ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

করের আওতায় আসছে ডিপিডিসির সব গ্রাহক

  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক ডেস্ক : ডিজিটাল সংযোগের মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে নতুন করদাতার সন্ধানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এ উপলক্ষে দুই সংস্থার মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এনবিআরের পক্ষে এমওইউতে সই করেন সিস্টেম ম্যানেজার ফজলুর রহমান, আর ডিপিডিসির পক্ষে ছিলেন মো. আসাদুজ্জামান। এর ফলে ডিপিডিসির গ্রাহকদের মধ্য থেকে তথ্য যাচাই-বাছাই করে নতুন করদাতা শনাক্ত করবে এনবিআর। এতে করে ডিপিডিসিও লাভবান হবে বলে মনে করছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী দেওয়ান বিকাশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘নতুন করদাতা ও সম্পদের মালিককে শনাক্ত করার ক্ষেত্রে আমাদের ঘাটতি আছে। এই ঘাটতি দূর করতে হলে সিস্টেমের ডেভেলপ করতে হবে। এ জন্য ডিজিটাইজেশনের কোনও বিকল্প নেই। আমরা সে কাজটি করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘ডিপিডিসির ডেটাবেজ ব্যবহার করে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট ও দোকানের মালিককে শনাক্ত করা যাবে। এর মধ্যে যাদের টিআইএন নেই, তাদের কর নেটে আনা সহজ হবে এবং করদাতার সংখ্যা বাড়বে।’ এনবিআরের চেয়ারম্যান মনে করেন, কর আহরণ করবে মেশিন। কর্মকর্তার কাজ হলো কর আহরণের নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা, কী করে কর নেট বাড়ানো যায়, তা উদ্ভাবন করা। এ জন্য পদ্ধতির উদ্ভাবন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘সামর্থ্যবান সবাইকে করের আওতায় আনতে কাজ করছে এনবিআর।’ বিদ্যুৎসচিব হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জনগণ ট্যাক্স দিতে চায় না, এটা চিরায়ত অভ্যাস। কর আদায় বাড়াতে হলে সিস্টেমের উন্নতি ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।’ গবেষণা সংস্থা বিআইডিএসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে মধ্যবিত্তের সংখ্যা সাড়ে তিন কোটি। এদের মধ্যে অনেকেই কর নেটের বাইরে।’ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বলেছে, দুই সংস্থার মধ্যে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ২ লাখ ৫০ হাজার নতুন করদাতা শনাক্ত করা যাবে। বর্তমানে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন আছে ৭৭ লাখ। ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের গ্রাহক ১০ লাখ ২১ হাজার। এর মধ্যে টিআইএন আছে ৩ লাখ ৬৫ হাজারে। ডিপিডিসির সঙ্গে ডিজিটাল সংযোগ বা ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে অবশিষ্টদের করের আওতায় নিয়ে আসবে এনবিআর। এর আগে করের আওতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ের জন্য নির্বাচন কমিশন, বিআরটিএ, জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর, বিডা, বেপজা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস সফটওয়্যারের সঙ্গে আলাদা চুক্তি সই করে এনবিআর। একই লক্ষ্যে তিতাসসহ আরও কয়েকটি সরকারি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

করের আওতায় আসছে ডিপিডিসির সব গ্রাহক

আপডেট সময় : ১২:৫৪:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২

অর্থনৈতিক ডেস্ক : ডিজিটাল সংযোগের মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে নতুন করদাতার সন্ধানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এ উপলক্ষে দুই সংস্থার মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এনবিআরের পক্ষে এমওইউতে সই করেন সিস্টেম ম্যানেজার ফজলুর রহমান, আর ডিপিডিসির পক্ষে ছিলেন মো. আসাদুজ্জামান। এর ফলে ডিপিডিসির গ্রাহকদের মধ্য থেকে তথ্য যাচাই-বাছাই করে নতুন করদাতা শনাক্ত করবে এনবিআর। এতে করে ডিপিডিসিও লাভবান হবে বলে মনে করছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী দেওয়ান বিকাশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘নতুন করদাতা ও সম্পদের মালিককে শনাক্ত করার ক্ষেত্রে আমাদের ঘাটতি আছে। এই ঘাটতি দূর করতে হলে সিস্টেমের ডেভেলপ করতে হবে। এ জন্য ডিজিটাইজেশনের কোনও বিকল্প নেই। আমরা সে কাজটি করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘ডিপিডিসির ডেটাবেজ ব্যবহার করে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট ও দোকানের মালিককে শনাক্ত করা যাবে। এর মধ্যে যাদের টিআইএন নেই, তাদের কর নেটে আনা সহজ হবে এবং করদাতার সংখ্যা বাড়বে।’ এনবিআরের চেয়ারম্যান মনে করেন, কর আহরণ করবে মেশিন। কর্মকর্তার কাজ হলো কর আহরণের নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা, কী করে কর নেট বাড়ানো যায়, তা উদ্ভাবন করা। এ জন্য পদ্ধতির উদ্ভাবন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘সামর্থ্যবান সবাইকে করের আওতায় আনতে কাজ করছে এনবিআর।’ বিদ্যুৎসচিব হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জনগণ ট্যাক্স দিতে চায় না, এটা চিরায়ত অভ্যাস। কর আদায় বাড়াতে হলে সিস্টেমের উন্নতি ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।’ গবেষণা সংস্থা বিআইডিএসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে মধ্যবিত্তের সংখ্যা সাড়ে তিন কোটি। এদের মধ্যে অনেকেই কর নেটের বাইরে।’ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বলেছে, দুই সংস্থার মধ্যে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ২ লাখ ৫০ হাজার নতুন করদাতা শনাক্ত করা যাবে। বর্তমানে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন আছে ৭৭ লাখ। ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের গ্রাহক ১০ লাখ ২১ হাজার। এর মধ্যে টিআইএন আছে ৩ লাখ ৬৫ হাজারে। ডিপিডিসির সঙ্গে ডিজিটাল সংযোগ বা ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে অবশিষ্টদের করের আওতায় নিয়ে আসবে এনবিআর। এর আগে করের আওতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ের জন্য নির্বাচন কমিশন, বিআরটিএ, জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর, বিডা, বেপজা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস সফটওয়্যারের সঙ্গে আলাদা চুক্তি সই করে এনবিআর। একই লক্ষ্যে তিতাসসহ আরও কয়েকটি সরকারি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।