ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

কখন বুঝবেন আপনার চাকরি ছেড়ে দেওয়া উচিত?

  • আপডেট সময় : ১০:৪০:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক ঃ অফিস মানেই কাজ। দিনের প্রায় পুরোটা শক্তি সেখানে ব্যয় করতে হয়। কর্মক্ষেত্র আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে শেখায়। বিনিময়ে যা পাই, তাও কম নয়। আমরা ক্যারিয়ারে উন্নতি করি, আরও ভাল পারফর্ম করতে শিখি। অফিসের পরিবেশ যদি আপনার সহায়ক হয়, তবে তো কথাই নেই। কিন্তু যদি তা না হয়, তখন সত্যিই মুশকিল।
যদি অফিসে বেশিরভাগ সময়েই আপনাকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়, আপনার বস আপনার ক্ষমতা বা কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা না করেন তবে তা সত্যিই ক্লান্তিকর হতে পারে। একটি টক্সিক কর্মক্ষেত্র তার কর্মীদের কল্যাণের চেয়ে সাফল্য এবং অর্থকে অগ্রাধিকার দেয়। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, অফিসের পরেও কাজের চাপ, আপনার উচ্চ উৎপাদনশীলতা সত্ত্বেও পদোন্নতি না পাওয়া বা বেতন কখনো বৃদ্ধি না পাওয়া- ইত্যাদি চলতে থাকলে বুঝবেন যে এই চাকরি আপনার ছেড়ে দেওয়া উচিত। কখন বুঝবেন যে আপনার চাকরি ত্যাগ করা উচিত? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কাজের মধ্যে কোনো বিরতি না থাকলে ঃ যদি আপনার বস আপনাকে কাজের মধ্যে বিরতির অনুমতি না দেয় এবং আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বেতন না দিয়ে অবিরাম কাজ করার জন্য চাপ দেয়, তাহলে আপনাকে হয় বসের সাথে কথা বলতে হবে বা চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। অতিরিক্ত কাজ করানো এবং কম বেতন দেওয়া আদর্শ হওয়া উচিত নয়।
কঠোর সমালোচনা ঃ আপনি কি প্রতিবার আপনার প্রকল্প জমা দেওয়ার সময় ভয়ের সম্মুখীন হন বা আপনার বসের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় থাকেন? এই ভয়ের কারণ সম্ভবত আপনার বস বেশিরভাগ সময়েই আপনার কঠোর সমালোচনা করেন। আপনি যতই ভালো করুন না কেন, তিনি তা বিবেচনা করেন না। এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় আপনি আত্মবিশ্বাস হারাতে শুরু করবেন। তাই এ ধরনের কর্মক্ষেত্র যত তাড়াতাড়ি ত্যাগ করা যায়, ততই উত্তম।
আপনার সুস্থতার প্রতি অবহেলা ঃ অফিসে কাজ করার জন্য আপনাকে ফিট, সুস্থ এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকতে হবে। কিন্তু যদি আপনার অফিস আপনার মানসিক সুস্থতার প্রতি কোনো মনোযোগ না দিয়ে আপনার কাঁধে প্রচুর পরিমাণে কাজ চাপিয়ে দিতে থাকে, তবে তা উদ্বেগের বিষয়। খুব বেশি কাজ করার কারণে এবং দীর্ঘ সময় ধরে কোনো বিরতি না পেলে আপনার শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। এর প্রভাব পড়বে আপনার মানসিক অবস্থার ওপরেও।
আপনার কাজের কোনো স্বীকৃতি না দিলে ঃ বস যদি আপনার কোনো কাজের প্রশংসা না করে তাহলে হতাশ বোধ করা খুব স্বাভাবিক। কর্মীর কোনো ভুলের বিষয়ে সময়মতো প্রতিক্রিয়া জানানো এবং ভালো কাজের প্রশংসা করা একজন বসের দায়িত্ব। এই ভারসাম্য কর্মীকে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং উন্নতি করতে সাহায্য করে।
দোষারোপ ঃ আপনি দলের জুনিয়র হওয়ার কারণে অন্যের ভুলের জন্য আপনাকে দোষারোপ করা হলে তা মেনে নেবেন না। আপনার টিমের সদস্যদের উচিত তাদের ভুলগুলো আপনার ওপর না চাপিয়ে নিজেদের শুধরে নেওয়া। যদি আপনাকে অন্যের ভুলের জন্যও জবাবদিহি করতে হয় তবে সেই কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করাই উত্তম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কখন বুঝবেন আপনার চাকরি ছেড়ে দেওয়া উচিত?

