ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

করমচা খাওয়ার উপকারিতা

  • আপডেট সময় : ১১:০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের দেশে পাওয়া যায় নানা স্বাদের ফল। অবহেলায় দূরে রাখলেও সেসব ফলের রয়েছে অনেক উপকারিতা। তার মধ্যে অন্যতম হলো করমচা। এই সময়ে এসে অনেকে করমচা ঠিকভাবে চিনতেও পারবেন না। দেখতে ছোটখাটো আর ভীষণ সুন্দর এই ফল নানা পুষ্টিগুণে ভরা। এই ফলের রয়েছে একাধিক রোগ দূর করার ক্ষমতা।
মাঝে মাঝে বাজারে বা গ্রামের দিকে দেখতে পারেন ছোট ছোট করমচা। এটি একটি মৌসুমী ফল। নানা গুণে ভরা এই ফল খেলে শরীরে মিলবে অনেক উপকারিতা। আকারে ছোট হলেও এর উপকারিতা অনেক। টকজাতীয় এই ফল দিয়ে তৈরি করে রাখা যায় বিভিন্ন ধরনের আচারও। করমচা গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্যারস্সিসা কারান্ডাস এবং ইংরেজি নাম একোক্যানাসেই। ফলটির রঙ হালকা লাল, গোলাপি এবং সাদা হয়ে থাকে। তবে পাকলে বেশিরভাগ করমটার রঙ হালকা লালচে হয়ে থাকে।
কাঁচা থাকাকালীন করমচা দেখতে সবুজ রঙের হয়। উপকারী এই ফলে রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। যেমন, করমচা খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে অনেকটাই। সেইএঙ্গ ধমনীতে রক্ত চলাচলও ঠিকভাবে হয়ে থাকে। নিয়মিত করমচা খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে অনেকটাই। এটি ওজন কমাতেও দারুণ কার্যকরী। সেইসঙ্গে পেটের রোগ থেকে মুক্তি দিতেও কাজ করে। এ ধরনের রোগ থেকে বাঁচতে এই মৌসুমে করমচা রাখুন খাবারের তালিকায়। দাঁত ও মাড়ি মজবুত রাখতে চাইলে করমচা খেতে হবে। এই ফলে প্রচুর ভিটামিন সি, বি এবং আয়রন থাকে। সেইসঙ্গে করমচায় আরও পাওয়া যায় প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ট্যানিন, ক্যারিসোন এবং ট্রাইটারপেনয়েড। যে কারণে করমচা খেলে শরীরে আরও অনেক উপকার মেলে। যদিও সহজলভ্য, তবে খুব অল্প সময়ের জন্যেই পাওয়া যায় করমচা। টক স্বাদের এই ফল কিন্তু খেতেও দারুণ লাগে। যাদের লিভার ও কিডনিজনিত সমস্যা রয়েছে তারা এই সময়ে করমচা খেতে পারেন। এতে অনেকটাই উপকার পাবেন। আমাদের শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে করমচায় থাকা কপার। এটি সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। অনেকটা চেরি ফলের মতো দেখতেও এই দেশীয় ফল খুবই সহজলভ্য। কাঁচা খাওয়া, আচার তৈরি ছাড়াও মোরব্বা ও বিভিন্ন তরকারিতে দিয়ে খাওয়া যায় এই ফল।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

করমচা খাওয়ার উপকারিতা

আপডেট সময় : ১১:০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের দেশে পাওয়া যায় নানা স্বাদের ফল। অবহেলায় দূরে রাখলেও সেসব ফলের রয়েছে অনেক উপকারিতা। তার মধ্যে অন্যতম হলো করমচা। এই সময়ে এসে অনেকে করমচা ঠিকভাবে চিনতেও পারবেন না। দেখতে ছোটখাটো আর ভীষণ সুন্দর এই ফল নানা পুষ্টিগুণে ভরা। এই ফলের রয়েছে একাধিক রোগ দূর করার ক্ষমতা।
মাঝে মাঝে বাজারে বা গ্রামের দিকে দেখতে পারেন ছোট ছোট করমচা। এটি একটি মৌসুমী ফল। নানা গুণে ভরা এই ফল খেলে শরীরে মিলবে অনেক উপকারিতা। আকারে ছোট হলেও এর উপকারিতা অনেক। টকজাতীয় এই ফল দিয়ে তৈরি করে রাখা যায় বিভিন্ন ধরনের আচারও। করমচা গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্যারস্সিসা কারান্ডাস এবং ইংরেজি নাম একোক্যানাসেই। ফলটির রঙ হালকা লাল, গোলাপি এবং সাদা হয়ে থাকে। তবে পাকলে বেশিরভাগ করমটার রঙ হালকা লালচে হয়ে থাকে।
কাঁচা থাকাকালীন করমচা দেখতে সবুজ রঙের হয়। উপকারী এই ফলে রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। যেমন, করমচা খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে অনেকটাই। সেইএঙ্গ ধমনীতে রক্ত চলাচলও ঠিকভাবে হয়ে থাকে। নিয়মিত করমচা খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে অনেকটাই। এটি ওজন কমাতেও দারুণ কার্যকরী। সেইসঙ্গে পেটের রোগ থেকে মুক্তি দিতেও কাজ করে। এ ধরনের রোগ থেকে বাঁচতে এই মৌসুমে করমচা রাখুন খাবারের তালিকায়। দাঁত ও মাড়ি মজবুত রাখতে চাইলে করমচা খেতে হবে। এই ফলে প্রচুর ভিটামিন সি, বি এবং আয়রন থাকে। সেইসঙ্গে করমচায় আরও পাওয়া যায় প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ট্যানিন, ক্যারিসোন এবং ট্রাইটারপেনয়েড। যে কারণে করমচা খেলে শরীরে আরও অনেক উপকার মেলে। যদিও সহজলভ্য, তবে খুব অল্প সময়ের জন্যেই পাওয়া যায় করমচা। টক স্বাদের এই ফল কিন্তু খেতেও দারুণ লাগে। যাদের লিভার ও কিডনিজনিত সমস্যা রয়েছে তারা এই সময়ে করমচা খেতে পারেন। এতে অনেকটাই উপকার পাবেন। আমাদের শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে করমচায় থাকা কপার। এটি সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। অনেকটা চেরি ফলের মতো দেখতেও এই দেশীয় ফল খুবই সহজলভ্য। কাঁচা খাওয়া, আচার তৈরি ছাড়াও মোরব্বা ও বিভিন্ন তরকারিতে দিয়ে খাওয়া যায় এই ফল।