ক্রীড়া প্রতিবেদক : কম্বোডিয়া ও নেপাল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকলেও তাদের বিপক্ষে আসছে প্রীতি ম্যাচে জয় ছাড়া কিছু ভাবছে না বাংলাদেশ। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বিশ্বাস করেন, র্যাঙ্কিংয়ে ব্যবধান থাকলেও শক্তিতে তারা খুব একটা পিছিয়ে নেই। সেপ্টেম্বরে হতে যাওয়া ম্যাচ দুটি সামনে রেখে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের অনুশীলন। উত্তরায় বাংলাদেশ পুলিশ এফসির মাঠে বিকেলে অনুশীলন সারে হাভিয়ের কাবরেরার দল। ২৭ সদস্যের দলের একমাত্র সুমন রেজা প্রথম দিনের অনুশীলনে ছিলেন না। ম্যানেজার ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, সামনে আন্তঃবাহিনী খেলা থাকায় সুমনকে সেখানে চায় তার সংস্থা বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। সুমন অবশ্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে ইচ্ছুক। ফেডারেশনও তাকে পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলের ম্যানেজার। অনুশীলনের ফাঁকে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমের। শুরুতেই ওঠে র্যাঙ্কিং প্রসঙ্গ। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান এখন ১৯২। কম্বোডিয়া ১৭৪ ও নেপাল ১৭৬তম স্থানে আছে। জামালের আশা, এই দুই ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট আদায় করে র্যাঙ্কিংয়ে কিছুটা উন্নতি করা। “র্যাঙ্কিংয়ে আমরা ১৯২। অবশ্যই আমরা সবাই প্রমাণ করতে চাই। সব ফুটবলার, বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের মিডিয়া, সবাই চাই আমরা আরও সামনে এগিয়ে যেতে। আমাদের দুইটা ম্যাচ আছে। এখান থেকে ৬ পয়েন্ট পেলে সামনে এগিয়ে যেতে পারব।”
র্যাঙ্কিং প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জামাল বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তকের কাছে দুঃখ প্রকাশও করেন। “আমি বাংলাদেশের সকল ফুটবল ভক্তের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। কারণ আমরা অনেক নিচে আছি র্যাঙ্কিংয়ে। সবায় চায় আমরা সামনে এগিয়ে যাই।” তবে পিছিয়ে থাকলেও কম্বোডিয়া ও নেপালকে হারানো কঠিন কাজ মনে করেন না জামাল। প্রতিপক্ষও তাদের র্যাঙ্কিং দেখে মূল্যায়ন করবে না বলে বিশ্বাস তার। “যারা খেলবে, যেমন- কম্বোডিয়া। আমি মনে করি, ওরা র্যাঙ্কিং নয়, বাংলাদেশকে একটা দল হিসেবে দেখে। শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেললে জয়ের সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। তবে কম্বোডিয়া, নেপালের বিপক্ষে আমাদের জয়ের ভালো সুযোগ থাকে।” “যদি বাহরাইনের বিপক্ষে খেলি, তবে জয়ের সম্ভাবনা থাকে ৩০ বা ২০ শতাংশ। আর কম্বোডিয়া-নেপালের সঙ্গে খেললে সেটা ৫০-৫০। এখানে একটা সুযোগ আছে।” প্রীতি ম্যাচ দুটির আগে তিন সপ্তাহের অনুশীলন ক্যাম্প হবে বাংলাদেশ দলের। এই তিন সপ্তাহের ক্যাম্পকে পর্যাপ্তই মনে হচ্ছে জামালের কাছে। নেপাল ও কম্বোডিয়ার বিপক্ষে লক্ষ্য পূরণে সবার আগে ভালো প্রস্তুতির গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন ডেনমার্ক প্রবাসী এই মিডফিল্ডার। “আমাদের এখন নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। আমরা সবাই আসছি জেতার জন্যই। তবে প্রথমত আমাদের ভালো প্রস্তুতি দরকার।” গত মাসে প্রিমিয়ার লিগ শেষ হওয়ার পর ফুটবলাররা লম্বা ছুটিতে ছিলেন। তাদের ফিটনেস লেভেল নিয়ে তাই কিছুটা দুঃশ্চিন্তা থাকারই কথা। তবে স্প্যানিশ কোচ কাবরেরা সেভাবে ভাবছেন না। বরং এই বিরতি ফুটবলারদের জন্য প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন তিনি। “ফিটনেস ঠিক আছে। ফুটবলারদের বিশ্রাম প্রয়োজন ছিল। সেটা তারা পেয়েছে। সবাই একদম ঠিক আছে।” আগামী ২২ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়া ও ২৭ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচই কাবরেরার দল খেলবে প্রতিপক্ষের মাঠে।
কম্বোডিয়া ও নেপালকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে এগোতে চান জামাল
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