ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

করোনার বিধিনিষেধের প্রতিবাদে উত্তাল ইউরোপ

  • আপডেট সময় : ১১:১৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার সংক্রমণ রোধে আরোপিত নতুন বিধিনিষেধের বিরোধিতায় ইউরোপের নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া এবং ইতালিতে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডসে দ্বিতীয় দিনের লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভে জ্বালাও-পোড়াও হয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গত শনিবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে ছড়িয়ে পড়ে সহিংস বিক্ষোভ। লকডাউন এবং ‘কোভিড পাস’-এর বিরোধিতায় সাইকেলে আগুন ধরিয়ে ও আতশবাজি ফুটিয়ে বিক্ষোভ করে কেউ কেউ। দেশটির আরও কয়েকটি শহরেও সহিংস বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। প্রথম রাতের মতো দ্বিতীয় রাতেও আন্দোলনকারীদের মোকাবিলায় পুলিশ জলকামান ও গুলি ছোড়ে। এতে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছে প্রশাসন।
পুলিশ বলছে, হুডধারী দাঙ্গাকারীরা পথে পথে জ্বালাও-পোড়াও করে। একটি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ে কেউ। সংঘাতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীও আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন রটারডাম শহরের মেয়র। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউন জারি করেছে সরকার। এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ দেশটির অনেকে। বিক্ষোভে অশান্ত ইউরোপে আরেক দেশ অস্ট্রিয়ায় রাজধানী ভিয়েনা। করোনার শনাক্তের হার পাল্লা দিয়ে বাড়ায় গত সোমবার থেকে দেশজুড়ে ২০ দিনের লকডাউন ঘোষণা কোরে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবার জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিবাদে রাজধানীতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়।
সরকারি খাতের কর্মীদের টিকা বাধ্যতামূলকের প্রতিবাদে ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগ্রেবের রাজপথে বিক্ষোভে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। অন্যদিকে ইতালিতে ‘গ্রিস পাস’ বিরোধিতায় প্রতিবাদ জানান অনেকে।
ইউরোপে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করছে প্রশাসন। এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইউরোপে বহু মানুষ করোনায় মৃত্যু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

করোনার বিধিনিষেধের প্রতিবাদে উত্তাল ইউরোপ

আপডেট সময় : ১১:১৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার সংক্রমণ রোধে আরোপিত নতুন বিধিনিষেধের বিরোধিতায় ইউরোপের নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া এবং ইতালিতে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডসে দ্বিতীয় দিনের লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভে জ্বালাও-পোড়াও হয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গত শনিবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে ছড়িয়ে পড়ে সহিংস বিক্ষোভ। লকডাউন এবং ‘কোভিড পাস’-এর বিরোধিতায় সাইকেলে আগুন ধরিয়ে ও আতশবাজি ফুটিয়ে বিক্ষোভ করে কেউ কেউ। দেশটির আরও কয়েকটি শহরেও সহিংস বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। প্রথম রাতের মতো দ্বিতীয় রাতেও আন্দোলনকারীদের মোকাবিলায় পুলিশ জলকামান ও গুলি ছোড়ে। এতে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছে প্রশাসন।
পুলিশ বলছে, হুডধারী দাঙ্গাকারীরা পথে পথে জ্বালাও-পোড়াও করে। একটি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ে কেউ। সংঘাতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীও আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন রটারডাম শহরের মেয়র। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউন জারি করেছে সরকার। এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ দেশটির অনেকে। বিক্ষোভে অশান্ত ইউরোপে আরেক দেশ অস্ট্রিয়ায় রাজধানী ভিয়েনা। করোনার শনাক্তের হার পাল্লা দিয়ে বাড়ায় গত সোমবার থেকে দেশজুড়ে ২০ দিনের লকডাউন ঘোষণা কোরে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবার জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিবাদে রাজধানীতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়।
সরকারি খাতের কর্মীদের টিকা বাধ্যতামূলকের প্রতিবাদে ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগ্রেবের রাজপথে বিক্ষোভে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। অন্যদিকে ইতালিতে ‘গ্রিস পাস’ বিরোধিতায় প্রতিবাদ জানান অনেকে।
ইউরোপে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করছে প্রশাসন। এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইউরোপে বহু মানুষ করোনায় মৃত্যু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।