প্রত্যাশা ডেস্ক: ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে গেছে। তাই সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্কবার্তা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আসুন জেনে নিই নির্দেশনাসমূহ সম্পর্কে-
দেশে প্রবেশপথের জন্য নির্দেশনা
১। দেশের বিভিন্ন স্থল বা নৌ বা বিমানবন্দরগুলোতে আইএইচআর স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করা।
২। দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রিসমূহে থার্মাল স্কান্যার বা ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করা।
৩। চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখা (পিপিই)।
৪। ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনাগুলো প্রচার করা।
৫। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকা।
সবার জন্য সাধারণ পরামর্শ
১. সাতবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত ২৩ সেকেন্ড)।
২. নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করা।
৩. আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে।
৪. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না।
৫. হাঁচি-কাশির সময় বাহু বা টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।
সন্দেহভাজনদের ক্ষেত্রে করণীয়
ক্স অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন।
ক্স মারাত্মক অসুস্থ হলে কাছের হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
ক্স রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
ক্স প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের হটলাইন (০১৪০১-১৯৬২৯৩) নম্বরে যোগাযোগ করুন।