ঢাকা ০৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

ককটেল নিক্ষেপকারীদের পালাতে পুলিশ সাহায্য করেছে: আফরোজা আব্বাস

  • আপডেট সময় : ০১:৩২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসা লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপকারী হেলমেট পরা দুজনকে পালিয়ে যেতে পুলিশ সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) শাহজাহানপুরের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন। আফরোজা আব্বাস বলেন, দারোয়ান বলল কালো পোশাক ও হেলমেট পরে দুজন হামলা করেছে। তারা একই মোটরসাইকেলে ছিল। বাসার বাইরে পুলিশের তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেল ছিল। হামলাকারীদের ধরার জন্য দারোয়ান পুলিশকে বলল। পুলিশ তাদের না ধরে পালিয়ে যেতে সহায়তা করল। তিনি বলেন, এর আগেও বাসায় হামলা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ সারা দেশে এমন তা-ব চালিয়ে বিরোধীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। সরকার দলীয় লোকজন মির্জা আব্বাসের বাসায় ককটেল নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেন আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, আমি পুলিশকে বলেছি ওদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন আপনারা। ওদের সামনে থাকেন আপনারা, পেছনে থাকেন আপনারা। আজকে যারা হামলা করল, তারা অবশ্যই সরকার দলীয় লোকজন। প্রশাসনের সহায়তায় এই হামলা করেছে।
গত সোমবার সারা রাত বাসার আশপাশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজন ঘোরাঘুরি করেছে বলেও অভিযোগ করেন আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, তারা সাংবাদিক পরিচয়ে ঘোরাফেরা করেছে। সিসি ক্যামেরা আছে। বাসায়ও আছে, রাস্তায়ও আছে। কিন্তু এটার জন্য হয়তো আমাদের ছেলেদের (ছাত্রদল-যুবদল) দোষারোপ করা হবে। এ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না জানতে চাইলে আফরোজা আব্বাস বলেন, হামলাকারীদের ধরতে না পারলে, নিরাপত্তা দিতে না পারলে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। এ কথা বলার পরেই তিনি বলেন, মামলাতো নেয় না। এর আগেও হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি। আদালতও মামলা নেয়নি। এই সরকার থাকলে কোনো দিন ন্যায়বিচার পাব না। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় করা মামলায় ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মির্জা আব্বাস। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ককটেল নিক্ষেপকারীদের পালাতে পুলিশ সাহায্য করেছে: আফরোজা আব্বাস

আপডেট সময় : ০১:৩২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসা লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপকারী হেলমেট পরা দুজনকে পালিয়ে যেতে পুলিশ সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) শাহজাহানপুরের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন। আফরোজা আব্বাস বলেন, দারোয়ান বলল কালো পোশাক ও হেলমেট পরে দুজন হামলা করেছে। তারা একই মোটরসাইকেলে ছিল। বাসার বাইরে পুলিশের তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেল ছিল। হামলাকারীদের ধরার জন্য দারোয়ান পুলিশকে বলল। পুলিশ তাদের না ধরে পালিয়ে যেতে সহায়তা করল। তিনি বলেন, এর আগেও বাসায় হামলা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ সারা দেশে এমন তা-ব চালিয়ে বিরোধীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। সরকার দলীয় লোকজন মির্জা আব্বাসের বাসায় ককটেল নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেন আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, আমি পুলিশকে বলেছি ওদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন আপনারা। ওদের সামনে থাকেন আপনারা, পেছনে থাকেন আপনারা। আজকে যারা হামলা করল, তারা অবশ্যই সরকার দলীয় লোকজন। প্রশাসনের সহায়তায় এই হামলা করেছে।
গত সোমবার সারা রাত বাসার আশপাশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজন ঘোরাঘুরি করেছে বলেও অভিযোগ করেন আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, তারা সাংবাদিক পরিচয়ে ঘোরাফেরা করেছে। সিসি ক্যামেরা আছে। বাসায়ও আছে, রাস্তায়ও আছে। কিন্তু এটার জন্য হয়তো আমাদের ছেলেদের (ছাত্রদল-যুবদল) দোষারোপ করা হবে। এ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না জানতে চাইলে আফরোজা আব্বাস বলেন, হামলাকারীদের ধরতে না পারলে, নিরাপত্তা দিতে না পারলে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। এ কথা বলার পরেই তিনি বলেন, মামলাতো নেয় না। এর আগেও হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি। আদালতও মামলা নেয়নি। এই সরকার থাকলে কোনো দিন ন্যায়বিচার পাব না। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় করা মামলায় ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মির্জা আব্বাস। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।