ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

করোনাভাইরাস : ২০ দিন পর ‘মুক্ত’ নারী ক্রিকেট দলের ৩ সদস্য

  • আপডেট সময় : ১০:৩২:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : জিম্বাবুয়ে ফেরত নারী ক্রিকেট দলের তিন সদস্য করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। হোটেল ও হাসপাতাল মিলিয়ে ২০ দিনের বন্দি জীবন কাটিয়ে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তারা। বিসিবির উইমেনস উইংয়ের ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ জানান, রোববার সন্ধ্যায় করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসে এই তিন সদস্যের। “তাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসায় স্বস্তি ফিরেছে বিসিবির। ২০ দিনের বন্দি জীবন কাটানোর পর মুক্ত হলেন তারা। আজ দুপুরে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন তারা।” করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হয়েছিলেন দুই ক্রিকেটার। পরে একজন কোচ আক্রান্ত হন ডেল্টা ধরনে। তাদের নাম প্রকাশ করেনি বিসিবি। তবে নাহিদা আক্তার নিজেই জানান সুস্থ হয়ে উঠার কথা। “২০ দিন কোয়ারেন্টিন শেষে আমি এখন মুক্ত। এখন আমার বাড়ি ফেরার পালা। এই সময় যারা আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।”
এর আগে গত বুধবার রাতে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেন দলের বাকি সদস্যরা। সপ্তাহখানেক বিশ্রাম নিয়ে মিরপুরে শুরু হবে নারী দলের ক্যাম্প। জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় রয়েছে কমনওয়েলথ গেমসের বাছাইপর্ব। তারপর মার্চে নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নামবেন রুমানা আহমেদ, সালমা খাতুনরা। জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব মাঝপথে বাতিল করা হয় ওই অঞ্চলে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায়। র‌্যাঙ্কিংয়ের অবস্থানের কারণে নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের মেয়েদের বিশ্বকাপ খেলা। পরদিনই দেশের উদ্দেশে রওনা দেয় তারা। অনেক পথ ঘুরে গত ১ ডিসেম্বর পৌঁছান ঢাকায়। তিন দফা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসা সাপেক্ষে গত ৬ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল তাদের কোয়ারেন্টিন। তৃতীয় দফা পরীক্ষায় পজিটিভ ফল আসে দুই জন ক্রিকেটারের। স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহেদ মালেক পরে নিশ্চিত করেন, তারা ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত। তারা সেরে ওঠার আগেই জানা যায় আরেক জন ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত। তিন ক্রিকেটারকেই হোটেল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মুগদা জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে এবার ছাড়া পেলেন তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ মুজিব জাতির পিতা নন, স্বাধীনতা অর্জনে তার ত্যাগকে স্বীকার করি

করোনাভাইরাস : ২০ দিন পর ‘মুক্ত’ নারী ক্রিকেট দলের ৩ সদস্য

আপডেট সময় : ১০:৩২:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১

ক্রীড়া প্রতিবেদক : জিম্বাবুয়ে ফেরত নারী ক্রিকেট দলের তিন সদস্য করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। হোটেল ও হাসপাতাল মিলিয়ে ২০ দিনের বন্দি জীবন কাটিয়ে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তারা। বিসিবির উইমেনস উইংয়ের ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ জানান, রোববার সন্ধ্যায় করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসে এই তিন সদস্যের। “তাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসায় স্বস্তি ফিরেছে বিসিবির। ২০ দিনের বন্দি জীবন কাটানোর পর মুক্ত হলেন তারা। আজ দুপুরে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন তারা।” করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হয়েছিলেন দুই ক্রিকেটার। পরে একজন কোচ আক্রান্ত হন ডেল্টা ধরনে। তাদের নাম প্রকাশ করেনি বিসিবি। তবে নাহিদা আক্তার নিজেই জানান সুস্থ হয়ে উঠার কথা। “২০ দিন কোয়ারেন্টিন শেষে আমি এখন মুক্ত। এখন আমার বাড়ি ফেরার পালা। এই সময় যারা আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।”
এর আগে গত বুধবার রাতে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেন দলের বাকি সদস্যরা। সপ্তাহখানেক বিশ্রাম নিয়ে মিরপুরে শুরু হবে নারী দলের ক্যাম্প। জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় রয়েছে কমনওয়েলথ গেমসের বাছাইপর্ব। তারপর মার্চে নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নামবেন রুমানা আহমেদ, সালমা খাতুনরা। জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব মাঝপথে বাতিল করা হয় ওই অঞ্চলে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায়। র‌্যাঙ্কিংয়ের অবস্থানের কারণে নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের মেয়েদের বিশ্বকাপ খেলা। পরদিনই দেশের উদ্দেশে রওনা দেয় তারা। অনেক পথ ঘুরে গত ১ ডিসেম্বর পৌঁছান ঢাকায়। তিন দফা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসা সাপেক্ষে গত ৬ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল তাদের কোয়ারেন্টিন। তৃতীয় দফা পরীক্ষায় পজিটিভ ফল আসে দুই জন ক্রিকেটারের। স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহেদ মালেক পরে নিশ্চিত করেন, তারা ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত। তারা সেরে ওঠার আগেই জানা যায় আরেক জন ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত। তিন ক্রিকেটারকেই হোটেল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মুগদা জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে এবার ছাড়া পেলেন তারা।