ঢাকা ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

কফি-কোকোর উৎপাদন বাড়াতে চার দেশকে ৫১০ কোটি টাকা দেবে এডিবি

  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক : এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং ইসিওএম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেট লিমিটেডের মধ্যে ৬ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়েছে। করোনাভাইরাসের থাবা থেকে ক্ষুদ্র কৃষকদের জীবিকা টিকিয়ে রাখতে এবং কৃষিকাজকে এগিয়ে নিতে এই চুক্তি হয়েছে। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ৫১০ কোটি টাকা। এই ঋণের মাধ্যমে এডিবিভুক্ত ২৭ হাজার ৮০০ জন কৃষক কফি ও কোকো উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরাসরি উপকৃত হবেন।
গতকাল মঙ্গলবার এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এই ঋণের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৮০০ ক্ষুদ্র কৃষকের কাছ থেকে কফি এবং কোকো সংগ্রহ করা হবে। এর মাধ্যমে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউগিনি এবং ভিয়েতনামের কৃষকরা উপকৃত হবেন। এটি এই কৃষকদের তারল্য সংকট নিরসনে কাজ করবে এবং করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা করা হবে। এই চুক্তির আওতায় কৃষকদের অগ্রিম অর্থ প্রদান করা হবে। কফি ও কোকো চাষের কৌশল, ডেটা সমাধান এবং আর্থিক স্বাক্ষরতা প্রবর্তনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কৃষকদের সক্ষমতা উন্নত করার ওপরও ফোকাস করা হবে। একটি সময়পোযোগী প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া এবং পাপুয়া নিউগিনিতে জলবায়ু-স্মার্ট কোকো এবং কফি চাষের সর্বোত্তম প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর্থিক স্বাক্ষরতার সক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে। মহামারি থেকে কৃষকদের পুনরুদ্ধারে আরও সহায়তা করবে। প্রযুক্তিগত সহায়তায় প্রায় ৪ হাজার কৃষককে উপকৃত করবে।
এডিবির ঋণগ্রহীতা হলো ইসিওএম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রপ লিমিটেড। ইসিওএম সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক কোম্পানি। তারা বিশ্বের বৃহত্তম কফি উৎপাদনকারী। কফির পাশাপাশি কোকো এবং তুলা উৎপাদনেও বিশ্বের অন্যতম। এই কোম্পানির প্রায় ৮ লাখ কৃষক বিশ্বের ৪০টি দেশে কাজ করেন। একটি সমন্বিত পণ্যের উদ্ভাবক, প্রসেসর এবং মার্চেন্ডাইজার হিসেবে কাজ করে তারা। কোম্পানির একটি লভ্যাংশ ভোগ করে থাকেন ক্ষুদ্র কৃষকেরা। মূলত ক্ষুদ্র কৃষকের উন্নয়নে এডিবির ঋণটি ব্যবহার করবে ইসিওএম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

কফি-কোকোর উৎপাদন বাড়াতে চার দেশকে ৫১০ কোটি টাকা দেবে এডিবি

আপডেট সময় : ১২:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক : এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং ইসিওএম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেট লিমিটেডের মধ্যে ৬ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়েছে। করোনাভাইরাসের থাবা থেকে ক্ষুদ্র কৃষকদের জীবিকা টিকিয়ে রাখতে এবং কৃষিকাজকে এগিয়ে নিতে এই চুক্তি হয়েছে। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ৫১০ কোটি টাকা। এই ঋণের মাধ্যমে এডিবিভুক্ত ২৭ হাজার ৮০০ জন কৃষক কফি ও কোকো উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরাসরি উপকৃত হবেন।
গতকাল মঙ্গলবার এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এই ঋণের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৮০০ ক্ষুদ্র কৃষকের কাছ থেকে কফি এবং কোকো সংগ্রহ করা হবে। এর মাধ্যমে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউগিনি এবং ভিয়েতনামের কৃষকরা উপকৃত হবেন। এটি এই কৃষকদের তারল্য সংকট নিরসনে কাজ করবে এবং করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা করা হবে। এই চুক্তির আওতায় কৃষকদের অগ্রিম অর্থ প্রদান করা হবে। কফি ও কোকো চাষের কৌশল, ডেটা সমাধান এবং আর্থিক স্বাক্ষরতা প্রবর্তনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কৃষকদের সক্ষমতা উন্নত করার ওপরও ফোকাস করা হবে। একটি সময়পোযোগী প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া এবং পাপুয়া নিউগিনিতে জলবায়ু-স্মার্ট কোকো এবং কফি চাষের সর্বোত্তম প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর্থিক স্বাক্ষরতার সক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে। মহামারি থেকে কৃষকদের পুনরুদ্ধারে আরও সহায়তা করবে। প্রযুক্তিগত সহায়তায় প্রায় ৪ হাজার কৃষককে উপকৃত করবে।
এডিবির ঋণগ্রহীতা হলো ইসিওএম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রপ লিমিটেড। ইসিওএম সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক কোম্পানি। তারা বিশ্বের বৃহত্তম কফি উৎপাদনকারী। কফির পাশাপাশি কোকো এবং তুলা উৎপাদনেও বিশ্বের অন্যতম। এই কোম্পানির প্রায় ৮ লাখ কৃষক বিশ্বের ৪০টি দেশে কাজ করেন। একটি সমন্বিত পণ্যের উদ্ভাবক, প্রসেসর এবং মার্চেন্ডাইজার হিসেবে কাজ করে তারা। কোম্পানির একটি লভ্যাংশ ভোগ করে থাকেন ক্ষুদ্র কৃষকেরা। মূলত ক্ষুদ্র কৃষকের উন্নয়নে এডিবির ঋণটি ব্যবহার করবে ইসিওএম।