আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ১০০ দিনের মাথায় কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের প্রথম ভাষণে চীন নিয়ে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে কড়া বক্তব্য রেখেছেন জো বাইডেন।
গত বুধবার রাতের এ ভাষণে বাইডেন চীনের হুমকিকে সামনে রেখে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখাসহ প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “চীন ও অন্যান্য দেশগুলো দ্রুতই উন্নতির শিখরে উঠে আসছে। ভবিষ্যতে আমাদেরকে বিভিন্ন পণ্য ও প্রযুক্তিতে উন্নতি করার পাশাপাশি আধিপত্যও করতে হবে।”
চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতাটাই যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জ বলে বাইডেন বারবার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, চীনের যে অন্যায় বাণিজ্যর কারণে মার্কিন কর্মীরা এবং শিল্প তিগ্রস্ত হচ্ছে তা আমেরিকা রুখে দাঁড়াবে।
বাইডেন আরও জানান, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং- কে বলেছেন যে, “যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখবে। ঠিক যেমনটি ইউরোপে নেটোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র করে থাকে। এ সামরিক উপস্থিতি সংঘাত বাধানোর জন্য নয় বরং কাউকে সুরা দেওয়ার জন্য থাকবে।”
বাইডেনের ভাষণটি মূলত দেশের অভ্যন্তরীন নীতি নিয়ে হলেও এর একটি বড় অংশ জুড়েই এসেছে চীনের প্রসঙ্গ। মানবাধিকার, বাণিজ্যে অসমতার মতো বিভিন্ন ইস্যুতে চীনকে চাপে রাখার জন্য বাইডেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দুই পকেই ব্যাপক পরিসরে বেশকিছু আইন পাসের আহ্বান জানান।
চীনের সঙ্গে আরও ভালভাবে প্রতিযোগিতা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নতুন নতুন প্রযুক্তি উন্নয়নে তহবিল বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। “মানবাধিকার, মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা এবং মিত্রদের প্রতি প্রতিশ্রুতি থেকে আমেরিকা সরে আসবে না”, বলেন বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতার বিষয়টিও বাইডেন তার ভাষণে উল্লেখ করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তপে কিংবা সরকারি অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার পরিণতি মস্কোকে ভোগ করতে হবে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একলা চলো বৈদেশিক নীতি থেকে সরে এসে বাইডেন বলেছেন, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি মোকাবেলায় তিনি মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবেন।