ক্রীড়া ডেস্ক : ব্রাজিলের নাজুক করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে কোপা আমেরিকা আয়োজন করায় দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) সমালোচনা করেছিলেন মার্সেলো মার্তিন্স। এজন্য বলিভিয়ার এই ফরোয়ার্ডকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ২০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। আসর শুরুর আগে বলিভিয়ার তিন খেলোয়াড়ের কোভিড-১৯ টেস্টের ফল পজিটিভ এসেছিল। তাদের একজন ছিলেন মার্তিনেস। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে দলের ৩-১ ব্যবধানে হারের ওই ম্যাচে তাই স্বাভা্বকিভাবেই ছিলেন না মার্তিন্স। করোনাভাইরাসে ব্রাজিলে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ মারা গেছে। এখনও দেশটিতে দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক। শেষ মুহূর্তে এসে এমন দেশে টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কনমেবলের কড়া সমালোচনা করেছিলেন ৩৪ বছর বয়সী মার্তিন্স। “এমনটা করার জন্য ধন্যবাদ কনমেবল। দায় পুরাটাই তোমাদের। যদি কেউ মারা যায়, কি করবে তোমরা? তোমাদের কাছে যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো অর্থ। একজন খেলোয়াড়ের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই?” ইনস্টাগ্রামের এই পোস্ট অবশ্য পরে তিনি মুছে ফেলে ক্ষমাও চান। এরপরও শাস্তি এড়াতে পারেননি। বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে তিনি ছিলেন নিষিদ্ধ। আগামী শুক্রবার উরুগুয়ের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে খেলায় বাধা নেই এই ফুটবলারের। মার্তিন্সের মন্তব্যের পর বলিভিয়ার আরও দুই ফুটবলারের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৩৩ জন খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালসের কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার খবর মিলেছে। কোপা আমেরিকার এবারের আসরটি হওয়ার কথা ছিল কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনায়। সরকারবিরোধী আন্দোলন চলায় কলম্বিয়াকে বাদ দেয় কনমেবল। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নাজুক থাকায় দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি বাদ দেয় আর্জেন্টিনাকেও। এরপরই টুর্নামেন্ট শুরুর দুই সপ্তাহের কম সময় আগে আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম ঘোষণা করে কনমেবল।