ঢাকা ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

কব্জির ব্যথা কমাতে

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : অতিমাত্রায় হাতের কাজে কব্জিতে অস্বস্তি তৈরি হয়। যাকে বলে ‘কার্পাল টানেল সিন্ড্রম’। কম্পিউটারে লম্বা সময় কাজ করার কারণে চোখের সমস্যা, পিঠ ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, স্থূলতা তৈরি হওয়া ইত্যাদি নিয়ে অনেক আলোচনা আছে, পরামর্শ আছে। তবে শরীরের আরেকটি অঙ্গ প্রতিনিয়ত ব্যবহার হয়েও তা নিয়ে আলোচনা নেই। সেটা হল হাত দুটো। ভেবে দেখুন, যতটা সময় কাজ করছেন পুরো সময়টাই কব্জির গোড়ায় চাপ পড়ে থাকে। এ থেকে তৈরি হয় ‘কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম’ নামক রোগ, যা হাত ও কব্জিতে ব্যথা সৃষ্টি করে। যুক্তরাজ্যের ‘ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস’ জানাচ্ছে, কব্জির স্নায়ুতে দীর্ঘ সময় চাপ পড়ার কারণে কব্জিসহ হাত ও আঙুলে সুড়সুড়ি, অবসভাব এবং ব্যথা হয়। লম্বা সময় হাতে চাপ পড়ে থাকার কারণে ‘মেডিয়ান নার্ভ’য়ের ওপর চাপ পড়ে। এতে হাতে অবশ অনুভূতি হয়, কখনও আবার জ্বলুনি হয়, কিংবা মনে হতে পারে কেউ সুঁচ ফোটাচ্ছে হাতের আঙুলে।
হওয়ার কারণ
যুক্তরাষ্ট্রের ‘মিসিসিপি স্পোর্টস মেডিসিন অ্যান্ড অর্থোপেডিক সেন্টার’য়ের ‘হ্যান্ড অ্যান্ড রিস্ট সার্জন’ ডা. জেমস মস জুনিয়র এই বিষয়ে ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “হাত ও কব্জি অতিমাত্রায় এবং জোর করে ব্যবহার করা হলে এই রোগ দেখা দেয়। যারা লম্বা সময় ধরে একটানা কাজ করেন তাদের উচিত হবে কাজ করার সময় ‘কার্পাল টানেল ব্রেস’ ব্যবহার করা।
যেভাবে কাজ করে
তিনি আরও বলেন, “কার্পাল টানেল ব্রেস’য়ের কাজ হল কব্জিকে স্থিতিশীল রাখা যাতে এর সঙ্কোচন, প্রসারণ, নড়াচড়া যথাসম্ভব কমানো যায়। হাতের কব্জিতে থাকা ‘কার্পাল টানেল’য়ের মধ্যে চাপ কমায় এই ‘ব্রেস’। সেই টানেল’য়ে থাকা ‘মেডিয়ান নার্ভ’য়ের ওপর চাপ কম পড়ে।” স্বাভাবিক অবস্থায় কব্জি যে অবস্থানে থাকে সেভাবে রেখেই এই ব্রেস পরতে হবে। এটি কাজ করার সময় পরা যায়। তবে সবচাইতে কার্যকর হবে রাতে পরে ঘুমানো। কেমন ‘ব্রেস’ কেনা উচিত সেই বিষয়য়ে এই চিকিৎসক জানান, “আরামদায়ক উপকরণে তৈরি এমন ‘ব্রেস’ কেনা উচিত। ‘নিওপ্রিন’, ‘ফেল্ট’ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা ‘ব্রেস’ হবে আদর্শ। ‘ব্রেস’ তৈরি উপকরণ বা কাপড়টা হতে হবে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন।” “পরার পর হাত ও তালু যাতে না ঘামে সেটা খেয়ার রাখতে হবে। আবার এটাও দেখতে হবে যে ব্রেস’টি হাতে শক্তভাবে বসে থাকে কি-না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কেনাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কব্জির ব্যথা কমাতে

