ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই রকেট উৎক্ষেপণ স্পেসএক্স’র

  • আপডেট সময় : ১০:৪১:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : নয় ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ‘ফ্যালকন ৯’ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে ইলন মাস্ক মালিকানাধীন বাণিজ্যিক মহাকাশ অভিযান কোম্পানি স্পেসএক্স।

গত শুক্রবারের এই ঘটনা কোম্পানির ইতিহাসে দুটি উৎক্ষেপণের মধ্যে দ্বিতীয় সংক্ষিপ্ততম ব্যবধান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম রকেটের উৎক্ষেপণ ঘটে স্থানীয় সময় সকাল ১১ টা ১২ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ১টা ১২ মিনিট), ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের ‘ভানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেইজ’ থেকে। পৃথিবীর নি¤œ কক্ষপথে পাঠানোর জন্য ৫১টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট ছিল এই অভিযানে।
আর দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ ঘটে পূর্বাঞ্চলীয় সময় রাত ১০ টা ৫৯ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল নয়টা ৫৯ মিনিটে), ফ্লোরিডা রাজ্যের ‘কেপ ক্যানাভেরাল’ থেকে। এতে ‘ইনমারস্যাটে’র এক যোগাযোগ স্যাটেলাইট ‘জিওস্টেশনারি’ বা ভূ-স্থির কক্ষপথে পাঠিয়েছে স্পেসএক্স। এই সফল উৎক্ষেপণ দুটো অল্পের জন্য কোম্পানির ২০২২ সালের ৫ অক্টোবরের সাত ঘণ্টা নয় মিনিটের ব্যবধানের রেকর্ডটি ভাঙতে পারেনি।
শুক্রবারের দুটো উৎক্ষেপণেই ব্যবহৃত হয়েছে ‘রিফারবিশ’ করা ফ্যালকন ৯ রকেটের বুস্টার। এগুলো উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পরই ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে ও ভবিষ্যতের অভিযানগুলোতে এগুলো পুনরায় ব্যবহৃত হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’। পুনরায় রকেট ব্যবহারের সক্ষমতা স্পেসএক্সকে তুলনামূলক ঘন ঘন ও সাশ্রয়ী উপায়ে উৎক্ষেপণ চালানোর সুযোগ দিয়েছে। ফলে, কোম্পানির উৎক্ষেপণের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। গত বছরের গড় হিসাবে, স্পেসএক্স মহাকাশে প্রতি সপ্তাহে একাধিক অভিযান চালিয়েছে। আর ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো একশটি অভিযান সফলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যস্থির করেছে বাণিজ্যিক মহাকাশ কোম্পানিটি। ইনডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্ভবত ভবিষ্যতের সিংহভাগ উৎক্ষেপণই চালানো হবে স্টারলিংক ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের জন্য। এরইমধ্যে পৃথিবীর নি¤œকক্ষপথে প্রায় চার হাজার মাইক্রো স্যাটেলাইট বসিয়ে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেটের সুবিধা দিচ্ছে কোম্পানিটি। প্রতিযোগিতামূলক দামের বাজারে স্পেসএক্স’র উৎক্ষেপণ ব্যবসার খরচ বেশ কয়েক কোটি থেকে কেবল একক কোটির ঘরে কমিয়ে আনার প্রচেষ্টার মানে দাঁড়ায়, স্টারলিংকের প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোও মহাকাশে নিজস্ব হার্ডওয়্যার সরবরাহ করতে স্পেসএক্স’কে ব্যবহার করছে। তাদের এমনই এক প্রতিদ্বন্দ্বী হলো ব্রিটিশ স্যাটেলাইট কোম্পানি ইনমারস্যাট। শুক্রবার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে উৎক্ষেপণের পর কোম্পানিটির ‘আই-৬ এফ২’ নামের স্যাটেলাইটটি ‘জিওস্টেশনারি’ নামের কক্ষপথে প্রবেশ করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইনডিপেন্ডেন্ট। “এটাই নতুন পৃথিবী। আপনি ব্যবসার এক অংশে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, আবার আরেক অংশে সহযোগিতা করবেন।” –ইনডিপেন্ডেন্টকে বলেন ইনমারস্যাটের প্রধান নির্বাহী রাজিভ সুরি। “তারা উৎক্ষেপণের বেলায় ভালো হলে, আমরা তাদের ব্যবহার করব। তাদের কাছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট আছে। তারা উৎক্ষেপণে ভালোই কাজ করে। আর সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এর খরচও ব্যাপক হারে কমেছে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই রকেট উৎক্ষেপণ স্পেসএক্স’র

