আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের করাচি শহরের উপকণ্ঠে একটি ট্রাকে গ্রেনেড হামলায় একই পরিবারের ১২ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের সবাই নারী এবং শিশু-কিশোর। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গত শনিবার করাচির বালদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, ওই ট্রাকে ২০ থেকে ২৫ জন আরোহী ছিলেন। তাঁরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন। এ সময় তাঁদের ওপর হামলাটি চালানো হয়।
হামলার ঘটনার পর করাচির ডা. রুথ ফাও সিভিল নামে একটি হাসপাতালে ছয় নারী এবং চার শিশুর মরদেহ আনা হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির চিকিৎসক কারার আব্বাসি। আর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকালের গ্রেনেড হামলার পর তদন্তে নেমেছে পাকিস্তান পুলিশ। তদন্তে কাজ করছে কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্টও (সিটিডি)। সিটিডির কর্মকর্তা উমর খাত্তাব জানিয়েছেন, মোটরসাইকেলে হামলাটি চালানো হয়। গ্রেনেডটি ট্রাকের ভেতর পড়ার আগেই বিস্ফোরিত হয়েছিল।
এদিকে হামলার ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকা- বলে আখ্যায়িত করেছেন পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা। এই দাবির পক্ষে কিছু তথ্যও দিয়েছেন তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত হওয়া গ্রেনেডের একটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেনেডটি রাশিয়ায় তৈরি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। হামলার পেছনে আঞ্চলিক কোনো গোষ্ঠী বা উগ্রপন্থীর হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হামলার শিকার ব্যক্তিরা একই পরিবারের সদস্য হওয়ায় হামলার কারণ ভিন্নও হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এর পেছনে ব্যক্তিগত কারণ আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন করাচি পুলিশের প্রধান ইমরান ইয়াকুব মিনহাস। এদিকে গতকালের হামলায় আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন করাচির প্রশাসক মুর্তজা ওয়াহাব। পাশাপাশি ঘটনায় হতাহত লোকজনের পরিবারের সহায়তা করার নির্দেশ এসেছে সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলী শাহের কাছ থেকে।
করাচিতে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত ১২
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