ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন মোহাম্মদ রফিক

  • আপডেট সময় : ০২:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত ‘কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার’ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন কবি মোহাম্মদ রফিক। গতকাল রোববার বাংলা একাডেমি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বছরের পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করে। বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য কবি জসীমউদ্দীনের জন্মদিন ১ জানুয়ারিতে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তির ঘোষণা করে থাকে বাংলা একাডেমি। পুরস্কারের অর্থমূল্য ২ লাখ টাকা। অমর একুশে বইমেলা ২০২৩-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে শুরু করে প্রতি দুই বছর পরপর কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার দিয়ে আসছে বাংলা একাডেমি। সর্বপ্রথম এ পুরস্কার পেয়েছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। ২০২১ সালে পেয়েছিলেন সাহিত্যিক, ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক। ২০১০ সালের একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিকের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। একজন মননশীল আধুনিক কবি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মোহাম্মদ রফিক খুলনা জেলা স্কুল থেকে ১৯৫৮ সালে মাধ্যমিক পাস করেন। পরে ঢাকার নটর ডেম কলেজে ভর্তি হন। ১৯৬১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর রাজশাহী সরকারি কলেজে ইরেজি বিভাগে ভর্তি হন এবং স্নাতক শেষ করেন। কবি হিসেবে তার নাম প্রচারে আসতে শুরু করে ষাটের দশকের শুরুতেই। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার কবিতা প্রকাশ হতে থাকে। ১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলার সংসারে এই মাটি’।
কবির উল্লেখযোগ্য অন্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো- কীর্তিনাশা (১৯৭৯), খোলা কবিতা ও কপিলা (১৯৮৩),গাওদিয়ায় (১৯৮৬),স্বদেশী নিশ্বাস তুমিময় (১৯৮৮), মেঘে এবং কাদায় (১৯৯১), রূপকথা কিংবদন্তি (১৯৯৮),মৎস্য গন্ধ্যা (১৯৯৯), মাতি কিসকু (২০০০), বিষখালি সন্ধ্যা (২০০৩), নির্বাচিত কবিতা (২০০৩),কালাপানি (২০০৬), নির্বাচিত কবিতা (২০০৭), নোনাঝাউ (২০০৮), দোমাটির মুখ (২০০৯), ত্রয়ী (২০০৯), মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-১ (২০০৯), মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-২ (২০১০)।
কবিতার পাশাপাশি তার গদ্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ভালবাসার জীবনানন্দ (২০০৩), আত্মরক্ষার প্রতিবেদন (২০০১), স্মৃতি বিস্মৃতির অন্তরাল (২০০২)। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান মোহাম্মদ রফিক। এ ছাড়া আলাওল পুরস্কারসহ (১৯৮১) বিভিন্ন পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন মোহাম্মদ রফিক

আপডেট সময় : ০২:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত ‘কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার’ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন কবি মোহাম্মদ রফিক। গতকাল রোববার বাংলা একাডেমি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বছরের পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করে। বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য কবি জসীমউদ্দীনের জন্মদিন ১ জানুয়ারিতে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তির ঘোষণা করে থাকে বাংলা একাডেমি। পুরস্কারের অর্থমূল্য ২ লাখ টাকা। অমর একুশে বইমেলা ২০২৩-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে শুরু করে প্রতি দুই বছর পরপর কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার দিয়ে আসছে বাংলা একাডেমি। সর্বপ্রথম এ পুরস্কার পেয়েছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। ২০২১ সালে পেয়েছিলেন সাহিত্যিক, ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক। ২০১০ সালের একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিকের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। একজন মননশীল আধুনিক কবি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মোহাম্মদ রফিক খুলনা জেলা স্কুল থেকে ১৯৫৮ সালে মাধ্যমিক পাস করেন। পরে ঢাকার নটর ডেম কলেজে ভর্তি হন। ১৯৬১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর রাজশাহী সরকারি কলেজে ইরেজি বিভাগে ভর্তি হন এবং স্নাতক শেষ করেন। কবি হিসেবে তার নাম প্রচারে আসতে শুরু করে ষাটের দশকের শুরুতেই। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার কবিতা প্রকাশ হতে থাকে। ১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলার সংসারে এই মাটি’।
কবির উল্লেখযোগ্য অন্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো- কীর্তিনাশা (১৯৭৯), খোলা কবিতা ও কপিলা (১৯৮৩),গাওদিয়ায় (১৯৮৬),স্বদেশী নিশ্বাস তুমিময় (১৯৮৮), মেঘে এবং কাদায় (১৯৯১), রূপকথা কিংবদন্তি (১৯৯৮),মৎস্য গন্ধ্যা (১৯৯৯), মাতি কিসকু (২০০০), বিষখালি সন্ধ্যা (২০০৩), নির্বাচিত কবিতা (২০০৩),কালাপানি (২০০৬), নির্বাচিত কবিতা (২০০৭), নোনাঝাউ (২০০৮), দোমাটির মুখ (২০০৯), ত্রয়ী (২০০৯), মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-১ (২০০৯), মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-২ (২০১০)।
কবিতার পাশাপাশি তার গদ্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ভালবাসার জীবনানন্দ (২০০৩), আত্মরক্ষার প্রতিবেদন (২০০১), স্মৃতি বিস্মৃতির অন্তরাল (২০০২)। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান মোহাম্মদ রফিক। এ ছাড়া আলাওল পুরস্কারসহ (১৯৮১) বিভিন্ন পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।