ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

করোনার বড় ঢেউ আসতে পারে ভবিষ্যতেও

  • আপডেট সময় : ০১:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভবিষ্যতে আবারও কোভিড-১৯ সংক্রমণের বড় ঢেউ আসার ‘বাস্তব সম্ভাবনা’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞরা, যারা মহামারীর মডেল নিয়ে গবেষণা করে সরকারকে পূর্বাভাস দেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সম্প্রতি ইংল্যান্ডে মহামারী নিয়ন্ত্রণে আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধের আইনি বাধ্যবাধকতা শিথিলের নির্দেশ দিয়েছেন। তার বক্তব্য হল, মহামারী যেহেতু এখনও শেষ হয়নি, তাই ব্রিটেনকে কোভিডের সঙ্গেই বাঁচতে শিখতে হবে।
দ্য সায়েন্টিফিক প্যানডেমিক ইনফ্লুয়েনজা গ্রুপ অন মডেলিং, অপারেশনাল সাব-গ্রুপ (এসপিআই-এম-ও) বলছে, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে সংক্রমণ বাড়ার বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করবে ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের আর্বিভাবের ওপর। এর সঙ্গে যোগ হতে পারে জনগণের শরীরে আগের সংক্রমণ বা টিকার মাধ্যমে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির সুরক্ষা কমতে থাকা নাগরিকদের মেলামেশার ধরনের ওপর।
এক বিবৃতিতে এসপিআই-এম-ও বলেছে, তাদের মডেল অনুযায়ী যে পূর্বাভাস মিলছে, তা হল- হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ ফেলতে পারে- এমন বড় আকারের সংক্রমণের ঢেউ আসার একটি ‘বাস্তব সম্ভাবনা’ রয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর ব্রিটেনে এ পর্যন্ত এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা বিশ্বে সপ্তম সর্বোচ্চ, এদিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের শেষভাগে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন সংক্রমণের হার নতুন উচ্চতায় নিতে শুরু করে, যার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী জনসন ব্রিটেনে আবার জনপরিসরে মেলামেশা ও চলাচল সীমিত করার আদেশ দিতে বাধ্য হন। অবশ্য সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যু এবার সেই হারে বাড়েনি।
জনসন এখন আবার অর্থনীতি পুরোপুরি সচল করার নির্দেশ দিয়েছেন, বুস্টার ডোজ দেওয়ার গতিও বাড়ানো হয়েছে। ব্রিটেন আবার পুরনো জীবনে ফিরছে। এসপিআই-এম-ও এর সভাপতি বলেছেন, প্রতিবছর কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকলেও, মাঝে মাঝে হয়ত এমন সময় আসতে পারে, যখন সরকারকে আবারও পিছু হটতে এবং বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।
এসপিআই-এম-ও এর বিবৃতিতে বলা হয়, “আগামী কয়েক বছর অনেক বেশি অনিশ্চয়তায় কাটতে পারে, এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হতে থাকলেও ভবিষ্যতে আবার সংক্রমণের নতুন ঢেউ সংকট বয়ে আনতে পারে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

করোনার বড় ঢেউ আসতে পারে ভবিষ্যতেও

আপডেট সময় : ০১:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভবিষ্যতে আবারও কোভিড-১৯ সংক্রমণের বড় ঢেউ আসার ‘বাস্তব সম্ভাবনা’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞরা, যারা মহামারীর মডেল নিয়ে গবেষণা করে সরকারকে পূর্বাভাস দেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সম্প্রতি ইংল্যান্ডে মহামারী নিয়ন্ত্রণে আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধের আইনি বাধ্যবাধকতা শিথিলের নির্দেশ দিয়েছেন। তার বক্তব্য হল, মহামারী যেহেতু এখনও শেষ হয়নি, তাই ব্রিটেনকে কোভিডের সঙ্গেই বাঁচতে শিখতে হবে।
দ্য সায়েন্টিফিক প্যানডেমিক ইনফ্লুয়েনজা গ্রুপ অন মডেলিং, অপারেশনাল সাব-গ্রুপ (এসপিআই-এম-ও) বলছে, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে সংক্রমণ বাড়ার বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করবে ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের আর্বিভাবের ওপর। এর সঙ্গে যোগ হতে পারে জনগণের শরীরে আগের সংক্রমণ বা টিকার মাধ্যমে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির সুরক্ষা কমতে থাকা নাগরিকদের মেলামেশার ধরনের ওপর।
এক বিবৃতিতে এসপিআই-এম-ও বলেছে, তাদের মডেল অনুযায়ী যে পূর্বাভাস মিলছে, তা হল- হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ ফেলতে পারে- এমন বড় আকারের সংক্রমণের ঢেউ আসার একটি ‘বাস্তব সম্ভাবনা’ রয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর ব্রিটেনে এ পর্যন্ত এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা বিশ্বে সপ্তম সর্বোচ্চ, এদিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের শেষভাগে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন সংক্রমণের হার নতুন উচ্চতায় নিতে শুরু করে, যার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী জনসন ব্রিটেনে আবার জনপরিসরে মেলামেশা ও চলাচল সীমিত করার আদেশ দিতে বাধ্য হন। অবশ্য সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যু এবার সেই হারে বাড়েনি।
জনসন এখন আবার অর্থনীতি পুরোপুরি সচল করার নির্দেশ দিয়েছেন, বুস্টার ডোজ দেওয়ার গতিও বাড়ানো হয়েছে। ব্রিটেন আবার পুরনো জীবনে ফিরছে। এসপিআই-এম-ও এর সভাপতি বলেছেন, প্রতিবছর কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকলেও, মাঝে মাঝে হয়ত এমন সময় আসতে পারে, যখন সরকারকে আবারও পিছু হটতে এবং বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।
এসপিআই-এম-ও এর বিবৃতিতে বলা হয়, “আগামী কয়েক বছর অনেক বেশি অনিশ্চয়তায় কাটতে পারে, এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হতে থাকলেও ভবিষ্যতে আবার সংক্রমণের নতুন ঢেউ সংকট বয়ে আনতে পারে।”