নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে দেশে ফের লকডাউন আরোপ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে আবারও লকডাউন দেওয়া হবে।
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আক্রান্ত বাড়তে থাকলে এবং মানুষ না মানলে আবার লকডাউন দেয়া হবে। এর বিকল্প কিছু নেই।
করোনার সংক্রমণ রোধে গত বছর প্রথমবারের মতো বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এরপর আরও কয়েক দফায় বিধিনিষেধ আরোপ করার পর তা শিথিল করা হয়। সংক্রমণ পরিস্থিতি বাড়তে থাকলে গত ১ জুলাই থেকে চলাচলে আবারও বিধিনিষেধ শুরু হয়। মাঝে ঈদের সময় আট দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করার পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও বিধিনিষেধ জারি হয়। এ দফার বিধিনিষেধ চলাকালে পোশাক কারখানাসহ সব ধরনের শিল্পকারখানা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। জরুরি সেবা, গণমাধ্যম ও খাদ্য উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট পরিবহন ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহনও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে তা আরেক দফা বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়।
শিল্প মালিকদের দাবির মুখে ১ আগস্ট থেকে খুলে দেয়া হয় রপ্তানিমুখী কারখানাগুলো। এরপর ৬ আগস্ট থেকে ফ্লাইট চালু করা হয় অভ্যন্তরীণ রুটে। এরপর ১১ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও গণপরিবহন চালুর মাধ্যমে বিধিনিষেধ প্রায় পুরোটাই তুলে নেয়া হয়েছে।
সংক্রমণ পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে সরকারের পরবর্তী কৌশল কী হবে জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘দুটি কৌশলই আমরা অবলম্বন করব। একটা হলো বিধিনিষেধ বা লকডাউন দেয়া। আরেকটি হচ্ছে ছেড়ে দেয়া। কিন্তু সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।’
পরিস্থিতি খারাপ হলে আবার লকডাউন ঘোষণা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, পৃথিবীর যেকোনো দেশে বাড়লেই, যেমন অস্ট্রেলিয়াতে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে, কারফিউ দেয়া হয়েছে। আমেরিকাতে দেয়া হয়েছে। দেয়া হচ্ছে কেন? কারণ এর কোনো বিকল্প নেই।’
করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে ফের লকডাউন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