আপডেট সময় : ১০:৪০:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক ঃ অফিস মানেই কাজ। দিনের প্রায় পুরোটা শক্তি সেখানে ব্যয় করতে হয়। কর্মক্ষেত্র আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে শেখায়। বিনিময়ে যা পাই, তাও কম নয়। আমরা ক্যারিয়ারে উন্নতি করি, আরও ভাল পারফর্ম করতে শিখি। অফিসের পরিবেশ যদি আপনার সহায়ক হয়, তবে তো কথাই নেই। কিন্তু যদি তা না হয়, তখন সত্যিই মুশকিল।
যদি অফিসে বেশিরভাগ সময়েই আপনাকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়, আপনার বস আপনার ক্ষমতা বা কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা না করেন তবে তা সত্যিই ক্লান্তিকর হতে পারে। একটি টক্সিক কর্মক্ষেত্র তার কর্মীদের কল্যাণের চেয়ে সাফল্য এবং অর্থকে অগ্রাধিকার দেয়। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, অফিসের পরেও কাজের চাপ, আপনার উচ্চ উৎপাদনশীলতা সত্ত্বেও পদোন্নতি না পাওয়া বা বেতন কখনো বৃদ্ধি না পাওয়া- ইত্যাদি চলতে থাকলে বুঝবেন যে এই চাকরি আপনার ছেড়ে দেওয়া উচিত। কখন বুঝবেন যে আপনার চাকরি ত্যাগ করা উচিত? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কাজের মধ্যে কোনো বিরতি না থাকলে ঃ যদি আপনার বস আপনাকে কাজের মধ্যে বিরতির অনুমতি না দেয় এবং আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বেতন না দিয়ে অবিরাম কাজ করার জন্য চাপ দেয়, তাহলে আপনাকে হয় বসের সাথে কথা বলতে হবে বা চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। অতিরিক্ত কাজ করানো এবং কম বেতন দেওয়া আদর্শ হওয়া উচিত নয়।
কঠোর সমালোচনা ঃ আপনি কি প্রতিবার আপনার প্রকল্প জমা দেওয়ার সময় ভয়ের সম্মুখীন হন বা আপনার বসের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় থাকেন? এই ভয়ের কারণ সম্ভবত আপনার বস বেশিরভাগ সময়েই আপনার কঠোর সমালোচনা করেন। আপনি যতই ভালো করুন না কেন, তিনি তা বিবেচনা করেন না। এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় আপনি আত্মবিশ্বাস হারাতে শুরু করবেন। তাই এ ধরনের কর্মক্ষেত্র যত তাড়াতাড়ি ত্যাগ করা যায়, ততই উত্তম।
আপনার সুস্থতার প্রতি অবহেলা ঃ অফিসে কাজ করার জন্য আপনাকে ফিট, সুস্থ এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকতে হবে। কিন্তু যদি আপনার অফিস আপনার মানসিক সুস্থতার প্রতি কোনো মনোযোগ না দিয়ে আপনার কাঁধে প্রচুর পরিমাণে কাজ চাপিয়ে দিতে থাকে, তবে তা উদ্বেগের বিষয়। খুব বেশি কাজ করার কারণে এবং দীর্ঘ সময় ধরে কোনো বিরতি না পেলে আপনার শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। এর প্রভাব পড়বে আপনার মানসিক অবস্থার ওপরেও।
আপনার কাজের কোনো স্বীকৃতি না দিলে ঃ বস যদি আপনার কোনো কাজের প্রশংসা না করে তাহলে হতাশ বোধ করা খুব স্বাভাবিক। কর্মীর কোনো ভুলের বিষয়ে সময়মতো প্রতিক্রিয়া জানানো এবং ভালো কাজের প্রশংসা করা একজন বসের দায়িত্ব। এই ভারসাম্য কর্মীকে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং উন্নতি করতে সাহায্য করে।
দোষারোপ ঃ আপনি দলের জুনিয়র হওয়ার কারণে অন্যের ভুলের জন্য আপনাকে দোষারোপ করা হলে তা মেনে নেবেন না। আপনার টিমের সদস্যদের উচিত তাদের ভুলগুলো আপনার ওপর না চাপিয়ে নিজেদের শুধরে নেওয়া। যদি আপনাকে অন্যের ভুলের জন্যও জবাবদিহি করতে হয় তবে সেই কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করাই উত্তম।