ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

করোনাকালে মিউজিক থেরাপি নিন, সুস্থ থাকুন

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৭:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : রোগমুক্তির নানা কার্যকরী উপায় আবিষ্কারে প্রাচীনকাল থেকেই সন্ধান করে আসছে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। এই সন্ধান গবেষণার নতুন সংযোজন মিউজিক থেরাপি বা সুর-চিকিৎসা! যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে।
অতিমারী করোনা আবহে মিউজিক থেরাপির জুড়ি বিরল। ঘরবন্দি জীবনে মনকে আরাম দেয় সুর। সুস্থ্য রাখে জীবনকেও। মিউজিক থেরাপি শারীরিক, সামাজিক, আবেগ-অনুভুতি সংক্রান্ত এবং চেতনাবুদ্েিধ্তও সাহায্য করে। সঠিক মিউজিক ও ভলিউম একাধারে মেডিক্যাল সমস্যার নিরাময়ের সাথে স্নায়ু শিথিল করে ও জীবনের মানোন্নয়ন করে।
চিকিৎসকরা বলছেন, সুরের মাধুরী নিয়মিত অনেক রোগীকেই সাহায্য করে চলেছে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে।
যান্ত্রিক জীবনের চাপে মানুষের সহানুভূতি হারিয়ে যাচ্ছে। নিজের মধ্যে সহানুভূতি না থাকলে অন্যের মন কিন্তু সহজে বোঝা যায় না। গানের কথা, ছন্দ, সুর সেই সহানুভূতিই মধ্যে গড়ে তোলে। পশ্চিমা বিশ্বে চিকিৎসায় মিউজিকের গুরুত্ব কমে গেলেও কিছু দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন আলঝেইমার্স ডিজিজ, দীর্ঘদিনের ব্যথা ও মাদকাসক্তি নিরাময়ে মিউজিক থেরাপির প্রচলন বর্তমানে শুরু হয়েছে। ম্যাসুচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে নার্স দ্বারা পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব রোগী দীর্ঘদিন ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী তারা যদি প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট মন্থরগতির মিউজিক শোনে তাদের রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দনের গতি কম হয় ও রোগজনিত কষ্ট কম হয়। গানের মাধ্যমে গড়ে ওঠে সামাজিক কর্তব্যবোধ। ভাল মানুষ হতে গেলে দায়িত্ববোধও প্রয়োজন। গান কিন্তু সেই কাজ করে। আমাদের কোথাও গিয়ে একসঙ্গে বেঁধে রাখে। হাতে হাত রেখে কাজ করার শক্তি দেয়। করোনাকালের লকডাউনে বেশিরভাগ সময় জিম বন্ধ। বা যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত। এই অবস্থায় সকালে উঠে অনেকেই শরীরচর্চা করেন মিউজিক শুনতে শুনতে। আর এতে কিন্তু মন ভাল থাকে। স্নায়ুর চাপ কমে। মাথা ঠান্ডা রাখে, সব দিক থেকে ভাল থাকা যায়। মিউজিক থেরাপি যেকোনো বয়সের জন্য সমানভাবে উপকারী। শুধু রোগ নিরাময়ে নয়, এই থেরাপির মধ্য দিয়ে শারীরিক ও মানসিক চাপ কমানো, ঝরঝরে থাকা, স্মৃতিশক্তি বাড়ানো, যন্ত্রণা উপশম, শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি গড়ে তোলা যায়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের বহু জটিল সমস্যা সংগীত-সুরের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। যেমন মাথাব্যথা, জ্বর কিংবা ঘুমের ব্যাঘাত। অথবা ক্যানসারের মতো জটিল জীবন সংশয়ী অসুস্থতা কিংবা হাপানির মতো ক্রনিক ডিজিজ। এছাড়া যোযাযোগের অন্যতম মাধ্যম কিন্তু হল গান, মিউজিক। গান শোনায় এক একজনের পছন্দ এক একরকম। কিন্তু তাও কোথাও একটা যোগ থাকে। প্রেমের শুরু বন্ধুত্বের শুরু হয় এই গান দিয়েই। শুধু তাই নয় এই গান অথবা যেকোনও ধরনের মিউজিক তা সে যে দেশের সৃষ্টি হোক না কেন ছুঁয়ে দেয় সহস্র মাইল দূরের কোনও মনকে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

