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে এসম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর সহকারী মহাপরিচালক বলেন, ‘অক্টোবর থেকে আমরা করোনা টিকা বণ্টনে কিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি। এখন থেকে আমরা শুধু সেইসব দেশেই টিকা পাঠাব যারা এ পর্যন্ত সবচেয়ে কম টিকার ডোজ পেয়েছে বা একেবারেই পায়নি।’ কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৪০ টি দেশে জনসংখ্যার অনুপাতে টিকা পাঠানো হয়েছে।
মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বের যেসব দেশে করোনায় মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে শীর্ষ তিন দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে টিকাদান কর্মসূচি জোর কদমে এগিয়ে চলছে। দু’টি দেশের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ এবং ভারতে ৪৭ শতাংশ করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন। তবে এই দু’দেশের তুলনায় বেশ পিছিয়ে আছে রাশিয়া, যে দেশটি বিশ্বে প্রথম করোনা টিকা উদ্ভাবন করেছিল।
গতকাল শনিবারের প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মাত্র ৩৩ শতাংশ করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন।