ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারে বিমান ঘাঁটির কাছে সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১

  • আপডেট সময় : ০৪:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

নিহত শিহাব কবির নাহিদ

প্রত্যাশা ডেস্ক: কক্সবাজারে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটির কাছে সংঘর্ষের মধ্যে অন্তত একজন গুলি নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিমান ঘাঁটি সংলগ্ন সমিতি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় বলেছে, বিমান বাহিনীর ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতি পাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

আইএসপিআর হতাহতের কোনো তথ্য না দিলেও একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

নিহত শিহাব কবির নাহিদ (৩০) পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি সমিতিপাড়ার নাছির উদ্দিনের ছেলে। তার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখার কথা জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।

শিহাবের মা কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুন হাসপাতালে আহাজারি করছিলেন। সেখানে তিনি বলছিলেন, ‘বিমান বাহিনী আমার ছেলের মাথায় গুলি করেছে।’

সেখানে কী ঘটেছে সে বিষয়ে একটি ধারণা পাওয়া যায় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশের কথায়।
একটি শীর্ষস্থানীয় অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, সমিতিপাড়ায় ১৫/২০ হাজার লোক ‘বিনা সিস্টেমে’ বাস করে। ওর পাশে এয়ারফোর্সের একটা বেইজ আছে। জাহিদুল ইসলাম নামের এক আইনজীবী আজ সেখানে গেলে একটা পর্যায়ে বিমান বাহিনী গতি রোধ করে।

যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে ওখানে মারধরের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু নিশ্চিত নই, তবে কিছু একটা হয়েছে। এরপর সমিতি পাড়ার লোকজন বিমান বাহিনীর উপর চড়াও হয়। এ নিয়ে প্রথমে বাকবিতণ্ডা, ইট পাটকেল…তারপর এয়ারফোর্স থেকে মনে হয় গুলিও চালিয়েছিল।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, একজন পাবলিক মারা গেছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ চেষ্টা করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কক্সবাজারে বিমান ঘাঁটির কাছে সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১

আপডেট সময় : ০৪:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: কক্সবাজারে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটির কাছে সংঘর্ষের মধ্যে অন্তত একজন গুলি নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিমান ঘাঁটি সংলগ্ন সমিতি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় বলেছে, বিমান বাহিনীর ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতি পাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

আইএসপিআর হতাহতের কোনো তথ্য না দিলেও একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

নিহত শিহাব কবির নাহিদ (৩০) পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি সমিতিপাড়ার নাছির উদ্দিনের ছেলে। তার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখার কথা জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।

শিহাবের মা কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুন হাসপাতালে আহাজারি করছিলেন। সেখানে তিনি বলছিলেন, ‘বিমান বাহিনী আমার ছেলের মাথায় গুলি করেছে।’

সেখানে কী ঘটেছে সে বিষয়ে একটি ধারণা পাওয়া যায় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশের কথায়।
একটি শীর্ষস্থানীয় অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, সমিতিপাড়ায় ১৫/২০ হাজার লোক ‘বিনা সিস্টেমে’ বাস করে। ওর পাশে এয়ারফোর্সের একটা বেইজ আছে। জাহিদুল ইসলাম নামের এক আইনজীবী আজ সেখানে গেলে একটা পর্যায়ে বিমান বাহিনী গতি রোধ করে।

যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে ওখানে মারধরের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু নিশ্চিত নই, তবে কিছু একটা হয়েছে। এরপর সমিতি পাড়ার লোকজন বিমান বাহিনীর উপর চড়াও হয়। এ নিয়ে প্রথমে বাকবিতণ্ডা, ইট পাটকেল…তারপর এয়ারফোর্স থেকে মনে হয় গুলিও চালিয়েছিল।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, একজন পাবলিক মারা গেছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ চেষ্টা করা হচ্ছে।