ঢাকা ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

করোনায় সাত মাসে সর্বনিম্ন ১২ জনের মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত এক দিনে ১২ জন মারা গেছেন, যা সাত মাস (২১০ দিন) পর সবচেয়ে কম। এর আগে এর চেয়ে কম মৃত্যু হয়েছিল চলতি বছরের ১১ মার্চ। সেদিন ৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। এর পরদিন ১২ মার্চ ১৩ জন ও ১৩ মার্চ ১২ জন মারা গেছেন। এরপর মৃত্যুর সংখ্যা আর এত কমেনি।
এছাড়া গত এক দিনে ৬৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৬৬৪ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক দিনে ২২ হাজার ৩২১টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২.৯৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬০ হাজার ৮১৮ জন, যাতে শনাক্তে মোট হার ১৫.৭৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৬ জন ও নারী ৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু ২৭ হাজার ৬৪৭ জনের।
এছাড়া গত এক দিনে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৬৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৫ লাখ ২১ হাজার ৭৭৭ জন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। এরপর কয়েক মাস মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর গত বছরের শেষ দিকে এসে তা অনেকটা কমে যায়। চলতি বছরের প্রথম তিন মাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল করোনা পরিস্থিতি। তবে মার্চের শেষ দিক থেকে দেশে বাড়তে থাকে করোনার প্রকোপ। এটাকে বিশেষজ্ঞরা করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা বলে জানান।
গত এপ্রিল মাস থেকে বাড়তে থাকা করোনার প্রকোপ চরম আকার ধারণ করে জুলাইয়ে। এই মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া দিনে শনাক্তের সংখ্যাও ১৫ হাজার ছাড়ায়। তবে আগস্টের শেষ দিক থেকে করোনার প্রকোপ কমতে থাকে। সেপ্টেম্বর মাস পুরোটা জুড়েই করোনার প্রকোপ নি¤œমুখী রয়েছে।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে করোনা শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টানা কয়েক সপ্তাহ শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলা যাবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসির নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আসছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন

করোনায় সাত মাসে সর্বনিম্ন ১২ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত এক দিনে ১২ জন মারা গেছেন, যা সাত মাস (২১০ দিন) পর সবচেয়ে কম। এর আগে এর চেয়ে কম মৃত্যু হয়েছিল চলতি বছরের ১১ মার্চ। সেদিন ৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। এর পরদিন ১২ মার্চ ১৩ জন ও ১৩ মার্চ ১২ জন মারা গেছেন। এরপর মৃত্যুর সংখ্যা আর এত কমেনি।
এছাড়া গত এক দিনে ৬৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৬৬৪ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক দিনে ২২ হাজার ৩২১টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২.৯৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬০ হাজার ৮১৮ জন, যাতে শনাক্তে মোট হার ১৫.৭৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৬ জন ও নারী ৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু ২৭ হাজার ৬৪৭ জনের।
এছাড়া গত এক দিনে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৬৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৫ লাখ ২১ হাজার ৭৭৭ জন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। এরপর কয়েক মাস মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর গত বছরের শেষ দিকে এসে তা অনেকটা কমে যায়। চলতি বছরের প্রথম তিন মাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল করোনা পরিস্থিতি। তবে মার্চের শেষ দিক থেকে দেশে বাড়তে থাকে করোনার প্রকোপ। এটাকে বিশেষজ্ঞরা করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা বলে জানান।
গত এপ্রিল মাস থেকে বাড়তে থাকা করোনার প্রকোপ চরম আকার ধারণ করে জুলাইয়ে। এই মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া দিনে শনাক্তের সংখ্যাও ১৫ হাজার ছাড়ায়। তবে আগস্টের শেষ দিক থেকে করোনার প্রকোপ কমতে থাকে। সেপ্টেম্বর মাস পুরোটা জুড়েই করোনার প্রকোপ নি¤œমুখী রয়েছে।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে করোনা শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টানা কয়েক সপ্তাহ শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলা যাবে।