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : অতিমাত্রায় হাতের কাজে কব্জিতে অস্বস্তি তৈরি হয়। যাকে বলে ‘কার্পাল টানেল সিন্ড্রম’। কম্পিউটারে লম্বা সময় কাজ করার কারণে চোখের সমস্যা, পিঠ ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, স্থূলতা তৈরি হওয়া ইত্যাদি নিয়ে অনেক আলোচনা আছে, পরামর্শ আছে। তবে শরীরের আরেকটি অঙ্গ প্রতিনিয়ত ব্যবহার হয়েও তা নিয়ে আলোচনা নেই। সেটা হল হাত দুটো। ভেবে দেখুন, যতটা সময় কাজ করছেন পুরো সময়টাই কব্জির গোড়ায় চাপ পড়ে থাকে। এ থেকে তৈরি হয় ‘কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম’ নামক রোগ, যা হাত ও কব্জিতে ব্যথা সৃষ্টি করে। যুক্তরাজ্যের ‘ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস’ জানাচ্ছে, কব্জির স্নায়ুতে দীর্ঘ সময় চাপ পড়ার কারণে কব্জিসহ হাত ও আঙুলে সুড়সুড়ি, অবসভাব এবং ব্যথা হয়। লম্বা সময় হাতে চাপ পড়ে থাকার কারণে ‘মেডিয়ান নার্ভ’য়ের ওপর চাপ পড়ে। এতে হাতে অবশ অনুভূতি হয়, কখনও আবার জ্বলুনি হয়, কিংবা মনে হতে পারে কেউ সুঁচ ফোটাচ্ছে হাতের আঙুলে।
হওয়ার কারণ
যুক্তরাষ্ট্রের ‘মিসিসিপি স্পোর্টস মেডিসিন অ্যান্ড অর্থোপেডিক সেন্টার’য়ের ‘হ্যান্ড অ্যান্ড রিস্ট সার্জন’ ডা. জেমস মস জুনিয়র এই বিষয়ে ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “হাত ও কব্জি অতিমাত্রায় এবং জোর করে ব্যবহার করা হলে এই রোগ দেখা দেয়। যারা লম্বা সময় ধরে একটানা কাজ করেন তাদের উচিত হবে কাজ করার সময় ‘কার্পাল টানেল ব্রেস’ ব্যবহার করা।
যেভাবে কাজ করে
তিনি আরও বলেন, “কার্পাল টানেল ব্রেস’য়ের কাজ হল কব্জিকে স্থিতিশীল রাখা যাতে এর সঙ্কোচন, প্রসারণ, নড়াচড়া যথাসম্ভব কমানো যায়। হাতের কব্জিতে থাকা ‘কার্পাল টানেল’য়ের মধ্যে চাপ কমায় এই ‘ব্রেস’। সেই টানেল’য়ে থাকা ‘মেডিয়ান নার্ভ’য়ের ওপর চাপ কম পড়ে।” স্বাভাবিক অবস্থায় কব্জি যে অবস্থানে থাকে সেভাবে রেখেই এই ব্রেস পরতে হবে। এটি কাজ করার সময় পরা যায়। তবে সবচাইতে কার্যকর হবে রাতে পরে ঘুমানো। কেমন ‘ব্রেস’ কেনা উচিত সেই বিষয়য়ে এই চিকিৎসক জানান, “আরামদায়ক উপকরণে তৈরি এমন ‘ব্রেস’ কেনা উচিত। ‘নিওপ্রিন’, ‘ফেল্ট’ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা ‘ব্রেস’ হবে আদর্শ। ‘ব্রেস’ তৈরি উপকরণ বা কাপড়টা হতে হবে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন।” “পরার পর হাত ও তালু যাতে না ঘামে সেটা খেয়ার রাখতে হবে। আবার এটাও দেখতে হবে যে ব্রেস’টি হাতে শক্তভাবে বসে থাকে কি-না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কেনাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।”