অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : করদাতাদের সুবিধার্থে কর অঞ্চলগুলোয় বসানো হয়েছে মেলার বুথ। এসব বুথে রিটার্ন দাখিল জমা নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পরামর্শেরও ব্যবস্থা রয়েছে। নভেম্বর মাসজুড়েই এসব সেবা পাওয়া যাচ্ছে। তবে শুরুতে করদাতার উপস্থিতি একেবারেই কম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাসের মাঝামাঝি সময়ে জমে উঠবে। জানা গেছে, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের ৩১টি কর অঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেল অফিসে এসব সেবা পাওয়া যাচ্ছে। আয়কর দাতাদের মেলার আবহে রিটার্ন জমা নেওয়া হচ্ছে। উদ্বোধনের তিন দিন হলেও এখনো জমে উঠেনি। প্রায় প্রতিটি বুথই ফাঁকা দেখা গেছে। এবার অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সুযোগও চালু রয়েছে। এনবিআরের হট লাইন নম্বরে (০৯৬১২৭১৭১৭১) ফোন করে ই রিটার্ন সম্পর্কে পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে। আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে আয়কর রিটার্ন জমা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) কর অঞ্চল-৪, ৭, ৮, ১০ এবং কর অঞ্চল-১১ ঘুরে করদাতাদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। এসব অঞ্চলে বসানো বুথগুলোর অধিকাংশই খালি রয়েছে। দু’একটি বুথে রিটার্ন জমা পড়লেও তা একেবারেই কম। সাব্বির আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, মাসের মাঝামাঝি বা শেষ দিকে অনেক ভিড় থাকবে। তাই শুরুর দিকেই রিটার্ন দাখিল করতে এসেছি। তবে বুথে ভিড় কম পেয়ে ভালে লাগলো। খুব কম সময়েই কাজ শেষ হয়ে এলো।নাহিদা নামের অন্য এক নারী করদাতা জানান, আমি প্রথম দিন থেকেই চাচ্ছিলাম রিটার্ন জমা দিতে। সময়ের অভাবে আসতে পারিনি। আজ এসে জমা দিয়ে গেলাম। একটু আগেভাগে রিটার্ন জমা না দিলে শেষ দিকে ভিড় হয়, ভোগান্তিও বাড়ে। এজন্য শুরুতেই দেওয়া ভালো। কর অঞ্চল-১০ এর কর্মকর্তা আনিক হোসেন জানান, করদাতারা আসছে। অন্যান্য বছরের মতোই আসছে। তবে এখন বেশি করে আসা উচিত, এতে সহজেই তারা রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। সব বুথগুলোই তাদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। কর অঞ্চল-৪ এর এক কর্মকতা বলেন, করদাতাদের তেমন একটা সাড়া নেই। অন্যান্য বারের অভিজ্ঞতা বলে, করদাতারা শেষ সময়ে এসে রিটার্ন দাখিল করে যাবেন। এমনটাই হয়ে আসছে। এর আগে ১ নভেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মু. রহমাতুল মুনিম রাজধানীর সেগুন বাগিচায় এন বি আর সম্মেলন কক্ষে করসেবা মাসের উদ্বোধন করেন। ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন বুথে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন করদাতারা ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন এবং বর্তমান করদাতারা রি-রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন।