নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রথম দিকে যখন ভাইরাসটি নিয়ে আতঙ্কে স্বজনরা স্বজনদের ছেড়ে যাচ্ছিল, সে ভয়াবহ সময়টিতে জীবনের পরোয়া না করে বাংলাদেশের পুলিশ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। একে মহাকাব্যিক যুদ্ধ বলে আখ্যা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, করোনা এক মহাকাব্যিক যুদ্ধ। ভয়াবহতার সময় পুলিশ সদস্যরা নিজেদের সুরক্ষার কথা চিন্তা না করেই আগে সেবা দিয়েছেন। এ ছাড়া ওই সময়টাই দৈনিক ৭০০ থেকে ৮০০ জন করে পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৬ হাজার পুলিশসদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়। একজন এসপিসহ ১০৭ পুলিশ সদস্য মারা যায়। এ অবস্থায় আহতদের মধ্যে খাবার পৌঁছানো নিয়মিত টহল পণ্যবাহী ট্রাক গুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সব মিলিয়ে এক মহাযুদ্ধ চালিয়ে গেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়াম রুমে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার অনুমোদিত করোনা ইনসিগনিয়া উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, র্যাবের ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সিআইডির অতিরিক্ত কমিশনার কামরুল আহসান, ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তারসহ পুলিশের সব রেঞ্জের ডিআইজিরা।
করোনা ইনসিগনিয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজি এস এম রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সচিবালয়ে জরুরি বৈঠক থাকায় অনুপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে পুলিশ কনস্টেবল থেকে শুরু করে আইজি পর্যন্ত সব পুলিশ সদস্যকে করোনা মহামারির সম্মুখ সারির যোদ্ধা (ফ্রন্ট ফাইটার) হিসেবে স্বীকৃতি স্বরূপ ইনসিগনিয়া ব্যাচ পরিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যখন মায়ের লাশ ফেলে সন্তানরা পালিয়ে যাচ্ছিল, যখন এলাকায় একজনের করোনা হলে ওই এলাকার মানুষ সবাই পালিয়ে যাচ্ছিল সে সময় পুলিশ সবার পাশে দাঁড়িয়েছে।
করোনার ভয়াবহতায় মহাযুদ্ধ চালিয়েছে পুলিশ: আইজিপি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