করোনাকালে মিউজিক থেরাপি নিন, সুস্থ থাকুন

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক : রোগমুক্তির নানা কার্যকরী উপায় আবিষ্কারে প্রাচীনকাল থেকেই সন্ধান করে আসছে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। এই সন্ধান গবেষণার নতুন সংযোজন মিউজিক থেরাপি বা সুর-চিকিৎসা! যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে।
অতিমারী করোনা আবহে মিউজিক থেরাপির জুড়ি বিরল। ঘরবন্দি জীবনে মনকে আরাম দেয় সুর। সুস্থ্য রাখে জীবনকেও। মিউজিক থেরাপি শারীরিক, সামাজিক, আবেগ-অনুভুতি সংক্রান্ত এবং চেতনাবুদ্েিধ্তও সাহায্য করে। সঠিক মিউজিক ও ভলিউম একাধারে মেডিক্যাল সমস্যার নিরাময়ের সাথে স্নায়ু শিথিল করে ও জীবনের মানোন্নয়ন করে।
চিকিৎসকরা বলছেন, সুরের মাধুরী নিয়মিত অনেক রোগীকেই সাহায্য করে চলেছে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে।
যান্ত্রিক জীবনের চাপে মানুষের সহানুভূতি হারিয়ে যাচ্ছে। নিজের মধ্যে সহানুভূতি না থাকলে অন্যের মন কিন্তু সহজে বোঝা যায় না। গানের কথা, ছন্দ, সুর সেই সহানুভূতিই মধ্যে গড়ে তোলে। পশ্চিমা বিশ্বে চিকিৎসায় মিউজিকের গুরুত্ব কমে গেলেও কিছু দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন আলঝেইমার্স ডিজিজ, দীর্ঘদিনের ব্যথা ও মাদকাসক্তি নিরাময়ে মিউজিক থেরাপির প্রচলন বর্তমানে শুরু হয়েছে। ম্যাসুচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে নার্স দ্বারা পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব রোগী দীর্ঘদিন ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী তারা যদি প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট মন্থরগতির মিউজিক শোনে তাদের রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দনের গতি কম হয় ও রোগজনিত কষ্ট কম হয়। গানের মাধ্যমে গড়ে ওঠে সামাজিক কর্তব্যবোধ। ভাল মানুষ হতে গেলে দায়িত্ববোধও প্রয়োজন। গান কিন্তু সেই কাজ করে। আমাদের কোথাও গিয়ে একসঙ্গে বেঁধে রাখে। হাতে হাত রেখে কাজ করার শক্তি দেয়। করোনাকালের লকডাউনে বেশিরভাগ সময় জিম বন্ধ। বা যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত। এই অবস্থায় সকালে উঠে অনেকেই শরীরচর্চা করেন মিউজিক শুনতে শুনতে। আর এতে কিন্তু মন ভাল থাকে। স্নায়ুর চাপ কমে। মাথা ঠান্ডা রাখে, সব দিক থেকে ভাল থাকা যায়। মিউজিক থেরাপি যেকোনো বয়সের জন্য সমানভাবে উপকারী। শুধু রোগ নিরাময়ে নয়, এই থেরাপির মধ্য দিয়ে শারীরিক ও মানসিক চাপ কমানো, ঝরঝরে থাকা, স্মৃতিশক্তি বাড়ানো, যন্ত্রণা উপশম, শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি গড়ে তোলা যায়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের বহু জটিল সমস্যা সংগীত-সুরের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। যেমন মাথাব্যথা, জ্বর কিংবা ঘুমের ব্যাঘাত। অথবা ক্যানসারের মতো জটিল জীবন সংশয়ী অসুস্থতা কিংবা হাপানির মতো ক্রনিক ডিজিজ। এছাড়া যোযাযোগের অন্যতম মাধ্যম কিন্তু হল গান, মিউজিক। গান শোনায় এক একজনের পছন্দ এক একরকম। কিন্তু তাও কোথাও একটা যোগ থাকে। প্রেমের শুরু বন্ধুত্বের শুরু হয় এই গান দিয়েই। শুধু তাই নয় এই গান অথবা যেকোনও ধরনের মিউজিক তা সে যে দেশের সৃষ্টি হোক না কেন ছুঁয়ে দেয় সহস্র মাইল দূরের কোনও মনকে।