ঢাকা ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

করোনায় পারিবারিক কলহ ও বাল্যবিয়ে বেড়েছে

  • আপডেট সময় : ০১:৩৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
  • ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে পারিবারিক কলহ ও বাল্যবিয়ে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গতকাল রোববার ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২১’ উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। একই সঙ্গে করোনার মধ্যে ঘরে প্রসব বেড়েছে বলেও জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি করোনার সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি একটু কমেছে। মানুষ ক্লিনিক ও হাসপাতালে আসতে ভয় পায়। অভিভাবকরা কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগেছে। হোম ডেলিভারি বা ঘরে প্রসবটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার যাতে বেড়ে না যায় আমাদের সেই চেষ্টা ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনার সময় ঘরে ডেলিভারি বেড়েছে এটা একটা বিষয়, বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। পারিবারিক কলহও এই কারোনার সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবীর সর্বত্রই এটি দেখা গেছে। নারী নির্যাতন বলেন, আর শিশুদের প্রতি অবহেলা, করোনার সময় বিশ্ব জুড়েই এটা বেড়েছে।’
‘আমরা গত দেড় বছর ধরে করোনা যুদ্ধে আছি। আমি মনে করি আমরা এ পর্যন্ত সফলভাবে সকলে মিলে কাজ করে যেতে পেরেছি।’
করোনার সময় স্বাস্থ্যসেবা কিছুটা বিঘিœত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কারোনা সেবায় আমাদের মনোযোগী হতে হয়েছে। আমাদের জনবলও অনেক নিয়োগ দিতে হয়েছে। যার ফলে আমাদের অন্যান্য সেবা কিছুটা হলেও এফেক্টেড হয়েছে। বিশেষ করে এই সময়ে মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ে সেবা দেয়ার যে লক্ষ্য ছিল, সেটা আমরা পরিনি। আমরা চেষ্টা করে গিয়েছি সেই সেবা দেয়ার জন্য।’
দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল, এখন সেটা এক দশমিক ৩ শতাংশ। অনেক কমেছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপকরণ ব্যবহারের হার আগে ছিল ৮ শতাংশ। এটা এখন প্রায় ৬৪ শতাংশে পৌঁছেছে। এটা আমরা আরও বেশি আশা করি। এই করোনার মধ্যেও আমাদের কর্মীরা বিতরণের কাজটি অব্যাহত রেখেছে।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া সেরা প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের পুরস্কার দেয়া হয়। একই সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডও ঘোষণা করা হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূরের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার কল্যাণ অধিদফতরের ডিজি শাহান আরা বানুসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

করোনায় পারিবারিক কলহ ও বাল্যবিয়ে বেড়েছে

আপডেট সময় : ০১:৩৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে পারিবারিক কলহ ও বাল্যবিয়ে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গতকাল রোববার ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২১’ উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। একই সঙ্গে করোনার মধ্যে ঘরে প্রসব বেড়েছে বলেও জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি করোনার সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি একটু কমেছে। মানুষ ক্লিনিক ও হাসপাতালে আসতে ভয় পায়। অভিভাবকরা কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগেছে। হোম ডেলিভারি বা ঘরে প্রসবটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার যাতে বেড়ে না যায় আমাদের সেই চেষ্টা ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনার সময় ঘরে ডেলিভারি বেড়েছে এটা একটা বিষয়, বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। পারিবারিক কলহও এই কারোনার সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবীর সর্বত্রই এটি দেখা গেছে। নারী নির্যাতন বলেন, আর শিশুদের প্রতি অবহেলা, করোনার সময় বিশ্ব জুড়েই এটা বেড়েছে।’
‘আমরা গত দেড় বছর ধরে করোনা যুদ্ধে আছি। আমি মনে করি আমরা এ পর্যন্ত সফলভাবে সকলে মিলে কাজ করে যেতে পেরেছি।’
করোনার সময় স্বাস্থ্যসেবা কিছুটা বিঘিœত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কারোনা সেবায় আমাদের মনোযোগী হতে হয়েছে। আমাদের জনবলও অনেক নিয়োগ দিতে হয়েছে। যার ফলে আমাদের অন্যান্য সেবা কিছুটা হলেও এফেক্টেড হয়েছে। বিশেষ করে এই সময়ে মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ে সেবা দেয়ার যে লক্ষ্য ছিল, সেটা আমরা পরিনি। আমরা চেষ্টা করে গিয়েছি সেই সেবা দেয়ার জন্য।’
দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল, এখন সেটা এক দশমিক ৩ শতাংশ। অনেক কমেছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপকরণ ব্যবহারের হার আগে ছিল ৮ শতাংশ। এটা এখন প্রায় ৬৪ শতাংশে পৌঁছেছে। এটা আমরা আরও বেশি আশা করি। এই করোনার মধ্যেও আমাদের কর্মীরা বিতরণের কাজটি অব্যাহত রেখেছে।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া সেরা প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের পুরস্কার দেয়া হয়। একই সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডও ঘোষণা করা হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূরের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার কল্যাণ অধিদফতরের ডিজি শাহান আরা বানুসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন।