ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

করোনা বায়ুবাহিত, প্রথমবারের মতো স্বীকারোক্তি সিডিসি-র

  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত। প্রথমবারের মতো এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। গত শুক্রবার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত হালনাগাদ গাইডলাইনে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছে সংস্থাটি। এতে বায়ুবাহিত হয়ে করোনা সংক্রমণের দিকটি জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, আক্রান্তের থেকে ছয় ফুটেরও বেশি দূরে থাকা কোনও ব্যক্তি বায়ুবাহিত করোনাভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারেন। বিশেষত, হাঁচি, কাশির সময়ে যে সূক্ষ ড্রপলেট, অ্যারোসল উড়ে আসে, তার মাধ্যমে হতে পারে সংক্রমণ। নাক, মুখ এমনকি চোখের মাধ্যমেও তা দেহে প্রবেশ করতে পারে
জর্জ ওয়াশিংটন স্কুল অব পাবলিক হেলথের এপিডেমোলজিস্ট ডেভিড মাইকেলসের ভাষায়, ‘এতোদিন সবাই ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ নিয়ে বেশি আলোচনা করেছেন। কিন্তু বায়ুবাহিত অ্যারোসলের মাধ্যমে যেভাবে সংক্রমণ ঘটে, সে বিষয়ে সে রকম আলোচনা বা সতর্কতা নেওয়া হয়নি।’ ড. মাইকেলস আরও জানিয়েছেন যে, হাঁচি বা কাশির পর সূক্ষ অ্যারোসলের মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত বাতাসে ভেসে থাকতে পারে করোনাভাইরাস। বিশেষত জানালা-দরজা খোলা নেই এমন ঘরে এটি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ফলে ঘরে কেউ না থাকলেও কয়েক ঘণ্টা আগেও কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সেখানে গিয়ে থাকলে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের গবেষক ডোনাল্ড মিল্টনের মতে, ভাসমান করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য আরও কোনও ভালো উপায় প্রয়োজন। তার ভাষায়, ‘আমাদের আরও বেশি সুরক্ষিত কোনও ব্যবস্থা প্রয়োজন। সার্জিকাল মাস্ক পরলেও সেটি কখনোই সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয় না। গাল-নাকের ফাঁক দিয়ে সহজেই বাতাসে ভাসমান ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।’
কর্মসূত্রে যাদের বের হতে হচ্ছে বা বহু মানুষকে কোনও পরিষেবা দিতে হচ্ছে, তাদের মাস্ক পরলেও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যায়। তাছাড়া চোখের মাধ্যমেও হতে পারে সংক্রমণ। এক্ষেত্রে আপাতত কিছু সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দুটি মাস্ক পরা যেতে পারে। একটি সার্জিকাল মাস্কের উপর একটি কাপড়ের মাস্ক। মাস্কের ফাঁক দিয়ে যাতে বাতাস প্রবেশ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাস্কে বার বার হাত দেওয়া চলবে না। মাস্ক যাতে সম্পূর্ণ ফিট হয় এবং খুলে না আসে, তা নিশ্চিত করতে হবে বের হওয়ার আগেই। বড় চশমা, ফেস শিল্ড পরা যেতে পারে। এতে সামান্য হলেও চোখের মাধ্যমে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমানো যেতে পারে। এছাড়া বারবার হাত ধোয়ার মতো অভ্যাসগুলোও ধরে রাখতে হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

করোনা বায়ুবাহিত, প্রথমবারের মতো স্বীকারোক্তি সিডিসি-র

আপডেট সময় : ০১:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত। প্রথমবারের মতো এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। গত শুক্রবার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত হালনাগাদ গাইডলাইনে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছে সংস্থাটি। এতে বায়ুবাহিত হয়ে করোনা সংক্রমণের দিকটি জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, আক্রান্তের থেকে ছয় ফুটেরও বেশি দূরে থাকা কোনও ব্যক্তি বায়ুবাহিত করোনাভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারেন। বিশেষত, হাঁচি, কাশির সময়ে যে সূক্ষ ড্রপলেট, অ্যারোসল উড়ে আসে, তার মাধ্যমে হতে পারে সংক্রমণ। নাক, মুখ এমনকি চোখের মাধ্যমেও তা দেহে প্রবেশ করতে পারে
জর্জ ওয়াশিংটন স্কুল অব পাবলিক হেলথের এপিডেমোলজিস্ট ডেভিড মাইকেলসের ভাষায়, ‘এতোদিন সবাই ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ নিয়ে বেশি আলোচনা করেছেন। কিন্তু বায়ুবাহিত অ্যারোসলের মাধ্যমে যেভাবে সংক্রমণ ঘটে, সে বিষয়ে সে রকম আলোচনা বা সতর্কতা নেওয়া হয়নি।’ ড. মাইকেলস আরও জানিয়েছেন যে, হাঁচি বা কাশির পর সূক্ষ অ্যারোসলের মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত বাতাসে ভেসে থাকতে পারে করোনাভাইরাস। বিশেষত জানালা-দরজা খোলা নেই এমন ঘরে এটি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ফলে ঘরে কেউ না থাকলেও কয়েক ঘণ্টা আগেও কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সেখানে গিয়ে থাকলে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের গবেষক ডোনাল্ড মিল্টনের মতে, ভাসমান করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য আরও কোনও ভালো উপায় প্রয়োজন। তার ভাষায়, ‘আমাদের আরও বেশি সুরক্ষিত কোনও ব্যবস্থা প্রয়োজন। সার্জিকাল মাস্ক পরলেও সেটি কখনোই সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয় না। গাল-নাকের ফাঁক দিয়ে সহজেই বাতাসে ভাসমান ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।’
কর্মসূত্রে যাদের বের হতে হচ্ছে বা বহু মানুষকে কোনও পরিষেবা দিতে হচ্ছে, তাদের মাস্ক পরলেও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যায়। তাছাড়া চোখের মাধ্যমেও হতে পারে সংক্রমণ। এক্ষেত্রে আপাতত কিছু সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দুটি মাস্ক পরা যেতে পারে। একটি সার্জিকাল মাস্কের উপর একটি কাপড়ের মাস্ক। মাস্কের ফাঁক দিয়ে যাতে বাতাস প্রবেশ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাস্কে বার বার হাত দেওয়া চলবে না। মাস্ক যাতে সম্পূর্ণ ফিট হয় এবং খুলে না আসে, তা নিশ্চিত করতে হবে বের হওয়ার আগেই। বড় চশমা, ফেস শিল্ড পরা যেতে পারে। এতে সামান্য হলেও চোখের মাধ্যমে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমানো যেতে পারে। এছাড়া বারবার হাত ধোয়ার মতো অভ্যাসগুলোও ধরে রাখতে হবে।