ঢাকা ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

কবি হেলাল হাফিজ হাসপাতালে

  • আপডেট সময় : ১২:১৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গ্লুকোমাসহ শারীরিক নানা জটিলতায় আক্রান্ত কবি হেলাল হাফিজকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে সেখানে ভর্তি করা হয় বলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ জানান। ৭৩ বছর বয়সী চিরকুমার এই কবির চিকিৎসার সার্বিক সমন্বয় করছেন মেজর ডা. আশেকুজ্জামান।
হাসান হাফিজ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে হেলাল হাফিজ গ্লুকোমায় আক্রান্ত । পাশাপাশি কিডনির জটিলতা, ডায়াবেটিস ও নিউরোলজিক্যাল সমস্যাও রয়েছে।
“কয়েক সপ্তাহ আগে উনার কোভিড টেস্ট করা হয়েছিল। তখন রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এর মধ্যেই সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। আজকে সার্বিক বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা রয়েছে। বিকেলে বিস্তারিত জানা যাবে।”
নেত্রকোণার সন্তান হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সেই সময়ে কবিতা পাঠের আসর ছাপিয়ে তার কবিতা উচ্চারিত হতে থাকে মিছিলে-স্লোগানে। দেয়ালে দেয়ালে উৎকীর্ণ হতে থাকে- ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’।
আশির দশকে ওই কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হওয়ার পর নিজেকে অনেকটা আড়ালে সরিয়ে নেন হেলাল হাফিজ। তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা ৭১’ প্রকাশিত হয় ২৬ বছর পর, ২০১২ সালে। গ্লুকোমা আক্রান্ত হয়ে কবির একটি চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই। অন্য চোখটির অবস্থাও ভালো নয়। গ্লুকোমা একটি ‘অনিবারণযোগ্য’ রোগ, এতে চোখের উপর চাপ বেড়ে গিয়ে চোখের পিছনের স্নায়ু অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং ধীরে ধীরে চোখের দৃষ্টিক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। হেলাল হাফিজ পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। ২০১৩ সালে এই কবিকে বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেওয়া হয়। তার আগে খালেকদাদ স্মৃতি পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কবি হেলাল হাফিজ হাসপাতালে

আপডেট সময় : ১২:১৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : গ্লুকোমাসহ শারীরিক নানা জটিলতায় আক্রান্ত কবি হেলাল হাফিজকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে সেখানে ভর্তি করা হয় বলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ জানান। ৭৩ বছর বয়সী চিরকুমার এই কবির চিকিৎসার সার্বিক সমন্বয় করছেন মেজর ডা. আশেকুজ্জামান।
হাসান হাফিজ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে হেলাল হাফিজ গ্লুকোমায় আক্রান্ত । পাশাপাশি কিডনির জটিলতা, ডায়াবেটিস ও নিউরোলজিক্যাল সমস্যাও রয়েছে।
“কয়েক সপ্তাহ আগে উনার কোভিড টেস্ট করা হয়েছিল। তখন রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এর মধ্যেই সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। আজকে সার্বিক বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা রয়েছে। বিকেলে বিস্তারিত জানা যাবে।”
নেত্রকোণার সন্তান হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সেই সময়ে কবিতা পাঠের আসর ছাপিয়ে তার কবিতা উচ্চারিত হতে থাকে মিছিলে-স্লোগানে। দেয়ালে দেয়ালে উৎকীর্ণ হতে থাকে- ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’।
আশির দশকে ওই কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হওয়ার পর নিজেকে অনেকটা আড়ালে সরিয়ে নেন হেলাল হাফিজ। তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা ৭১’ প্রকাশিত হয় ২৬ বছর পর, ২০১২ সালে। গ্লুকোমা আক্রান্ত হয়ে কবির একটি চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই। অন্য চোখটির অবস্থাও ভালো নয়। গ্লুকোমা একটি ‘অনিবারণযোগ্য’ রোগ, এতে চোখের উপর চাপ বেড়ে গিয়ে চোখের পিছনের স্নায়ু অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং ধীরে ধীরে চোখের দৃষ্টিক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। হেলাল হাফিজ পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। ২০১৩ সালে এই কবিকে বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেওয়া হয়। তার আগে খালেকদাদ স্মৃতি পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।