ঢাকা ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

করোনা থামিয়ে দিলো ‘উড়ন্ত শিখ’ মিলখা সিংকে

  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সঙ্গে এক মাস লড়াই করে হেরে গেলেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি গতিমানব মিলখা সিং। ফ্লাইং শিখ বা ‘উড়ন্ত শিখ’ হিসেবে পরিচিত মিলখা ভারতের চ-িগড়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। শুক্রবার (১৮ জুন) দিনগত রাতে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভারতের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রা রুচি জোশি। এছাড়াও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ দেশটির প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোর অনলাইন সংস্করণে মিলখা সিংয়ের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়। এর আগে গেল সপ্তাহের শুরুতে সহধর্মিণী নির্মল কৌরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
গেল ২০ মে মিলখার শরীরে প্রথমবারের মতো করোনা শনাক্ত করা হয়। ২৪ মে মোহালির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে ৩ জুন অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে নেহেরু হাসপাতাল এক্সটেনশনের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) করোনা নেগেটিভ এলে তাকে মেডিক্যাল আইসিউতে স্থানান্তর করা হয়। তবে সবকিছুকে হার মানিয়ে ৯১ বছর বয়সে চলে যেতে হলো এই দৌড়বিদকে। এদিকে মিলখা সিংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, কিছুদিন আগেই মিল্কা সিংয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কিন্তু তখন জানতাম না যে এটিই আমাদের শেষ কথা। তাকে দেখে অনেক অ্যাথলেট অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তার পরিবারের সদস্য ও গুণগ্রাহীদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইলো।
ভারত ভাগের আগে বর্তমান পাকিস্তানের গোবিন্দপুরে জন্ম মিলখার। স্বাধীন ভারতের হয়ে কমনওয়েলথে প্রথম স্বর্ণ জেতা প্রথম ক্রীড়াবিদ ছিলেন তিনি। ২০১০ সালের দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে কৃষ্ণা পুনিয়ার আগ পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর কমনওয়েলথে ভারতের একক স্বর্ণ বিজয়ী হিসেবে ছিলেন তিনি। ১৯৫৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার কার্ডিফে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যালকম স্পেন্সকে হারিয়ে স্বর্ণ জেতেন তিনি। এছাড়াও ১৯৫৮ সালে ২০০ মিটার ও ৪০০ মিটার এবং ১৯৬২ সালে ৪০০ মিটার এবং ৪০০ মিটার রিলেতে এশিয়ান গেমসে চারবার স্বর্ণ জেতেন মিলখা। ১৯৬০ রোম অলিম্পিকে কোনো পদক না পেলেও ভারতের সবচেয়ে দ্রুতগতির মানব হিসেবে রেকর্ড গড়ে চতুর্থ অবস্থানে ছিলেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

করোনা থামিয়ে দিলো ‘উড়ন্ত শিখ’ মিলখা সিংকে

আপডেট সময় : ১০:৩৩:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সঙ্গে এক মাস লড়াই করে হেরে গেলেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি গতিমানব মিলখা সিং। ফ্লাইং শিখ বা ‘উড়ন্ত শিখ’ হিসেবে পরিচিত মিলখা ভারতের চ-িগড়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। শুক্রবার (১৮ জুন) দিনগত রাতে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভারতের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রা রুচি জোশি। এছাড়াও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ দেশটির প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোর অনলাইন সংস্করণে মিলখা সিংয়ের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়। এর আগে গেল সপ্তাহের শুরুতে সহধর্মিণী নির্মল কৌরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
গেল ২০ মে মিলখার শরীরে প্রথমবারের মতো করোনা শনাক্ত করা হয়। ২৪ মে মোহালির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে ৩ জুন অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে নেহেরু হাসপাতাল এক্সটেনশনের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) করোনা নেগেটিভ এলে তাকে মেডিক্যাল আইসিউতে স্থানান্তর করা হয়। তবে সবকিছুকে হার মানিয়ে ৯১ বছর বয়সে চলে যেতে হলো এই দৌড়বিদকে। এদিকে মিলখা সিংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, কিছুদিন আগেই মিল্কা সিংয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কিন্তু তখন জানতাম না যে এটিই আমাদের শেষ কথা। তাকে দেখে অনেক অ্যাথলেট অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তার পরিবারের সদস্য ও গুণগ্রাহীদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইলো।
ভারত ভাগের আগে বর্তমান পাকিস্তানের গোবিন্দপুরে জন্ম মিলখার। স্বাধীন ভারতের হয়ে কমনওয়েলথে প্রথম স্বর্ণ জেতা প্রথম ক্রীড়াবিদ ছিলেন তিনি। ২০১০ সালের দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে কৃষ্ণা পুনিয়ার আগ পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর কমনওয়েলথে ভারতের একক স্বর্ণ বিজয়ী হিসেবে ছিলেন তিনি। ১৯৫৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার কার্ডিফে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যালকম স্পেন্সকে হারিয়ে স্বর্ণ জেতেন তিনি। এছাড়াও ১৯৫৮ সালে ২০০ মিটার ও ৪০০ মিটার এবং ১৯৬২ সালে ৪০০ মিটার এবং ৪০০ মিটার রিলেতে এশিয়ান গেমসে চারবার স্বর্ণ জেতেন মিলখা। ১৯৬০ রোম অলিম্পিকে কোনো পদক না পেলেও ভারতের সবচেয়ে দ্রুতগতির মানব হিসেবে রেকর্ড গড়ে চতুর্থ অবস্থানে ছিলেন তিনি।