ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

কন্যা শিশুদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কন্যা শিশুদের যথাযথ শিক্ষা, অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য বলে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কন্যা শিশুদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা গেলে, তারা যোগ্য ও দক্ষ নাগরিক হয়ে উঠবে।
আজ ৪ অক্টোবর ‘জাতীয় কন্যা শিশু দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে গতকাল সোমবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। ‘সময়ের অঙ্গীকার, কন্যা শিশুর অধিকার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী এ দিবস উদযাপন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল কন্যা শিশুকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহাশীষ জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোখ্য অংশ হচ্ছে কন্যা শিশু। আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কন্যা শিশুদের যথাযথ শিক্ষা, অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
‘আমার বিশ্বাস, কন্যা শিশুদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা গেলে, তারা যোগ্য ও দক্ষ নাগরিক হয়ে উঠবে। সরকারের রুপকল্প বাস্তবায়নে তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে গত পৌনে ১৪ বছর ধরে সরকার পরিচালনা করে আসছে। এসজিডি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নারী ও কন্যা শিশুদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
‘কন্যা শিশুদের কল্যাণে অবৈতনিক শিক্ষার প্রচলন, উপবৃত্তি প্রবর্তন, বিনামূল্যে বই বিতরণ, নারী শিক্ষকদের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। আমাদের সরকার জাতীয় শিশুনীতি-২০১১ ও জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন (দমন) আইন-২০০০ এ নতুন ধারা সংযোজন এবং বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের গৃহীত এসব পদক্ষেপের ফলে বাল্যবিবাহ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যালয়ে ছাত্রী ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনেও মেয়েরা সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। অতিসম্প্রতি সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ নারী ফুটবল টিম চ্যাম্পিয়ন হয়ে পুরো জাতিকে গর্বিত করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় কন্যা শিশু দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী : যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে দেশে ফেরার পথে লন্ডনের স্টানস্টেড বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্টানস্টেড বিমানবন্দরে দুই ঘণ্টা যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার দিবাগত রাত ১টা নাগাদ ঢাকায় পৌঁছানোর কথা প্রধানমন্ত্রীর। স্থানীয় সময় সোমবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতির জন্য স্টানস্টেড বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে স্থানীয় সময় গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেন। এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মাদ ইমরান ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মাদ আব্দুল মুহিত বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক রাষ্ট্রীয় সফরে লন্ডন যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন। এছাড়াও রাজা তৃতীয় চার্লসের সিংহাসনে আরোহন উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনায়ও অংশগ্রহণ করেন। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সারাধণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

কন্যা শিশুদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কন্যা শিশুদের যথাযথ শিক্ষা, অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য বলে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কন্যা শিশুদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা গেলে, তারা যোগ্য ও দক্ষ নাগরিক হয়ে উঠবে।
আজ ৪ অক্টোবর ‘জাতীয় কন্যা শিশু দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে গতকাল সোমবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। ‘সময়ের অঙ্গীকার, কন্যা শিশুর অধিকার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী এ দিবস উদযাপন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল কন্যা শিশুকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহাশীষ জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোখ্য অংশ হচ্ছে কন্যা শিশু। আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কন্যা শিশুদের যথাযথ শিক্ষা, অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
‘আমার বিশ্বাস, কন্যা শিশুদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা গেলে, তারা যোগ্য ও দক্ষ নাগরিক হয়ে উঠবে। সরকারের রুপকল্প বাস্তবায়নে তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে গত পৌনে ১৪ বছর ধরে সরকার পরিচালনা করে আসছে। এসজিডি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নারী ও কন্যা শিশুদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
‘কন্যা শিশুদের কল্যাণে অবৈতনিক শিক্ষার প্রচলন, উপবৃত্তি প্রবর্তন, বিনামূল্যে বই বিতরণ, নারী শিক্ষকদের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। আমাদের সরকার জাতীয় শিশুনীতি-২০১১ ও জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন (দমন) আইন-২০০০ এ নতুন ধারা সংযোজন এবং বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের গৃহীত এসব পদক্ষেপের ফলে বাল্যবিবাহ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যালয়ে ছাত্রী ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনেও মেয়েরা সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। অতিসম্প্রতি সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ নারী ফুটবল টিম চ্যাম্পিয়ন হয়ে পুরো জাতিকে গর্বিত করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় কন্যা শিশু দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী : যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে দেশে ফেরার পথে লন্ডনের স্টানস্টেড বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্টানস্টেড বিমানবন্দরে দুই ঘণ্টা যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার দিবাগত রাত ১টা নাগাদ ঢাকায় পৌঁছানোর কথা প্রধানমন্ত্রীর। স্থানীয় সময় সোমবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতির জন্য স্টানস্টেড বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে স্থানীয় সময় গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেন। এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মাদ ইমরান ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মাদ আব্দুল মুহিত বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক রাষ্ট্রীয় সফরে লন্ডন যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন। এছাড়াও রাজা তৃতীয় চার্লসের সিংহাসনে আরোহন উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনায়ও অংশগ্রহণ করেন। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সারাধণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।