মহানগর প্রতিবেদন : রাজধানীর গাবতলী থেকে সায়েদাবাদের দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। রাইড শেয়ারিং অ্যাপে গেলে এই দূরত্বে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। অন্য সময়ে চুক্তি বা খ্যাপে মোটরসাইকেল চালকরা নেন ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা। তবে রোববার যাত্রী খরায় এই দূরত্বের জন্য মোটরসাইকেল চালকরা ২০০ টাকা ভাড়া হাঁকছেন। এমনকি ভাড়া কমিয়েও কাঙ্ক্ষিত যাত্রী পাচ্ছেন না তারা। রোববার (২ জুলাই) গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা যায় এমন এমন চিত্র। একই অবস্থা সিএনজিচালিত অটোরিকশার। যাত্রীর অপেক্ষায় বাসগুলোকেও দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মজীবী মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন ব্যস্ত নগরী ঢাকায়। তবে সকালের পর গাবতলীতে ঢাকা ফেরত যাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকে। পাঁচ থেকে ১০ মিনিট পর পর বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে থাকে বাস। যাত্রী পেতে রিকশাচালকরা ছুটছেন দূরপাল্লার বাসের কাছে। তবে বেশিরভাগ যাত্রী গন্তব্যে যেতে উঠছেন বাসে। একাধিক অটোরিকশা চালক ও চুক্তিভিত্তিক মোটরসাইকেল চালক জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও মিলছে না যাত্রী। চাপ কম থাকায় তারা ভাড়া কম বলছেন। সুযোগ বুঝে যাত্রীরাও আরও কমিয়ে বলছেন ভাড়া। সিএনজি অটোরিকশা চালক রাজু ইসলাম বলেন, অন্য সময় গাবতলী থেকে চিড়িয়াখানা ২০০ টাকার নিচে যাই না। এক যাত্রীকে ১৫০ টাকা ভাড়া বললাম, তাও যেতে চায় না। রাইড চালক মইনুল ইসলাম জানান, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পৌনে একটা পর্যন্ত গাবতলী ব্রিজের সামনে দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী পাননি তিনি। এমনকি কোনো যাত্রীর সঙ্গে দরদামও করেননি তিনি।
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির গেটে দাঁড়িয়ে যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন রাইড চালক জসিম। জসিম জানান, সকাল থেকে কোনো ট্রিপ পাননি তিনি। যাত্রীর চাপ কম। বিভিন্ন গন্তব্যে ভাড়াও কম বলছেন যাত্রীরা। টাঙ্গাইল থেকে আসা আনোয়ার বলেন, মোটরসাইকেলে সায়েদাবাদ পর্যন্ত ভাড়া ২০০ টাকা বলছে। অন্য সময় ২৫০ টাকার নিচে যায় না। ওরা কম বলছে, আমিও কম বলছি। ১৮০ টাকা বলছি, এই ভাড়ায়ই যেতে পারবো। রাইড চালক শাহজানান বলেন, যাত্রীর চাপ এখন কম। দুপুরের পর বাড়বে। উত্তরবঙ্গের গাড়ি এখনও আসেনি। ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে মানুষ আসছে। দুপুরের পর বাসের চাপ বাড়বে। তখন যাত্রীও বেশি পাওয়া যাবে। আরেক সিএনজি অটোরিকশা চালক মোস্তাফিজুর বলেন, ভাড়া কম বলছি, তাও যাত্রী পাই না। আবার যাত্রীরা সঙ্গে করে মাংসের ব্যাগ নিয়ে উঠছে। মাংসে, রক্তে সিএনজি নোংরা হচ্ছে। পরিষ্কার করতেও খরচ হচ্ছে। এখন আসলে সিএনজি অটোরিকশা চালানো লস।