ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

কপিরাইট মামলায় ২ কোটি রুপি দিতে এ আর রহমানকে নির্দেশ

  • আপডেট সময় : ০৫:৫৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা ‘পোনিয়িন সেলভান ২’ এর একটি গানে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতীয় সংগীত পরিচালক দুই কোটি রুপি জমা দিতে এ আর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। বলিউড হাঙ্গামা লিখেছে, দুই বছর আগে মুক্তি পাওয়া ‘পোনিয়িন সেলভান ২’ সিনেমার ‘বীর রাজা বীর’ গান নিয়ে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে এ আর রহমান এবং প্রযোজনা সংস্থা মাদ্রাজ টকিজের বিরুদ্ধে। সে মামলায় দিল্লি হাই কোর্ট তাদের দুই কোটি রুপি আদালতের রেজিস্ট্রিতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে, মামলার খরচ বাবদ ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীতশিল্পী ও পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত ফৈয়াজ ওয়াসিফউদ্দিন দাগরকে ২ লাখ রুপি দিতে বলা হয়েছে। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট এই অন্তর্বর্তী আদেশ দেয়। ‘বীরা রাজা বীরা’ গানটি আগের অন্য একটি গানের সুর থেকে নেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ তুলেন ফাইয়াজ ওয়াসিফুদ্দিন দাগার।

তিনি কপিরাইট মামলায় উল্লেখ করেছেন, গানটি তার বাবা নাসির ফৈয়াজুদ্দিন দাগার ও তার চাচা জাহিরুদ্দিন দাগারের তৈরি ‘শিবা স্তুতি’ থেকে অনুকরণ করেছেন এ আর রহমান। পাশাপাশি গানটির ব্যবহার স্থায়ীভাবে বন্ধের আবেদন, ক্ষতিপূরণ এবং নৈতিক স্বীকৃতির দাবি তোলেন। বিচারপতি প্রতিভা এম সিং শুনানিতে পর্যবেক্ষণ করেন, ‘শিব স্তুতি’ গানটি শুধুমাত্র অনুপ্রেরণার উৎস নয়, বরং ‘বীর রাজা বীর’ গানটি ‘প্রায় অভিন্ন’। তিনি বলেন, “গানের ভাষা আলাদা হলেও তার তাল, ছন্দ এবং সুরের কাঠামো একেবারে মূল সৃষ্টি গানের মতই।

অন্যদিকে, এই মামলার প্রেক্ষিতে এ আর রহমান দাবি করেন, ‘শিব স্তুতি’ ধ্রুপদ ঘরানার একটি প্রথাগত সংগীত। যেই গানে এখন পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে। আর তার গাওয়া ‘বীর রাজা বীর’ গানটি মৌলিক সৃষ্টি, যাতে ২২৭টি ভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের স্তর এবং পশ্চিমা সংগীতের উপাদান যুক্ত করা হয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এআর রহমান ও মাদ্রাজ টকিজকে ২ কোটি রুপি আদালতে জমা রাখতে হবে। সেইসঙ্গে, গানটির অনলাইন ক্রেডিটে ‘জুনিয়র দাগর ব্রাদার্সের’ স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উত্তেজনা বাড়ালে কেউ আমাদের থামাতে পারবে না, হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

কপিরাইট মামলায় ২ কোটি রুপি দিতে এ আর রহমানকে নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক: দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা ‘পোনিয়িন সেলভান ২’ এর একটি গানে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতীয় সংগীত পরিচালক দুই কোটি রুপি জমা দিতে এ আর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। বলিউড হাঙ্গামা লিখেছে, দুই বছর আগে মুক্তি পাওয়া ‘পোনিয়িন সেলভান ২’ সিনেমার ‘বীর রাজা বীর’ গান নিয়ে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে এ আর রহমান এবং প্রযোজনা সংস্থা মাদ্রাজ টকিজের বিরুদ্ধে। সে মামলায় দিল্লি হাই কোর্ট তাদের দুই কোটি রুপি আদালতের রেজিস্ট্রিতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে, মামলার খরচ বাবদ ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীতশিল্পী ও পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত ফৈয়াজ ওয়াসিফউদ্দিন দাগরকে ২ লাখ রুপি দিতে বলা হয়েছে। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট এই অন্তর্বর্তী আদেশ দেয়। ‘বীরা রাজা বীরা’ গানটি আগের অন্য একটি গানের সুর থেকে নেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ তুলেন ফাইয়াজ ওয়াসিফুদ্দিন দাগার।

তিনি কপিরাইট মামলায় উল্লেখ করেছেন, গানটি তার বাবা নাসির ফৈয়াজুদ্দিন দাগার ও তার চাচা জাহিরুদ্দিন দাগারের তৈরি ‘শিবা স্তুতি’ থেকে অনুকরণ করেছেন এ আর রহমান। পাশাপাশি গানটির ব্যবহার স্থায়ীভাবে বন্ধের আবেদন, ক্ষতিপূরণ এবং নৈতিক স্বীকৃতির দাবি তোলেন। বিচারপতি প্রতিভা এম সিং শুনানিতে পর্যবেক্ষণ করেন, ‘শিব স্তুতি’ গানটি শুধুমাত্র অনুপ্রেরণার উৎস নয়, বরং ‘বীর রাজা বীর’ গানটি ‘প্রায় অভিন্ন’। তিনি বলেন, “গানের ভাষা আলাদা হলেও তার তাল, ছন্দ এবং সুরের কাঠামো একেবারে মূল সৃষ্টি গানের মতই।

অন্যদিকে, এই মামলার প্রেক্ষিতে এ আর রহমান দাবি করেন, ‘শিব স্তুতি’ ধ্রুপদ ঘরানার একটি প্রথাগত সংগীত। যেই গানে এখন পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে। আর তার গাওয়া ‘বীর রাজা বীর’ গানটি মৌলিক সৃষ্টি, যাতে ২২৭টি ভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের স্তর এবং পশ্চিমা সংগীতের উপাদান যুক্ত করা হয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এআর রহমান ও মাদ্রাজ টকিজকে ২ কোটি রুপি আদালতে জমা রাখতে হবে। সেইসঙ্গে, গানটির অনলাইন ক্রেডিটে ‘জুনিয়র দাগর ব্রাদার্সের’ স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।