ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

করোনার ইমিউনিটি নিয়ে সুখবর দিলেন গবেষকরা

  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারিতে নতুন এক আশাবাদের কথা জানা গেলো দুটি গবেষণায়। এই দুই গবেষণায় বলা হয়েছে, সংক্রমণ ও ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে কিছু মানুষের দেহে আমৃত্যু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এখবর জানিয়েছে। অন্তত দুটি নতুন গবেষণায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষেরা আমৃত্যু রোগটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন বলে আশাবাদের কথা উঠে এসেছে। যদিও, এটি পুনরায় আক্রান্ত হওয়া থেকে সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয় না। কিন্তু এতে মানুষের শরীরে দীর্ঘদিন রোগটির বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো অ্যান্টিবডির তৈরির আশা দেখাচ্ছে।

গবেষণা দুটি প্রকাশিত হয়েছে ন্যাচার ও বায়োআর্কাইভ জার্নালে। করোনায় পুনরায় সংক্রমণের কারণে বিজ্ঞানী ও সাধারণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সার্স-২ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি স্বল্পস্থায়ী কিনা। এই কারণে এই দুটি গবেষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, পুনর্বার ভ্যাকসিন নেওয়া লাগতে পারে ভেবে। যেমন- বার্ষিক বা ছয় মাস পরপর হয়ত ভ্যাকসিন নিতে হবে পূর্ণাঙ্গ ইমিউনিটি পাওয়ার জন্য। এই দুটি গবেষণায় বিজ্ঞানীয় জানতে পেরেছেন সাধারণ কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ইমিউনিটি অন্তত এক বছর স্থায়ী হচ্ছে। তাদের অনুমান, কিছু মানুষের শরীরে এই ইমিউনিটি কয়েক দশক পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। গবেষকদের এই আশাবাদের ভিত্তি হলো তারা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যান্টিবডি উৎপাদনে জড়িত বোন ম্যারোর সন্ধান পাওয়া। উভয় গবেষণাতেই গবেষকরা বোন ম্যারোতে ইমিউনিটি কোষের অনুসন্ধান করেছেন। এই কোষগুলো বোন ম্যারো বেঁচে থাকে এবং প্রয়োজনমতো অ্যান্টিবডি উৎপাদন করে। গবেষণায় জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় এই অ্যান্টিবডি কমতে শুরু করে। গবেষকরা ১১ মাস পর্যন্ত অ্যান্টিবডি শনাক্ত করেছেন। স্বস্তির জায়গা হলো বোন ম্যারোর সঙ্গে সম্পর্ক এবং ইমিউন ব্যবস্থার ক্রমাগত টি-সেল উৎপাদন করা। যা আসল সংক্রমণের কথা মনে রাখতে পারে এবং আবার আক্রমণ করেত আসলে প্যাথোজেনকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সার্স-স ভাইরাসে কিছু অংশ রেখে দেয় ইমিউন ব্যবস্থা। একই সঙ্গে ইমিউনিটি সেল নিজেকে বদলায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রশিক্ষণ নেয়। এটি অ্যান্টিবডি তৈরিতে বোন ম্যারোর সংশ্লিষ্টতা আশাবাদ জাগায় যার ফলে বিভিন্ন ধরনের করোনা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও শরীর লড়াই করতে পারে। গবেষণায় ভ্যাকিসন নেওয়ার মাধ্যমে ইউনিটি অর্জন করাদের চেয়ে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া মানুষদের ভবিষ্যতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে রাখা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ইউমিউনিটি প্রত্যাশা করা হচ্ছে তাদের দেহে যারা স্বাভাবিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন এবং পরে ভ্যাকিসন নিয়েছেন। তাদের হয়ত কখনও বুস্টার নেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

করোনার ইমিউনিটি নিয়ে সুখবর দিলেন গবেষকরা

আপডেট সময় : ০১:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারিতে নতুন এক আশাবাদের কথা জানা গেলো দুটি গবেষণায়। এই দুই গবেষণায় বলা হয়েছে, সংক্রমণ ও ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে কিছু মানুষের দেহে আমৃত্যু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এখবর জানিয়েছে। অন্তত দুটি নতুন গবেষণায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষেরা আমৃত্যু রোগটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন বলে আশাবাদের কথা উঠে এসেছে। যদিও, এটি পুনরায় আক্রান্ত হওয়া থেকে সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয় না। কিন্তু এতে মানুষের শরীরে দীর্ঘদিন রোগটির বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো অ্যান্টিবডির তৈরির আশা দেখাচ্ছে।

গবেষণা দুটি প্রকাশিত হয়েছে ন্যাচার ও বায়োআর্কাইভ জার্নালে। করোনায় পুনরায় সংক্রমণের কারণে বিজ্ঞানী ও সাধারণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সার্স-২ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি স্বল্পস্থায়ী কিনা। এই কারণে এই দুটি গবেষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, পুনর্বার ভ্যাকসিন নেওয়া লাগতে পারে ভেবে। যেমন- বার্ষিক বা ছয় মাস পরপর হয়ত ভ্যাকসিন নিতে হবে পূর্ণাঙ্গ ইমিউনিটি পাওয়ার জন্য। এই দুটি গবেষণায় বিজ্ঞানীয় জানতে পেরেছেন সাধারণ কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ইমিউনিটি অন্তত এক বছর স্থায়ী হচ্ছে। তাদের অনুমান, কিছু মানুষের শরীরে এই ইমিউনিটি কয়েক দশক পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। গবেষকদের এই আশাবাদের ভিত্তি হলো তারা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যান্টিবডি উৎপাদনে জড়িত বোন ম্যারোর সন্ধান পাওয়া। উভয় গবেষণাতেই গবেষকরা বোন ম্যারোতে ইমিউনিটি কোষের অনুসন্ধান করেছেন। এই কোষগুলো বোন ম্যারো বেঁচে থাকে এবং প্রয়োজনমতো অ্যান্টিবডি উৎপাদন করে। গবেষণায় জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় এই অ্যান্টিবডি কমতে শুরু করে। গবেষকরা ১১ মাস পর্যন্ত অ্যান্টিবডি শনাক্ত করেছেন। স্বস্তির জায়গা হলো বোন ম্যারোর সঙ্গে সম্পর্ক এবং ইমিউন ব্যবস্থার ক্রমাগত টি-সেল উৎপাদন করা। যা আসল সংক্রমণের কথা মনে রাখতে পারে এবং আবার আক্রমণ করেত আসলে প্যাথোজেনকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সার্স-স ভাইরাসে কিছু অংশ রেখে দেয় ইমিউন ব্যবস্থা। একই সঙ্গে ইমিউনিটি সেল নিজেকে বদলায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রশিক্ষণ নেয়। এটি অ্যান্টিবডি তৈরিতে বোন ম্যারোর সংশ্লিষ্টতা আশাবাদ জাগায় যার ফলে বিভিন্ন ধরনের করোনা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও শরীর লড়াই করতে পারে। গবেষণায় ভ্যাকিসন নেওয়ার মাধ্যমে ইউনিটি অর্জন করাদের চেয়ে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া মানুষদের ভবিষ্যতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে রাখা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ইউমিউনিটি প্রত্যাশা করা হচ্ছে তাদের দেহে যারা স্বাভাবিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন এবং পরে ভ্যাকিসন নিয়েছেন। তাদের হয়ত কখনও বুস্টার নেওয়ার প্রয়োজন হবে না।