নিজস্ব প্রতিবেদক : সমুদ্র সৈকত এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মামুনুর রশীদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৯ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। এছাড়া উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সমুদ্র সৈকতে দোকান বসানোর অনুমতি দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট পাঁচজনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমদ, উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ মো. তানভীর হাসান রেজাউল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান এবং কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের (এইচারপিবি) এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মন্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আদালতের নির্দেশনার পর সেটা উচ্ছেদও করা হয়েছিল। কিন্তু ইদানিং সেখানে প্রায় একশর মতো দোকান গড়ে উঠেছে। যা আদালতের রায়ের পরিপন্থি। এ কারণে জেলা প্রশাসকসহ অন্যদের গত ৭ ফেব্রুয়ারি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।’ সে পরিপ্রেক্ষিতে এইচআরপিবির পক্ষে গত ১৪ মার্চ আদালত অবমাননার অভিযোগে রিট মামলা করা হয়। এইচআরপিবির পক্ষে আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী এই রিট দায়ের করেন। এরপর আদালত আজ জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের ওপর আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে আগামী ১৯ অক্টোবর সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।