ঢাকা ১০:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে শতবর্ষী দম্পতির জীবনাবসান

  • আপডেট সময় : ০৩:২৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ৮১ বছরের ভালোবাসার গল্পের অবসান ঘটিয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পরপারে চেলে গেছেন হুবার্ট ও জুন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক দম্পতি, যাদের দু’জনেরই বয়স ১০০ বছর। দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন পুরো ৭০ বছর। শতবর্ষী এই দম্পতির শেষটা হয়েছে কিছুটা মর্মান্তিকই।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের এই দম্পতি সবকিছু করেছিলেন একসাথে এবং প্রায় আট দশক ধরে বিবাহিত ছিলেন, তারা মারাও গেছেন একসাথে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথিবীর হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে পরপারে পাড়ি দিয়েছেন তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পিপল ডটকম বলছে, গত ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর ওহাইওর হ্যামিল্টনের হসপিসে মাত্র ২০ ঘণ্টার ব্যবধানে মারা যান এই দম্পতি। ৩০ নভেম্বর রাত সোয়া ৯টার সময় হুবার্ট ম্যালিকোট মারা যান। আর জুন ম্যালিকোট পরদিন বিকেল ৫টা ৪০মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শতবর্ষী এই দম্পতির প্রেমের গল্পের শুরু হয়েছিল ১৯৪১ সালে। ওই বছর তারা ওহাইওর হ্যামিল্টনের চার্চ অব গডে সাক্ষাৎ হয়েছিল তাদের। এর দুই বছর পর গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন তারা। তখন থেকেই ছিলেন একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন হুবার্ট। অন্যদিকে, ম্যালিকোট জাহাজের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে তারা একত্রে আরেকটি মাইলফলক উদযাপন করেন। গত ১৩ জুলাই জুন ম্যালিকোট এবং ২৩ জুলাই হুবার্ট তাদের ১০০তম জন্মদিন পালন করেন। শুধু তাই নয়, গত ৮ জুন নিজেদের ৭৯তম বিবাহবার্ষিকীও উদযাপন করেন এই দম্পতি।
গত আগস্টে জুন ম্যালিকোট হৃদরোগে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকরা সেই সময় তাকে বলেছিলেন, সম্ভবত এই বছরের শেষের দিকেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবেন তিনি। এর এক মাস পর অক্টোবরে জটিল ইউটিআই রোগে আক্রান্ত হন তিনি। যে কারণে আর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি।
তাদের শোক বার্তায় লেখা হয়েছে, ‘৮১ বছরের ভালোবাসার গল্পের অবসান ঘটিয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পরপারে চেলে গেছেন হুবার্ট ও জুন।’ মার্কিন এই দম্পতি তিন সন্তান, ১৮ জন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে শতবর্ষী দম্পতির জীবনাবসান

আপডেট সময় : ০৩:২৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : ৮১ বছরের ভালোবাসার গল্পের অবসান ঘটিয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পরপারে চেলে গেছেন হুবার্ট ও জুন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক দম্পতি, যাদের দু’জনেরই বয়স ১০০ বছর। দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন পুরো ৭০ বছর। শতবর্ষী এই দম্পতির শেষটা হয়েছে কিছুটা মর্মান্তিকই।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের এই দম্পতি সবকিছু করেছিলেন একসাথে এবং প্রায় আট দশক ধরে বিবাহিত ছিলেন, তারা মারাও গেছেন একসাথে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথিবীর হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে পরপারে পাড়ি দিয়েছেন তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পিপল ডটকম বলছে, গত ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর ওহাইওর হ্যামিল্টনের হসপিসে মাত্র ২০ ঘণ্টার ব্যবধানে মারা যান এই দম্পতি। ৩০ নভেম্বর রাত সোয়া ৯টার সময় হুবার্ট ম্যালিকোট মারা যান। আর জুন ম্যালিকোট পরদিন বিকেল ৫টা ৪০মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শতবর্ষী এই দম্পতির প্রেমের গল্পের শুরু হয়েছিল ১৯৪১ সালে। ওই বছর তারা ওহাইওর হ্যামিল্টনের চার্চ অব গডে সাক্ষাৎ হয়েছিল তাদের। এর দুই বছর পর গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন তারা। তখন থেকেই ছিলেন একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন হুবার্ট। অন্যদিকে, ম্যালিকোট জাহাজের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে তারা একত্রে আরেকটি মাইলফলক উদযাপন করেন। গত ১৩ জুলাই জুন ম্যালিকোট এবং ২৩ জুলাই হুবার্ট তাদের ১০০তম জন্মদিন পালন করেন। শুধু তাই নয়, গত ৮ জুন নিজেদের ৭৯তম বিবাহবার্ষিকীও উদযাপন করেন এই দম্পতি।
গত আগস্টে জুন ম্যালিকোট হৃদরোগে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকরা সেই সময় তাকে বলেছিলেন, সম্ভবত এই বছরের শেষের দিকেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবেন তিনি। এর এক মাস পর অক্টোবরে জটিল ইউটিআই রোগে আক্রান্ত হন তিনি। যে কারণে আর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি।
তাদের শোক বার্তায় লেখা হয়েছে, ‘৮১ বছরের ভালোবাসার গল্পের অবসান ঘটিয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পরপারে চেলে গেছেন হুবার্ট ও জুন।’ মার্কিন এই দম্পতি তিন সন্তান, ১৮ জন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।