আপডেট সময় : ১০:৪১:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : নয় ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ‘ফ্যালকন ৯’ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে ইলন মাস্ক মালিকানাধীন বাণিজ্যিক মহাকাশ অভিযান কোম্পানি স্পেসএক্স।

গত শুক্রবারের এই ঘটনা কোম্পানির ইতিহাসে দুটি উৎক্ষেপণের মধ্যে দ্বিতীয় সংক্ষিপ্ততম ব্যবধান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম রকেটের উৎক্ষেপণ ঘটে স্থানীয় সময় সকাল ১১ টা ১২ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ১টা ১২ মিনিট), ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের ‘ভানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেইজ’ থেকে। পৃথিবীর নি¤œ কক্ষপথে পাঠানোর জন্য ৫১টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট ছিল এই অভিযানে।
আর দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ ঘটে পূর্বাঞ্চলীয় সময় রাত ১০ টা ৫৯ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল নয়টা ৫৯ মিনিটে), ফ্লোরিডা রাজ্যের ‘কেপ ক্যানাভেরাল’ থেকে। এতে ‘ইনমারস্যাটে’র এক যোগাযোগ স্যাটেলাইট ‘জিওস্টেশনারি’ বা ভূ-স্থির কক্ষপথে পাঠিয়েছে স্পেসএক্স। এই সফল উৎক্ষেপণ দুটো অল্পের জন্য কোম্পানির ২০২২ সালের ৫ অক্টোবরের সাত ঘণ্টা নয় মিনিটের ব্যবধানের রেকর্ডটি ভাঙতে পারেনি।
শুক্রবারের দুটো উৎক্ষেপণেই ব্যবহৃত হয়েছে ‘রিফারবিশ’ করা ফ্যালকন ৯ রকেটের বুস্টার। এগুলো উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পরই ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে ও ভবিষ্যতের অভিযানগুলোতে এগুলো পুনরায় ব্যবহৃত হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’। পুনরায় রকেট ব্যবহারের সক্ষমতা স্পেসএক্সকে তুলনামূলক ঘন ঘন ও সাশ্রয়ী উপায়ে উৎক্ষেপণ চালানোর সুযোগ দিয়েছে। ফলে, কোম্পানির উৎক্ষেপণের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। গত বছরের গড় হিসাবে, স্পেসএক্স মহাকাশে প্রতি সপ্তাহে একাধিক অভিযান চালিয়েছে। আর ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো একশটি অভিযান সফলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যস্থির করেছে বাণিজ্যিক মহাকাশ কোম্পানিটি। ইনডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্ভবত ভবিষ্যতের সিংহভাগ উৎক্ষেপণই চালানো হবে স্টারলিংক ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের জন্য। এরইমধ্যে পৃথিবীর নি¤œকক্ষপথে প্রায় চার হাজার মাইক্রো স্যাটেলাইট বসিয়ে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেটের সুবিধা দিচ্ছে কোম্পানিটি। প্রতিযোগিতামূলক দামের বাজারে স্পেসএক্স’র উৎক্ষেপণ ব্যবসার খরচ বেশ কয়েক কোটি থেকে কেবল একক কোটির ঘরে কমিয়ে আনার প্রচেষ্টার মানে দাঁড়ায়, স্টারলিংকের প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোও মহাকাশে নিজস্ব হার্ডওয়্যার সরবরাহ করতে স্পেসএক্স’কে ব্যবহার করছে। তাদের এমনই এক প্রতিদ্বন্দ্বী হলো ব্রিটিশ স্যাটেলাইট কোম্পানি ইনমারস্যাট। শুক্রবার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে উৎক্ষেপণের পর কোম্পানিটির ‘আই-৬ এফ২’ নামের স্যাটেলাইটটি ‘জিওস্টেশনারি’ নামের কক্ষপথে প্রবেশ করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইনডিপেন্ডেন্ট। “এটাই নতুন পৃথিবী। আপনি ব্যবসার এক অংশে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, আবার আরেক অংশে সহযোগিতা করবেন।” –ইনডিপেন্ডেন্টকে বলেন ইনমারস্যাটের প্রধান নির্বাহী রাজিভ সুরি। “তারা উৎক্ষেপণের বেলায় ভালো হলে, আমরা তাদের ব্যবহার করব। তাদের কাছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট আছে। তারা উৎক্ষেপণে ভালোই কাজ করে। আর সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এর খরচও ব্যাপক হারে কমেছে।”